এই লেখাটি দু
মাসের অধিককাল সময় লেগেছে,বহু বাধায় বার বার লেখায় বিঘ্ন ঘটেছে, মন সংযোগের
অভাব ঘটেছে ,তাই লেখাটা উপযুক্ত হয়নি দোষ ত্রুটি মার্জনীয়,অনুগ্রহ করে মতামত জানাবেন সেই
মতন সংশোধনের চেষ্টা কোরবো।
অভাব ঘটেছে ,তাই লেখাটা উপযুক্ত হয়নি দোষ ত্রুটি মার্জনীয়,অনুগ্রহ করে মতামত জানাবেন সেই
মতন সংশোধনের চেষ্টা কোরবো।
'শপথ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
সকালে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে কৌশিক রায় যিনি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান কারী হিসাবে পরিচিত, তাঁর একমাত্র মাসতুত ভাই অর্ক মৈত্র মানে আমাকে বোললেন,'অর্ক আজকের খবরের কাগজে এই বিশেষ খবরটা দেখেছিস?" আমি জানতে চাইলাম কোনটা?ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচার পতি ধ্রুবজ্যোতি মিশ্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর টা? কৌশিক দা বোললেন হ্যাঁ। ঠিক গতমাসের ৫ তারিখ আর ১২ তারিখে এমন
দু জন সরকারী কর্মীর ও অজ্ঞাত কারনে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাইনা? আমার নোটবুকটা নিয়ে আয় তো ওখানে আমি নোট রেখেছি, কাগজে বেড়িয়েছিলো,কাগজ গুলোর কাটিংতো রাখাই থাকে।
আমি তক্ষুণী নোটবই আর কাগজের কাটিংনিয়ে হাজির হলাম।কাগজের কাটিং দৃষ্টে নোটবুকে কৌশিকদা, নোটবুকে নিজের অভিমত সহ যেমন লিখেছেন তা হোলো
০৬/০৬/২০১২ ঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা থানায় কর্মরত পুলিশ আধিকারীক সৌমেন দাস যাঁর বাড়ি হাওড়া জেলার বালীতে, গত কাল ০৫ই জুন ভোর রাত ৪ট নাগাদ রামনগরের কাছে সমুদ্র উপকুলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই।
১০/০৬/২০১২ঃ পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাপ্ত মৃত পুলিশ আধিকারিক সৌমেন দাসের ময়না তদন্তে জানাযায় মৃত্যুটি অস্বাভাবিক ,মৃতদেহের পাকস্থলীতে কড়া ঘুমের ওষুধ ও নেশার ওষুধের সন্ধান মিলেছে, অথচ সমুদ্রের জল পাওয়া যায়নি, সৌমেন বাবুর কোন রকম মাদকতায় নেশা ছিলোনা।এতে অনুমান হত্যার পর সমুদ্রের জলে মৃত দেহ টা ফেলা হয়েছিলো। হত্যার কোন কারন এখনও বোঝা যাচ্ছেনা,পুলিশের অনুমান এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেও এই হত্যা হতে পারে, অনুসন্ধান চলছে।
সৌমেন বাবুর কোন ব্যক্তিগত শত্রুর খবর জানা নেই। উনি আজ তিন মাস হোলো দীঘা থানায় হাওড়া থেকে বদলী হয়েএসেছেন, এর আগে উনি বছর দুয়েক হাওড়া থানায় ছিলেন,তার আগে হুগলীর ভদ্রেশ্বর থানায় তিন বছর সেকেণ্ড অফিসার হিসাবে ছিলেন, ওখানেই প্রথম চাকুরিতে যোগদান করেন। হাওড়াতে ভি,আই, পি,দের সিকিঊরিটি অফিসার হিসাবে ছিলেন।
১৩/০৬/২০১২ঃচুচুড়া গতকাল রাতে হুগলী জেলা আদালতের প্রাক্তন সরকারী পক্ষের ফৌজদারী মামলায় কৌঁসলী উকিল অমিয় ভুষণ সাহা বাঁশবেড়িয়ায় নিজের বাড়িতে আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন,কাল রাত ১০টার সময় বাড়ির কলিংবেল বাজলে অমিয় বাবু সদর দরজা খুলতে নীচে নামেন তখন প্রবল বৃষ্টি,সদর দরজা খোলা মাত্রই আগন্তুক অমিয় বাবুর হাতে একটা চিরকুটদেয় তাতে লেখা 'শপথ ২০০৮,যাদব' আর মুখে কিছু বলতেই অমিয় বাবু মাটিতে ঢলে পড়েন ,তক্ষুণী আগন্তুক মোটর বাইক চেপে উধাও হয়ে যায় , বর্ষাতি পড়ে থাকায় চেনার উপায় ছিলোনা, ডাক্তার এসে মৃত বলে জানায়,প্রথমে এটা স্ট্রোক মনে হোলে ও পুলিশের অনুমান এটা ব্যক্তিগত আক্রোশে হত্যা। মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।১৬/০৬/২০১২ঃপ্রাক্তন সরকারী উকিল অমিয় ভূষণ সাহার ময়না তদন্তে জানা যায়, শরীরে কোনো বড় আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা মৃত্যুর কারণ পটাসিয়াম সায়েনাইড মতন মারাত্মক কোন অজ্ঞাত বিষপ্রয়োগ।পুলিশ এখন ও হত্যার কোনো কারণ বা কোনো সন্দেহ ভাজন কাউকে গ্রেপ্তার কোরতে পারেনি তদন্ত চলছে।অমিয় বাবু ২০১০ সালে অবসর নেন, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অমিয়বাবু অসুস্থ ছিলেন, একটা হার্ট এটাক মতন হয়েছিলো তাই বেশী বাইরে বেরুতেন না।কৌশিকদা খবরের কাগজের কাটিংগুলো পড়ার পর আমাকে বোল্লেন, আমাদের একটু ঘোরাঘুরি করে খোঁজ খবর জোগার কোরতে হবে কতদূর কি জোগার কোরতে পারবো জানিনা,আমাদের যদি একজন সিদু জ্যাঠার মতন কেঊ থাকতেন ভালো হোতো খুউব প্রয়োজন, আমি বুঝতে পারছি আজকের খবরের সাথে আগের দুটো খুনের একটা যোগাযোগ আছে, কিন্তু ঠিক কোথায় মিল চট করে বুঝে উঠতে পারছিনা, কিছু তথ্যের প্রয়োজন তাই নানা জায়গায় যেতে হবে, কে কতটা সাহার্য্য কোরবেন জানিনা,তাছাড়া আমাকেতো কেঊ এই তথ্য অনুসন্ধানের জন্য দায়িত্ব দেয়নি তাই নিজে উপযাচক হয়ে এই কেসে গেলে পুলিশের সাহার্য্য পাওয়াও মুস্কিল হবে।তবু দেখি আমার মন বোলছে এই প্রত্যেকটা খুনের মধ্যে একটা যোগ খুঁজে পাবোই।কোথা থেকে কিভাবে শুরু কোরব আগে ভেবে ছক কষে নিই।আজকের কাগজে বিচারক ধ্রুবজ্যোতি মিশ্রের যে মৃত্যুর সংবাদ টা বেড়িয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন তাই এখান থেকেই শুরু কোরতে হবে।দিন সাতেক বাদে আমরা মানে আমি আর কৌশিকদা সকাল ৯টা নাগাদ সন্তোষপুরে যে নুতন বাড়ি করে বিচারক ধ্রুবজ্যোতি মিশ্র থাকতেন সেই বাড়িতে হাজির হলাম।ছোট একতলা সুন্দর ছিমছাম বাংলো ধরনেরবাড়ি।নতুন বাড়ি বছর পাঁচেকের হবে।চারপাশে পাঁচিল ঘেরা গেট খুলে ভিতরে ঢুকলে দুপাশে বাহারী ফুলের বাগান একটু খানি লন পেরিয়ে বাংলোর সদর দরজা। দুপাশের ঘরের জানালা খোলা পর্দ্দা ঝুলছে । দরজা বন্ধ, কলিং বেলের সুইচ টিপতেই ভিতর থেকে একজন মাঝ বয়েসী ভদ্রলোক বেড়িয়ে এসে জানতে চাইলেন আমাদের পরিচয়, কোথাথেকে আসছি? কৌশিকদা হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে নিজের পরিচিতির কার্ডটা এগিয়ে দিতে দিতে বোললেন, খবরের কাগজে খবরটা পড়ে মন টা খুউব খারাপ হয়ে গেলো উনি আমাকে অনেক সাহার্য্য করেছিলেন, প্রথমে উনিই উৎসাহ দিয়েছিলেন এই শখের পেশায় আসার জন্য, ২০১০সালে । উনি তো ২০১১ মার্চ মাসে অবসর নিয়েছিলেন।আমরা চুচুড়া থেকে আসছি। আমাদের পরিচয় পেয়ে ভদ্রলোক আমাদের ভেতরে ডাকলেন।ভিতরে ঢুকে দেখি অথিতি আপ্যায়নের জন্য চেয়ার টেবিল সুন্দরভাবে সাজানো, আমরা ভিতরে গিয়ে বসলাম, ভদ্রলোক সামনের চেয়ারে বসে বোললেন আমার বাবা ই ধ্রুবজ্যোতি মিশ্র আমি ই একমাত্র সন্তান, আমার নাম সপ্তর্ষি মিশ্র আমি পেশায় কলেজের অধ্যাপক,বর্তমানে বর্দ্ধমানে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপনা করি,ওখানেই সস্ত্রীক থাকি, আমাদের একটি ৪ বছরের পুত্র লুবদ্ধক নার্শারি স্কুলে পড়ে।বাবার আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ১৮ তারিখ সকাল ১১টার মধ্যেই এখানে চলে আসি, তখন ও সব আত্মীয় স্বজনরা খবর পান নি, বাবার মৃত দেহ তখন ও হাসপাতালেই ছিলো ,পুলিশ কেস কারন বাবা প্রাতঃ ভ্রমনে বেড়িয়ে ছিলেন, হঠাৎ একটি মোটর বাইক পাশে এসে গতি কমিয়ে ই দ্রুত বেড়িয়ে যায়, বাবা রাস্তার পাশে লুটিয়ে পড়েন, হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানায়।হাসপাতাল থেকেই পুলিশ কে জানায়, পোস্টমর্টেম করার পর মৃতদেহ নিয়ে সৎকার কোরতে রাত ১০টা বেজে যায়।
কৌশিক দা জানতে চান,আচ্ছা আপনার বাবার সাথে প্রাতঃ ভ্রমনে আর কেকে যান? সপ্তর্ষি বাবু বলেন,বাবার সাথে পাশের বাড়ির মৃগেন কাকু যেতেন, ওই দিন ও সাথে তিনি ছিলেন।উনি ই বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলেন।কৌশিকদা জানতে চাইলেন মৃগেন বাবুর সাথে কি দেখা করা যায়? সপ্তর্ষি বাবু জানালেন তা যায় তবে পুলিশ ওনাকে বার বার থানায় ডেকে বিব্রত করে তুলেছে কাজের কাজ কিছুই হয়েছে বলে মনেনি হয়না।ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে তীব্র বিষের ক্রিয়াই মৃত্যুর
কারণ সারা শরীরে কোনো বড় আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা,কেবল মাত্র গলার ডান দিকে ঘাড়ের কাছে ছুঁচের ছিদ্রের মতন একটা দংশনের বা পতঙ্গের হুল ফোটানোর ক্ষত ছিলো।
মৃগেন বাবুর কাছ থেকে শুধু জানা যায় মোটর বাইকের চালক অল্প বয়সের যুবক কারন চালানোর
ভঙ্গিমা থেকে তাই মনে হয়, এক হাতে গাড়ি চালাচ্ছিলো ,আর গাড়ির গতি কমিয়ে ধ্রুবজ্যোতি বাবুর কাছে একদম গা ঘেঁষে এসে পড়ে ছিলো খুউব আস্তে এর পর লোকটি গাড়ি সামলে নিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যায়, একটি কাগজের চি রকুট পড়ে থাকে, তাতে লেখা ছিলো 'শপথ- যাদব,২০০৮', তাই প্রথমে মনে হয় হার্ট এটাক,স্ট্রোক হয়েছে কারণ মোটর বাইক এর সাথে কোন রকম ধাক্কাই লাগেনি,কোন আঘাতের প্রশ্ন ই নেই। কৌশিকদা ধ্রুব জ্যোতি বাবুর বইপড়া,ডায়েরী লেখা বা কোনো কিছুর বিশেষ নেশা, ঝোঁক ছিলো কিনা জানতে চাইলে সপ্তর্ষি বাবু জানালেন বাবা ধারাবাহিক ডায়েরী না লিখলেও কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয় গুলো একটা খাতায় লিখে রাখতেন ছোট ছোট টিকার মতন করে। কৌশিকদা ঐ খাতাটা চেয়ে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলো, কিছু কিছু জায়গাথেকে কিছু নোট নিজের ডায়েরীতে লিখে রাখছিলেন, চোখ মুখ দেখে বুঝে ছিলাম গুরুত্ব পুর্ণ বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন। এরপর কৌশিকদা সপ্তর্ষি বাবুকে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ আর প্রয়োজনে পরে আবার আসবো বলে নমস্কার জানিয়ে ফিরে এলাম।বাড়ি ফিরে আমি কৌশিকদাকে ঐ খাতাটায় কি পেলেন ? জানতে চাইলে কৌশিকদা জানান ঐ খাতাটায় রহস্যের চাবি কাঠি একটা মুল সুত্রের হদিস পেয়েছি 'যাদব -২০০৮' আমি জানতে চাইলাম তার মানে? উত্তরে কৌশিকদা বোললেন ওই খাতায় ধ্রুবজ্যোতি বাবু তাঁর কর্মজীবনের নানা ঘটনা নানা কেসের বিষয়ে তাঁর বিচারেরআদেশ অভিমত সহ লিখে রাখতেন। ওই খাতায় পাতা ওল্টাতে দেখলাম ২০০৮ সালে একটা আলোড়ন জাগানো ঘটনা হুগলী জেলার একজন চটকল শ্রমিক ভিকুরাম যাদবের পুলিশ কাস্টডি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া পরে পরে এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কেস হলে ভিকুরামের স্ত্রী জানায় পুলিশ তাঁর স্বামীকে লকআপে খুন করেছে, নির্দিষ্ট পুলিশের নামে প্রমাণ সহ অভিযোগ দায়ের করা হয়ে ছিলো, প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণে এই অভিযোগ আপাত প্রমাণিত হয়েছিলো কিন্তু পরবর্তী কালে স্বাক্ষীরা বিরুপ হয়েযায়, সরকারী উকিল, থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের রিপোট সব ই বিপক্ষে যায় মোকদ্দমার নথীও বদল হয় বলে অভিযোগ ওঠে , ভিকুরামের স্ত্রীর আবেদন খারিজ হয়ে যায়,ভিকুরামের নাবালকপুত্র আদালতে আদেশ শুনে কাঁদতে থাকে মাকে জড়িয়ে ধরেবলে এই মিথ্যার একদিন জবাব দেবোই আমি শপথ কোরছি দেখো দোষীদের কেমন সাজা হয়।আমি জানতে চাই এই সব জজ সাহেব ডায়েরীতে লিখেছেন? কৌশিকদা জানান না এত কথা লেখা নেই ওই কেস টার আর বিচারের আদেশের কথাটাই লেখা আছে, কিন্তুআমি কাগজে তখন সব টা পড়েছিলাম তাই মনে পড়ে গেলো।আমি সরকারী উকিল, তদন্ত কারী পুলিশ অফিসারের নাম পরিচয় লিখে এনেছিলাম জানতাম এঁরাই খুন হয়েছেন । মিলিয়ে দেখলাম ধারনাটা সত্যি । এখন একটা খবর জানার দরকার যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে লক আপে খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগ ছিলো তিনি কোথায় কেমন আছেন?কৌশিকদার কাছে অভিযুক্ত পুলিশের নাম ঠিকানা থাকায় তাঁর হদিশ পেতে দেরী হয়নি ২০১১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আগেই মারা গেছেন। ভিকুরামের স্ত্রী আত্মহত্যা করেন২০০৯ সালে, তাঁর এক মাত্র ছেলে ফাগুলাল যাদব বর্তমানে কোথায় কেঊ জানেনা ,বাবা মা মারা যাবার পর এখান থেকে তার মামার বাড়ি গয়া তে চলে যায়, তার পর কোনো খোঁজ নেই ওর বাবার চটকল আজ ৫ বছর বন্ধ।খোলার আশাও নেই।ভিকুলাল যাদব পুলিশের সাথে সমাজ বিরোধীদের যোগ সাজসের বিরোধী ছিলো । স্থানীয় একটাডাকাতির কেসে পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়াতে তাকেই ২০০৭সালে মিথ্যা মামলায় বাড়ি থেকে শীতের রাতের বেলা তুলে এনে লক আপে ভরে, পর দিন থেকে তাকে পাওয়া যায়না। ঘটনাটা বেশ আলোড়ন ফেলে ছিলো রাজনৈতিক জল ঘোলা হয়েছিলো তার পর আর দশ টা এই রকম ঘটনার যা পরিনতি হয়, এটাও ধামা চাপা পড়ে যায়।আমি জানতে চাইলাম ধ্রুবজ্যোতি বাবুতো নিরপরাধ,ওনাকে কেন খুন হোতে হোলো?কৌশিকদা জানান এই কেসে প্রথম দিকে ধ্রুবজ্যোতি বাবু যে ভুমিকা নিয়েছিলেন তাতে দোষীরা শাস্তি পেতো কিন্তু পরবর্তী কালে হয়ত কোনো অজ্ঞাত কারণেভয়ে বা চাপে উনি ও ঠিক আগের মতন সেই দৃঢ়তা দেখাতে সক্ষম হননি।এতে উনিও শত্রু হিসাবে গণ্য হন।কৌশিকদা তাঁর বিশ্লেষণ তথ্য প্রমাণ ও মতামত গোপনে লালবাজারে জানান,তবে ভিকুরামের ছেলের খবরাখবর কিছুই জানান নি । তাঁর কথা সব অপরাধের প্রকৃত বিচার আদালতে হয়না দোষীরা শাস্তি পায়না তাদের বিচার শাস্তি এই ভাবেই ঘটে।প্রকৃত দোষীকে যারা আড়াল কোরেছিলো তারা শাস্তি পেয়েছে,কঠিনশপথের কাছে।