"ভুতুরে কাণ্ড" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
চারিদিক নিঃশ্চুপ,বুক করে ধুক ধুক,
আঁধারটা ক্রমে ঘিরে ধরছে।
শন শন হাওয়া বয়,ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হয়,
বাইরেতে বৃষ্টিটা পড়ছে।
বাড়িটা ভাঙ্গাচোরা,আগাছাতে ছেয়ে ধরা,
বহুদিনের এটা পুরাণো,
বিগত বহু দিন ধরে, কেউ হেথা থাকিনি ওরে,
থাকার চেষ্টা হয়নি কখনও।
লোকে বলে হানাবাড়ি,রাতে থাকা বাড়া বাড়ি,
দিনেই কেউ আসেনাকো ভয়েতে।
রাতের বেলা আসলে পরে, প্রাণ টা যাবেই যে রে,
নির্ঘাত মেরে ফেলবে ভুতেতে।
নিয়ে এই বিশ্বাস ,চারিপাশে ফিস ফাস,
দিকে দিকে এই শুধু রটনা।
বছর তিরিশ আগে, নতুন বৌকে রেগে মেগে ,
পুড়িয়ে গৃহ কর্তা করে ছিলো খুন।
তারপর প্রতি রাতে, বৌ আসে এই বাড়িতে,
মেটাতে প্রতি শোধের আগুন।
যদি কেউ হেথা আসে, ঐ ছবি তার চোখে ভাসে,
ভয়ে যায় তার দম আটকে।
আগুনের বিভীষিকা, সকলেই পায় যে দেখা,
ভাবে ভূতে ঘাড় দেবেই মটকে।
কতিপয় নওযোয়ান, একদিন করে প্ল্যান,
এসেছিলো হেথা রাত কাটাতে।
মাঝ রাতে কুপোকাত,সকলেই চিত পাত,
হারিয়ে জ্ঞান পড়েছিলো ছাদেতে।
জ্ঞান ফিরে সবে কয়, ঐ পথে আর নয়,
কোন ক্রমে বেঁচে গেছে প্রাণ টা।
সকলেই দেখেছে, কি ভাবে বৌকে মেরেছে,
ভেসে উঠেছে সেই পুরো ছবিটা ।
হত ভাগ্য গৃহ বধু, প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলো শুধু,
সে সুযোগ টুকু সে পায়নি।
অপরাধ কি ছিলো তার? বাবার অভাবের সংসার,
পণের টাকা দিতে পারিনি।
হত্যাকারী পালিয়ে গেছে,পোড়োবাড়ি পড়ে আছে,
ফিরে কেউ এখানেতে আসে না।
যতদুর জানা গেছে,হত্যাকারী মারা গেছে,
আত্মহত্যা ভিন্ন উপায় তার ছিলোনা।
তাই আমি আজ রাতে, বসে আছি ওৎ পেতে,
সব কিছু হাতে নাতে ধরতে।
হঠাৎ চিড়ে অন্ধকার, আর্তনাদ চিৎকার।
আগুন আগুন রবেতে।
চেয়ে দেখি চারপাশে ,ঘিরিছে আগুনের গ্রাসে,
এইবার মোর বুঝি প্রাণ যায়?
তার পর মনে নাই, ভোর বেলা দেখিতে পাই,
শুয়ে আছি যথারিতি মোর বিছানাতে ।
(সম্পুর্ণ কাল্পনিক,সত্যতা নেই বিন্দু মাত্র)
চারিদিক নিঃশ্চুপ,বুক করে ধুক ধুক,
আঁধারটা ক্রমে ঘিরে ধরছে।
শন শন হাওয়া বয়,ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হয়,
বাইরেতে বৃষ্টিটা পড়ছে।
বাড়িটা ভাঙ্গাচোরা,আগাছাতে ছেয়ে ধরা,
বহুদিনের এটা পুরাণো,
বিগত বহু দিন ধরে, কেউ হেথা থাকিনি ওরে,
থাকার চেষ্টা হয়নি কখনও।
লোকে বলে হানাবাড়ি,রাতে থাকা বাড়া বাড়ি,
দিনেই কেউ আসেনাকো ভয়েতে।
রাতের বেলা আসলে পরে, প্রাণ টা যাবেই যে রে,
নির্ঘাত মেরে ফেলবে ভুতেতে।
নিয়ে এই বিশ্বাস ,চারিপাশে ফিস ফাস,
দিকে দিকে এই শুধু রটনা।
বছর তিরিশ আগে, নতুন বৌকে রেগে মেগে ,
পুড়িয়ে গৃহ কর্তা করে ছিলো খুন।
তারপর প্রতি রাতে, বৌ আসে এই বাড়িতে,
মেটাতে প্রতি শোধের আগুন।
যদি কেউ হেথা আসে, ঐ ছবি তার চোখে ভাসে,
ভয়ে যায় তার দম আটকে।
আগুনের বিভীষিকা, সকলেই পায় যে দেখা,
ভাবে ভূতে ঘাড় দেবেই মটকে।
কতিপয় নওযোয়ান, একদিন করে প্ল্যান,
এসেছিলো হেথা রাত কাটাতে।
মাঝ রাতে কুপোকাত,সকলেই চিত পাত,
হারিয়ে জ্ঞান পড়েছিলো ছাদেতে।
জ্ঞান ফিরে সবে কয়, ঐ পথে আর নয়,
কোন ক্রমে বেঁচে গেছে প্রাণ টা।
সকলেই দেখেছে, কি ভাবে বৌকে মেরেছে,
ভেসে উঠেছে সেই পুরো ছবিটা ।
হত ভাগ্য গৃহ বধু, প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলো শুধু,
সে সুযোগ টুকু সে পায়নি।
অপরাধ কি ছিলো তার? বাবার অভাবের সংসার,
পণের টাকা দিতে পারিনি।
হত্যাকারী পালিয়ে গেছে,পোড়োবাড়ি পড়ে আছে,
ফিরে কেউ এখানেতে আসে না।
যতদুর জানা গেছে,হত্যাকারী মারা গেছে,
আত্মহত্যা ভিন্ন উপায় তার ছিলোনা।
তাই আমি আজ রাতে, বসে আছি ওৎ পেতে,
সব কিছু হাতে নাতে ধরতে।
হঠাৎ চিড়ে অন্ধকার, আর্তনাদ চিৎকার।
আগুন আগুন রবেতে।
চেয়ে দেখি চারপাশে ,ঘিরিছে আগুনের গ্রাসে,
এইবার মোর বুঝি প্রাণ যায়?
তার পর মনে নাই, ভোর বেলা দেখিতে পাই,
শুয়ে আছি যথারিতি মোর বিছানাতে ।
(সম্পুর্ণ কাল্পনিক,সত্যতা নেই বিন্দু মাত্র)

No comments:
Post a Comment