Friday 30 March 2018

অন্য ধ রণের কবিতা-১৮" ফেসবুক ভালো না খারাপ"


ডাক্তার উকিল ও বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য (৪)
 রহস্য ময় "অন্য গ্রহের প্রাণী এলিয়েন ও এরিয়া ৫১ "
>> তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়<< 
আজ টানা এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে থামার কোনো লক্ষন দেখছিনা,বাইরে বেরুনো বন্ধ ঘরে তাই একটু গোছগাছ নিয়ে ব্যস্ত,আমার ব্যাক্তিগত পাঠাগার,সংগ্রহশালায় রক্ষিত পুরানো দুঃস্প্রাপ্য পুঁথি পত্র,দরকারী খবর, তথ্যের প্রকাশিত কাগজ পত্রাদি, সাজিয়েগুছিয়ে চিহ্নিত করে রাখছিএর মধ্যে আমার সবথেকে মুল্যবান সংগৃহীত বস্তু, ঝাড়্গ্রামের ডাক্তার উকিল জেঠুর কাছ থেকে পাওয়া তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরী গুলো,যার কোনো তুলনাই নেইডাক্তার উকিল জেঠুর কাছ থেকে পাওয়া এই ৪০ বছরের ও আগে লেখা ডায়েরী গুলো তখনকার মুল্যবান তথ্য ঘটনা সমৃদ্ধ, আকর্ষনীয় আজও সমাদৃত অনেকের কাছে, তাই এক এক করে তুলে ধরছি পাঠকের দরবারে চিহ্নিত করে লেখা আছে ,বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য ওখান থেকেই পর্যায়ক্রমে পরস্পর প্রকাশ করার ইচ্ছা।। ইতি পুর্বে প্রকাশিত হয়েছে  বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য (১)তুষার মানব ইয়েতি রহস্য(২) রহস্য ময় ইষ্টার দ্বীপের কথা (৩)অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু UFO রহস্য আজ বিশ্বের অমীমাংসিত ৪নং রহস্য "রহস্য ময় "অন্য গ্রহের প্রাণী এলিয়েন ও এরিয়া ৫১ " যা ডাক্তার উকিল জেঠুর ডায়েরী থেকে যেমন তথ্য আকারে পেয়েছি তাই তুলে ধরলাম পাঠকের কাছে
পশ্চিম জার্মাণীতে ১৯৬৮সালে সুইজারল্যাণ্ডের এরিক আন্তনপল ফন দ্যানিকেন এর 'ERINNERVGEH ANDIE ZUNUNFT"গ্রন্থের ইংরাজী অনুবাদ "Chariots of the Gods"প্রকাশিত হয়েছে, সারা বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে এই বই এর বক্তব্য সারা পৃথিবী জুড়েই ছড়িয়ে আছে অদ্ভুত, অসম্ভব সব বিরল বস্তু, ও তার  ধ্বংসাবশেষ ,যাদের ব্যাখ্যা প্রত্নতত্ত্ব,ইতিহাস কিম্বা ধর্মের গতানুগতিক ধারায় দেওয়া সম্ভব হয়নিপ্রাগৈতিহাসিক মানব সংস্কৃতিতে বহির্জাগতিকদের প্রভাব দেখা যায়পৃথিবীর প্রায় সব ধর্ম পুস্তকেই দেখাযায় অগ্নিগর্ভ রথে দেবতাগন মর্তে আসেন, তাতে  আছে তার নানা বিশদ বর্ণনা, বিবরণ এমন কি তাঁদের পুনরাগমনের প্রতিস্রুতির কথাও উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৩৮ সালে বেলজিয়ামের ব্রুসেস এলাকায় একটা ট্যাপেস্ট্রি যার নাম সামারস্ট্রায়াম্ফ,এই ট্যাপেস্ট্রিতে অঙ্কিত দেওয়াল চিত্রে দেখা যায় একটি শাসকের ক্ষমতা গ্রহণের অনুষ্ঠানের যে ছবি আছে তাতে আকাশে কতকগুলি ভাসমান উড়ন্ত বস্তুর ছবি, যা UFO বলেই মনে হয়বহু সংস্কৃত পুঁথিতে পাওয়া যায় মহাকাশ যানে ভ্রমনের উল্লেখ,মধ্যাকর্ষণের কথামহাকাশে যাত্রাকালে যে জাগতিক ও মহাজাগতিক সময়ের মধ্যে বিরাট তারতম্য ঘটে,বিজ্ঞাণী আইনস্টাইন এর সুত্রে আছে, সেই Time dilation এর বিষয় টি মহাভারতের রচয়িতার কি করে জানা সম্ভব হলো?কি করেই বা তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাব অ্যাটম বোমা আবিষ্কারের পুর্বেই তিনি জানলেন?এই রকম বহু বিষ্ময়কর ঘটনা আর তার থেকে উদ্ভুত নানা প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্য সারা বিশ্বে গবেষণা চলছে বহুকাল ধরে কিন্তু কোনো সঠিক তথ্য আজ ও পাওয়া যায়নিনানা রকম ব্যাখ্যা যুক্তি খাড়া করা হয়েছে কিন্তু কোনটাই প্রমানিত সত্য বলে গৃহীত হয়নিআমার মনেও কতক গুলি বিষয় দারুন ভাবে নাড়া দিয়েছে,বিস্তারিত তথ্য,প্রমানাদি জোগার করে রহস্যের সমাধান কোরতেই হবে পাথরের গায়ে স্পেস স্যুট পরাআঁকা মুর্তির ছবি আছে,যা আধুনিক মহাকাশচারীদের ছবির মতননা চোখে দেখলে কি করে আঁকা হলো?
রজোয়েলের ঘটনাঃ-ঘটনাটি ঘটেছিলো আমেরিকার নিউমেক্সিকোর রজওয়েল শহরে,৮ই জুলাই ১৯৪৭, খবরে প্রকাশ,মরুভূমিতে একটি অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর (UFO) ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় কিন্তু আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এবং সরকার ব্যাপারটি সম্পুর্ণ অস্বীকার করে,সত্য গোপন এর জন্য তাঁরা একটি তদন্ত প্রক্রিয়া প্রহসন "মুগুল" স্থাপন করেছিলোসারা বিশ্বে যে বিস্ময়কর ক্রিয়া কাণ্ডের নিদর্শন ছড়িয়ে আছে অমীমাংসিত রহস্য গুলো যার সমাধান আজ ও হয়নি সেগুলি সৃষ্টির মুলে কি ঐ ভিন গ্রহের উন্নত প্রাণী?অন্য গ্রহে কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে এ নিয়ে প্রকৃত অনুসন্ধান হয়নি,আমেরিকা এই বিষয় টিকে সর্বদাই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেঅনেকের ই ধারনা আমেরিকার হাতে এই বিষয়ে তথ্য প্রমান সব ই আছে তারা গোপন করছে যাতে বিশ্বের অন্য কোন দেশ জানতে না পারে হদিশ না পায় এই উন্নত প্রাণীদের, এদের থেকে বহু কিছু পেয়েছে যা অত্যন্ত গোপনীয়
এরিয়া-৫১- হোলো ,এলিয়েন বা ভিন্ন গ্রহের প্রাণী,তাদের আকাশ যান, তাদের আবিস্কৃত জিনিস পত্রের তথ্য ইত্যাদি সম্পর্কে পৃথিবীর সব থেকে গোপনীয় স্থান বলে চিহ্নিত আমেরিকার নেভাদা অঙ্গ রাজ্যের সামরিক ঘাঁটি 'এরিয়া-৫১' লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিলোমিটার দুরে,গ্রুম লেকের পাশে এর অবস্থান, এখানের আকাশে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকির মতন নানা অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুকে ঊড়তে দেখাযায়
অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রাভিযান বিষয়টি পুরোটাই বিতর্কিত সাজানো নাটক বলে অনেকের ধারনা এরিয়া-৫১ কর্মরত পদার্থ বিজ্ঞাণী বব লেজার ,তিনি দাবী করেন এই এরিয়া -৫১ এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয় যা এখন ও পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়নি বলেই অঘোষিত , সুপার নোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকে সংগৃহীত এই সব মৌল,এর মধ্যে এমন মৌল আছে যেটি ৪৭টি১০ মেগাটনের হাইড্রোজেন বোমা বানানোর পক্ষে যথেষ্টবহু মৌল যুগান্তকারী বিপ্লব সৃষ্টি কোরতে সক্ষম, এখন ও ঘোষনার অপেক্ষায় আছে সময় কে স্থির করে রাখা যায় এমনসব ও পদ্ধতি ও মৌল এন্টিম্যাটার তৈরী করে,তার বিপুল ক্ষমতা বা শক্তি সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত হয়, এই বিপুল শক্তি  অ্যান্টিম্যাটার রিয়াক্টারে শক্তি উৎপাদিত হয় তার ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তি তেই তা বিদ্যুৎ বেগে ধাবিত হয়,এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করেই উচ্চ গতি সম্পন্ন মহাকাশ যান, অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু, ফ্লাইং সসার তৈরী করা হয় বিজ্ঞাণী বব লেজার আরো জানান এখানে এলিয়ান সহ ধংস হয়ে যাওয়া অশনাক্ত ঊড়ন্ত যান ফ্লাইং সসার আছে,যা সম্ভবত ১৯৪৭ রজোয়েলথেকে  সংগৃহীত, ঐ  মরুভূমি থেকে ধংস হয়ে যাওয়া মহাকাশ যানের সাথে এলিয়েনের দেহ উদ্ধার করে  গোপনে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে গবেষণার জন্যএ সব ই এখানে আছে, এলিয়েনের দেহ ব্যবচ্ছেদ করে জানা গেছে সম্ভবত প্রাণীটি রেটিকুলাম-৪ নামক জ্যোতিষ্ক থেকে এসেছে,প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিনফুট,শরীর লোম হীন , দুটি কালো বড় বড় চোখ, শরীর কৃষ্ণকায়ফুস ফুস বা হৃদপিণ্ড নেই সেই স্থানে বিশাল একটা পতঙ্গের মতন  একটা কি আছে
এরিয়া -৫১ একটি বিশাল (নেলিসের বিমান বাহিনী) সামরিক বাহিনীর অপারেশন ঘাঁটি ,যার আয়তন প্রায় ২৬০০০ বর্গ কিলো মিটারএটি পশ্চিম মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে এবং লাসভেগাস থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম রেকেল গ্রামের কাছে গ্রুম হৃদের দক্ষিন তীরে অবস্থিতমার্কিন সেনা বাহিনীর মতে পরীক্ষামুলক উড়োজাহাজ তৈরি,অস্ত্রশস্ত্রের সিস্টেম পরীক্ষা করা ও উন্নতি সাধন করাই এখানের মুল কাজকিন্তু এই স্থানের গোপনীয়তা ও তার ধরন টাই সন্দেহ জনক সারা বিশ্বের  মনুষ্য সৃষ্ট  সর্বাপেক্ষা রহস্যাবৃত দুর্লভস্থান ,যেখানে দুর্ভেদ্য ঘেরা বেষ্টনী ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ অসাধ্য ,আকাশ পথে ও কড়া নিরাপত্তা, এখানে আসার অনুমতি আছে কেবল  মাত্র সেই বিমান যান গুলি এই আকাশ পথের উপর দিয়ে যেতে পারে, এমন কি কেহ যদি ভুল ক্রমেও এই এলাকায় প্রবেশ করে তার প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে সতর্কতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে
 মহাকাশে উড়ন্ত অশনাক্ত বস্তু যাতে ভিন্ন গ্রহের থেকে কোনো প্রাণী এই বিশ্বে এসে থাকতে পারে যাদের কে এলিয়েন  আবার ধর্মীয় পুস্তকে দেবতা  হিসাবে গন্য করা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে এদের নিয়ে নানা চিত্র নানা কাহিনী বিবরণের ঊল্লেখ পাওয়া গেছে বিশ্বের নানা বিস্ময়কর বস্তু ঘটনা প্রাপ্ত নানা সামগ্রী থেকে একটা জিনিস আমার কাছে পরিষ্কার, পৃথিবীতে একটা অতি প্রাকৃতিক শক্তি বহু শতাব্দী পুর্বকাল থেকে বিদ্যমান ছিলো, আছে, থাকবে যার প্রকৃত স্বরুপ আজ ও অজানা
 আমার মনে কতক গুলো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যেমন (১) সব ধর্মের পুস্তক বা বর্ণনায় শক্তিমান দেবতা/ইশ্বর/মহামানবদের দেহে আলোক বা তেজ রশ্মির ছটা বিচ্ছুরিত হতে দেখা যায় কেন?পৃথিবীতে সাধারণ কোন মনুষ্যাকৃতি প্রাণী দেহে বিশেষ করে এই ধরনের ছটা যেখানে দেখা যায় না?
(২) দেবতা গনের স্থান সর্বদাই একটি উঁচু বেদীর ন্যায় স্থানে কেনো? (৩) অনেক দেবতাই বর্ম ও অস্ত্র ধারী কেনো? (৪) পুরাণে বর্ণিত বাণ গুলি যেমন অগ্নি বাণ,বরুন বাণ, বজ্র,পাসপত, ব্রহ্মাস্ত্র ইত্যাদি ধারনা কিভাবে সম্ভব যদি বাস্তবে এমন কোনো অস্ত্র নাই থাকে এগুলো আধুনিক দূর নিয়ন্ত্রিত সয়ংক্রিয়
ক্ষেপনাস্ত্র তুল্য (৫) পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যে প্রাচীন সভ্যতার জন্ম হয়েছিলো সেগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই আকস্মিক বিকাশ ঘটেছিলো আবার পৃথিবীর বুকে মহা প্রলয়ের ও বিভিন্ন পুরাকাব্যে উল্লেখ আছে অথচ কারণ অজানা সব ক্ষেত্রেই(৬) ডারউইনের মিসিং লিঙ্ক  এর মত ই মানব জাতির দ্রুত মগজ ও শারিরিক বিকাশের ধারাবাহিকতাটিও আশ্চর্যজনক ভাবে চরম বিকাশে পৌঁচেছে যা অন্য কোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে ঘটেনি এক্ষেত্রেও একটা অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়
এছাড়াও আমেরিকার আকাশযান ও মহাকাশ গবেষণার দ্রুত উন্নতি,অস্ত্র নির্মাণের দক্ষতা, কারিগরি ও চিকিৎসা বিজ্ঞাণে অগ্রগতির মুলে এরিয়া -৫১ এর ভুমিকা আছে বলেই আমার অনুমান
এরপর বেশ কিছু পাতা ফাঁকা কিছুই লেখা নেই, হয়তো এখানে কিছু পরে লিখবেন ভেবে পাতা গুলি বাদ দিয়ে রেখেছিলেন তারপর আবার  লেখা ---------
আমি গতকাল সন্ধ্যায় এরিয়া -৫১ সীমানার ঠিক কাছাকাছি একটি বিস্তৃর্ণ ফাঁকা জায়গায় আমার সৃষ্ট সর্বত্রগামী যান;ত্রিলোক বিহারী' করে এসেছি আগেই লিখেছি, এটি পরিবেশের সাথে নিজেকে একদম মিশিয়ে ছদ্ম রুপ ধারন করে মিশে যায়বাইরে থেকে কোন ভাবেই আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়নাকোন নির্দেশক তরঙ্গ দ্বারাও সম্ভব নয়সব রকম তরঙ্গ শোষন করতে সক্ষম তাই রাডার জাতীয় যন্ত্রে এর অস্তিত্ব ধরা পড়েনাদ্য ভিঞ্চির আবিস্কার নিয়ে গবেষণার সময় এমন বেশ কিছু রহস্যজনক বিষয় জানতে পারি ,বিশ্বের বেশ কিছু অমীমাংসিত রহস্য আমায় ভাবিত করেতখন এই বিশেষ যান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যান টিকে কাছেই লুকিয়ে রেখে এসেছি এটা কারোর নজরেই আসবেনা চারপাশের পরিবেশের সাথে মিশে এক হয়ে আছে
আমি ঠিক করেই ছিলাম আমি এরিয়া-৫১ ভিতরে ঢুকে দেখে আসবো যতটা পর্য্যবেক্ষণ করা সম্ভব,
আমার পরিহিতএই অদৃশ্য পোষাক 'অগোচরআমার এই প্রয়াসকে সফলতা এনে দিয়েছে, পুরোপুরি না হলেও শতকরা ৬০ ভাগ তথ্য জোগার করতে সক্ষম হয়েছিকোনো অনুসন্ধান যন্ত্রের তরঙ্গে এই পোষাকটি ও ধরা পড়েনা,অদৃশ্য থেকে যায় এই পোষাকে লাগানো যন্ত্রে র মাধ্যমেবেশ কিছুটা এলাকার মধ্যে , জল,স্থল, অন্তরীক্ষে ইচ্ছা মতন বিচরণ করা যায় এছাড়া আমার সব প্রয়োজনীয় পরিবহন যোগ্য যন্ত্রপাতি সামগ্রী গুলি সাথে আছে, যেমন খাওয়ার বিকল্প ইনস্টাফুড পিল 'পুষ্টি', এটি ভেষজ বটিকা , আছে সর্বরোগ হর 'সঞ্জীবন' ট্যাব্লেট,পানীয় জলের চাহিদা মেটায় দু ফোঁটা 'জীবনামৃত' আমার আত্মরক্ষার অস্ত্র মাইক্রো ওয়েভ কম্পাউণ্ড লেসার ডিমিনিশিং গান 'দুর্বাশা' এটি হাতের রিস্টে লাগানো রিস্টোয়াচের মতন, এটি আসলে টেলী ইলেকট্রোম্যাগ্নেটিকমাইক্রো ওয়েভ জেনারেটর উইথ ইন্টেন্সিভ লেজার গান এটি ও আমার সাথে থাকেইয়েতি অনুসন্ধানের সময় এটা খুউব কাজে লাগে
আমি এরিয়া-৫১ অনুসন্ধান করে যা দেখেছি ও বুঝেছি তা সংক্ষেপে লিখে রাখছি,আবার আসতে হবে, অনেক কিছু জানার আছে এবারে সুযোগ হোলোনা
গ্রুম লেকের ধারে সুপরিকল্পিত  সুসামঞ্জস্য ও সন্নিবেশীত বিশাল কর্ম যজ্ঞ ক্ষেত্র মৌমাছির চাকের মতন অনেক প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট, ছাউনি, কর্মশালা ও পরীক্ষাগার একত্রে ঘেরা এক একটি ক্ষেত্র,এ রকম ১০/১২ টা ক্ষেত্র এই এরিয়া ৫১ মধ্যেই কাছাকাছি সন্নীবেশীত স্থানে ছড়ানো রয়েছে অনেককর্মী এখানে কর্ম রত, প্রত্যেকের সুন্দর সুন্দর ইউনিফর্ম, কর্মশালা ও গবেষণাগারের ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি কারন অনেকগুলো বন্ধদ্বার ও প্রতিবন্ধকতা   পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয় যার জন্য অনেক সময় ও সুযোগ থাকা দরকার,যত টুকু দূর থেকে দেখতে পেয়েছি বুঝেছি এখানে  মুলতঃ মহাকাশ ও মহাকাশ যান নিয়ে ই গবেষণা করা হয় হাজারো উন্নত যন্ত্রপাতি সাজ সরঞ্জাম  দেখলে মাথা ঘুরে যায়, আমি আর কত টুকুই বা দেখতে পেয়েছি? হাজার ভাগের এক ভাগ মাত্র অনেক রোবট আছে তার মধ্যে প্রকৃত এলিয়েন থাকলেও এতো অল্প সময়ে দূর থেকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি গবেষণাগারের এই এলাকার মধ্যে এক বিশেষ ধরণের আলোক ব্যবস্থা করা আছে যাতে কোনো রকম আলোক রশ্মি দৃশ্যমান বা অদৃশ্যরশ্মি দ্বারা ছবি তোলা যাবেনা,তাপ বিকিরণ পদ্ধতি দ্বারাও সম্ভব নয়, প্রকোষ্ঠগুলি স্বচ্ছ কাঁচের মত, কোনো বিশেষ কিছুদ্বারা ঘেরা ঢাকা যাতে বাইরে থেকে সব দেখাগেলেও প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরের বাইরে কোনো শক্তি বিকিরিত হয়না অন্তরক বা আবরকে মোড়া থাকায়,বিশেষ ধরণের জ্যামার ব্যাবস্থা আছে যাতে কোনো,শব্দ বা সংকেত বাইরে না আসে, সব তরঙ্গকেই প্রতিহত করে এই রকম ব্যবস্থা থাকতে পারে ভাবিনি,তাই কোনো রকর্ডিং এবার সম্ভব হোলোনাএখান কার কিছু জায়গার প্রাকৃতিক ভুমি রুপ হুবহু চাঁদের ভুপৃষ্ঠের যে চিত্র,নমুনা যা অ্যাপোলো-১১ থেকে পাওয়া গেছে সেই রকম এখানে অবশ্য ই কৃত্রিম ভাবে ঐ চন্দ্রাভিযানের কাহিনী চিত্র বানানো সম্ভব উন্নত প্রযুক্তিতে আসল নকল বোঝা যাবেনাবাইরে কোনো অসনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর,উড়ন্ত চাকির দেখা পেলাম না তবে গোপন কোন স্থানে ওগুলো থাকা সম্ভব কারণ বহু বড় বড় আস্তানা ছাঊনি মাটির উপরে, হয়তো মাটির নীচে ও আছে যেখানে আমি যেতে পারিনি এখানে দূর থেকেই বেশ কিছু অতি উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ,যন্ত্রপাতি র ক্রিয়া কৌশল দেখেছি যা বিশ্বে অজানা অঘোষিতদুর থেকে কতক টা সুকুমার রায়ের খিচুরি কবিতার জিরাফ আর ফড়িং এর মিশ্রিত রুপের প্রাণী কে ঘেরা এলাকার মধ্যে জলাশয় থেকে গাছের ডালে ঝোঁপের আড়ালে ঊড়ে যেতে দেখেছি, এই ঘেরা জায়গায় নিশ্চয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করা আছে নইলে গ্রুম লেক সহ এখানে বাইরে সর্বত্র জল জমে বরফ অথচ এই ঘেরা স্থানে জলাশয়ে জল রয়েছে জমেনি  অনেকগুলি বিমান অবতরণের ক্ষেত্র রয়েছে
হঠাৎ করে প্রবল তুষারপাত শুরু হওয়ায় আমি এরিয়া ৫১ থেকে বেড়িয়ে দ্রুত আমার  'ত্রিলোক বিহারী ' যানে ফিরে এলাম ,এবারের মত তথ্যানুসন্ধান শেষ করে কিছু দিন বাদে আবার আসবো, তখন যেকোনো রকম ভাবেই হোক আমার তোলা  ছবি থেকে সব প্রাপ্ততথ্য রেকর্ডিং করে নিয়ে যাবো, যেটা এবার সম্ভব হোল না
 



যঅনেকদিন পর একটা বড় রহস্য গল্প পোস্ট কোরছি ,৬ কিস্তিতে লেখাটা সমাপ্য কিষাণগঞ্জের বাগানবাড়ির রহস্য' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল নটা বাজতে দশ , সদর দরজার কলিং বেল টা বেজে উঠতেই খবরের কাগজ পড়ার থেকে মুখটা তুলে দরজার দিকে তাকালো কৌশিক,ততক্ষণে আমি অর্ক মানে কৌশিক রায়ের মাসতুতো ভাই সদর দরজায় হাজির, কৌশিকদার ইশারায় অনুমতি পাওয়ায়,দরজার ছিটকানিটা খুলে দরজার পাল্লা খুলতেই দেখি এক পৌঢ় ভদ্রলোক বয়স ৪৫/৫০ এর কাছা কাছি হবে,পরনে হাফ হাতা শার্ট আর ধুতি, জোড় হাতে নমস্কার জানিয়ে জিজ্ঞাসা কোরলেন আচ্ছা এটা কি প্রাইভেট ডিটেক্টিভ মিস্টার কৌশিক রায়ের আবাস?আমি প্রতি নমস্কার জানিয়ে বোল নাম হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন উনি এখনেই থাকেন।ভদ্রলোক অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানতে চাইলেন এখন কৌশিক বাবুর সাথে দেখা হবে কি? হ্যাঁ নিশ্চয় হবে ভিতরে আসুন বলে ভদ্রলোক কে ভিতরে এনে বসালাম ,ততক্ষনে কৌশিক দা ভিতরে গিয়ে গায়ে পাঞ্জাবী গলিয়ে এসেছেন, আমি ভদ্রলোক টিকে বোললাম কোশিক দাকে দেখিয়ে ইনি হলেন কৌশিক রায়,যাকে আপনি চাইছেন। ভদ্রলোক কৌশিক দাকে হাতজোর করে নমস্কার জানিয়ে বোললেন 'নমস্কার আমি ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত চন্দননগরে থাকি আমার বাজারে কাপড়ের দোকান আছে অনেক দিনের ব্যবসা।মোটামুটি ব্যাবসায় ভালো ই চলে যায়। আমার এমনি কোন সমস্যা নেই কিন্তু একটা অন্য ব্যাপার, আমার একটি উত্তর দিনাজপুরে বিহারের কিষাণগঞ্জের লাগোয়া জাতীয় সড়ক যেটা ডালখোলা থেকে শিলিগুড়ি গেছে পাঁজিপাড়ার মধ্যে ওটা কিষাণ গঞ্জ ও বলা চলে আমার একটা বহু দিনের পুরানো বাগান বাড়ি আছে, ঠিক মত রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে খুউব ই ভগ্ন দশা। স্থানীয় একজন দেখা শোনা করে দুটি ঘর একটি রান্না ঘর বাথরুম পায়খানা সবই ই ছিলো এখন ভাঙ্গাচোরা ভাঙ্গা।আমি বছর তিনেক আগে পুজার সময় দুচারদিন থাকবো বলে গেছিলাম কিন্তু ঘর দোরের যা অবস্থা তায় ইলেক্ট্রিক নেই রাতে হাজার রকম পোকা মাকড়,জন্তু জানোয়ার, পিছনে জঙ্গল রাস্তার ধারে কোনো লোকজনের ঘর বাড়ি তেমন নেই , দোকান পাট সব সন্ধ্যার পর পর ই বন্ধ হয়ে যায় । জায়গাটা একটু নির্জন।একটা ঘরেচৌকি পাতা আছে শোবার জন্য অন্য ঘরে ঢাঁই করা ভাঙ্গা পুরানো আসবাব পত্র এই টেবিল,চেয়ার, শেলফ আলমারী বাস্ক তোরঙ্গ এইসব। ঘরে পা দেওয়ার উপায় নেই। রান্না ঘরটা বন্ধ, যাওয়ার পথ আগাছায় ঢাকা।বাইরে দোকানের থেকে রাতে খাওয়ার জন্য রূটি আর তরকারী আনাই ছিলো খেয়ে বেশী রাত না করে ৯টা নাগাদ শুয়ে পড়ে ছিলাম হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো একটা গোঙ্গানী আওয়াজে, পাশের ঘর থেকে আসছে চাপা আওয়াজ, আমি কান খাড়া করে বিছানায় ঊঠে বোসলাম, এরপর ফুঁপিয়ে কান্না,আমার ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাবার জোগার, ভুতের ভয় নয় কোনো সমাজ বিরোধীদের কাজ নাকি?কাউকে ধরে এনে আটকে রেখেছে? আমি টর্চ নিয়ে সাবধানে এগুলাম হাতে বড় একটা লোহার রড নিলাম আগেই জোগার করে রেখে ছিলাম । পাশের ঘরের দরজার কাছে পৌঁছানোর আগেই শুরু হোলো অট্টহাসি, আমি টর্চএর আলো ফেললাম ঘরের মধ্যে সর সর ক রে আওয়াজ করে কি একটা ভামের মতন জন্তু চলে গেলো।ঘরে অগোছালো ভাঙ্গা আসবাব ছাড়া কিছু দেখতে পেলাম না। চার পাশে টর্চেরআলোয় দেখে আবার পাশের ঘরে চৌকিতে শুলাম। ব্যাস আবার শুরু হোলো এবার চিৎকার মেয়েলী কন্ঠে আমায় মেরো না পায়ে পড়ি জাতীয়, ঠিক বাঙলানয় আবার হিন্দী ও নয়, বোঝা যাচ্ছে খুউব অসুবিধা হচ্ছে না। এবার চুপি চুপি এগিয়ে সবে দরজার কাছে গেছি হঠাৎ পিছন থেকে দুটো ঠাণ্ডা বরফের মতো হাত আমার চোখ মুখ চেপে ধরে ওই ঘরে ঘাড় গুঁজরেঠেলে ঢুকিয়ে দিলো টর্চ কোথায় ছিটকে গেলো জানিনা।আমি ঘরের মধ্যে পড়ে যেতেই মনে হোলো দোয়াল ভেদ কোরে একটা সাদা চাদরে মোড়া দেহ এগিয়ে আসছে আমার দিকে, তীব্র চোখ ধাঁধানো আলো চোখে পড়ায় সব অন্ধকার মাথা ঝিম ঝিম কোরতে লাগলো মনে হোলো অন্ধ হয়ে যাচ্ছি, কানের কাছে তালা লাগানোর মতন তীক্ষ্ণ কিন্তু জোরে নয় শিষের আওয়াজ,শরীর টা ক্রমশ অবসন্ন হয়ে আসতে লাগলো ঘরে একটা ঝাঁজালো গন্ধে,একটাধোঁয়া নাকে মুখে ঢুকতে লেগেছে, কাশি হোলো বার কয়েক এরপর ঘরের মাঝে নানান ভয়ঙ্কর দৃশ্য, বিভৎস জন্তু জানোয়ারের মুখ এ দেওয়ালে ও দেওয়ালে ভেসে উঠতে লাগলো। এর মাঝে ছিটকে আমার গায় হাতে টাটকা রক্ত এসে লাগলো অথচ ঘরে কেউ নেই, আধ ঘণ্টা হবে আমি জ্ঞান হারাই।আমারজ্ঞানফেরে পরদিন সকালে আমাদের কেয়ার টেকার রাম বিলাস এসে চোখে মুখে জলের ঝাপ্টা দেওয়ায়, আমি পাশের ঘরের চৌকাঠে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে ছিলাম।আমাকে রাম বিলাস বোললো বাবু ইসি লিয়ে আপকো হিঁয়া রাতমে রহনে মানা কিয়া ,বহুত ভুতপিরেত হ্যায়, এ মকান ভুত পিরেত কে মকান। এর পর রাম বিলাস যা বোললো রাতে এখানে নানা রকম আওয়াজ শোনা যায়, কালো কালো ছায়ার মতোন ভুত ঘোরা ঘুরি করে ঘরে বাগানে, আলোতে সব মিলিয়ে যায়। সবাই এই বাড়িকে এড়িয়ে চলে এটা সবাই জানে ভুতের বাড়ি।বাড়িটা বিক্রী করে দেবার চেষ্টা করেছিলাম কেঊ দাম দিতে চায়না, ভেবেছিলাম থাক পরে দেখা যাবে। গত মাসে আমার এক ভাগ্নে আমাকে এসে খুউব অনুরোধ কোরলো বাড়িটা কিছু দিনের জন্য যদি ওকে থাকতে দি ও ওখানে থেকে বিহার থেকে ঘি এনে স্টক কোরে এখানে সাপ্লাই কোরবে, এছাড়া ওখানের থেকে , বাংলা দেশের মশারী, তাঁতের কাপড়,নেপালের নানা জিনিস এনে এখানে ভালো দামে বিক্রী হবে ,পুর্বে বাংলাদেশ, উত্তরে শিলিগুড়ি পাশে নেপাল তাই দারুন ব্যবসার জায়গা। আমি সাগ্রহে রাজী হলাম যদি বাড়িটার গতি হয়।কিন্তু বরাত ভাগ্নে তিন রাত্রি ও কাটাতে পারেনি ওকেতো তুলেই নিয়ে যাচ্ছিলো ওর জ্ঞান ছিলোনা পাঁচিলের ধারে পড়ে ছিলো, রাম বিলাস ই ওকে উদ্ধার করে এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে ভাগ্নে নাক কান মুলেছে আর অ মুখো হবেনা কোনোদিন।ব্যবসায়ী (ক্রমশ-২) পর্ব-২ [ পুর্ব সুত্র ঃ চন্দননগরের কাপড় ব্যবসায়ী ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত সকালে প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কৌশিক রায়েরবাড়িতে এসে জানালেন যে তাঁর একটি পুরাতন বাগানবাড়ি উত্তর দিনাজ পুর আর বিহারের কিষাণগঞ্জএর লাগোয়া পাঁজিপাড়া অঞ্চলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে উনি বাড়িটি বিক্রয় করিতে ইচ্ছুক কিন্তু বাড়িটিতে অদ্ভুত সব ভুতুরে কাণ্ড, উদ্ভট কাণ্ড ঘটায় ভুতেরবাড়ি নামে অপবাদ রটেছে,তিনি নিজে ও বছর তিনেক আগে গিয়ে দেখে এসেছেন, এক রাতের বেশী থাকতে পারেন নি।ওনার ভাগ্নে কিছুদিন আগে গিয়ে তিন দিনের বেশী থাকতে পারেনি প্রান নিয়ে ফিরেছে ওমুখো হবেনা। বাড়িটি একজন কেয়ার টেকার দেখাশুনা করে।] কৌশিক রায় সব শুনে বললো, এই কেসে আমার কি করনীয় ? ভুতুড়ে কাণ্ড যখন তখন ভালো ওঝার কাছে যান। এই শুনে ভুপেন্দ্র বাবু জোড় হাত করে বোললেন ও কথা বোলবেননা স্যার,এ যুগে মানুষ চাঁদে পৌঁচেছে, মঙ্গলে যাচ্ছে তখন ভুতের কাণ্ড অসম্ভব , এর পিছনে নিশ্চয় কোনো রহস্য আছে যেটা আপনি ই পারেন ভেদ কোরতে, থানা পুলিশ কোরে ছি কোনো লাভ হয়নি সবাই বিষয় টা মজা কোরে উড়িয়ে দিয়েছে বোলেছে ফাঁকা বাড়িতে নেশা করে ভুত দেখেছি। কৌশিক সব শুনে ভুপেন্দ্র বাবুকে বোললো আমি একবার আপনার ভাগ্নের সাথে সাক্ষাতে কথা বোলতে চাই , তারপর ঠিক কোরবো কি করনীয় ওখানে যেতে হোলে কবে যাবো? আপনার ভাগ্নে কবে এখানে কখন আস তে পারবে? আমায় ফোন করে জানিয়ে দেবেন এই নিন আমার পরিচয় পত্র,এই বলে টেবিল থেকে বাক্স থেকে বার করে একটা ভিজিটিং কার্ড ভুপেন্দ্র বাবুর হাতে তুলে দিলো। ভুপেন্দ্রবাবু হাতে কার্ডটা নিতে নিতে বোললেন কাল সকালেই ৯টায় আমার ভাগ্নেকে নিয়ে আমি নিজেই চলে আসবো,আপনি অনুগ্রহ করে দেখবেন স্যার যাতে আমি উদ্ধার হই, আমি ঐ বাড়ি বিক্রী করে গঙ্গাস্নান করে মায়ের পুজা দিয়ে আসবো।কৌশিক হেসে বোললো দেখি যদি মানুষ ভুতের কাণ্ড হয় তবেই আমি ছাড়াতে পারবো নইলেতো ওঝাই লাগবে। ভুপেন্দ্র বাবু চলে যাবার পর আমি কৌশিকদাকে জিজ্ঞাসা কোরলাম, কি বুঝছো? কৌশিকদাবোললো কি আর বুঝবো ? আগে ভাগ্নে বাবু আসুন একটু শুনি জায়গাটা যে সুবিধার নয় বোঝাই যাচ্ছে চার পাশেই অবৈধ কারবারের কেন্দ্র ,রাজ্য ও রাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকা যত রকম অনৈতিক কাজকারবার চলে এইসব এলাকায়।এই ভুতেরা আন্তর্জাতীক অপরাধী হওয়া বিচিত্র নয়,দেখি বাবা জীবনদের। পর দিন সকাল ঠিক ন' টায় ভুপেন্দ্রবাবু সাথে ভাগ্নেকে নিয়ে হাজির হলেন। ভাগ্নের বয়স ৩০শের মধ্যে ভালো চেহারা সুস্বাস্থের অধিকারী দেখে মনে হয়, নাম অলকেশ মিত্র।বেশ চটপটে। ওর সাথে কথা বলে যা জানা গেলো তা সংক্ষেপে এই রকম।গত মাসের ৭ তারিখে বেলা ৩টা নাগাদ বিহারের কিষাণগঞ্জ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের জাতীয় সড়ক যেটা ডালখোলা থেকে শিলিগুড়ির দিকে গেছে NH-31 পরস্পর লাগোয়া সেই খানেই ভুপেন্দ্রবাবুর পোড়ো বাগান বাড়ি অবহেলা অযত্নে আগাছা গাছপালা জঙ্গলে ঢাকা জাতীয় সড়কের ধারেই, তবে রাস্তার ধারে দখল করে মোটর সাইকেল, ,গাড়ি সারানোর দোকান ,চায়ের ,পুরী তেলেভাজার দোকান । বাগান বাড়ি প্রায় ঢাকা পড়ে গেছে। পাঁচিলের চার পাশে বড় বড় গাছ পালা, না জানা থাকলে বোঝা শক্ত ওখানে পাঁচিলঘেরা কোনো বাড়ি আছে।আগে থেকে খবর দেওয়া থাকায় রাম বিলাস বাসস্ট্যাণ্ড থেকে অলকেশকে নিয়ে আসে ওই বাগান বাড়িতে। চৌকিটা ঝেড়ে মুছে সামান্য সাফ করা ঘরে ঝুল, মাকড়সার জাল, চামচিকে, বাদুর সব ই আছে, রামবিলাসের কথায় কি কোরবেন বাবু এই ভুত পিরেতের বাড়িতে কেঊ কাক পক্ষীও আস্তে চায় না,সবার ই তো প্রাণের ভয় আছে।অলকেশ কে দুপুরের খাবার ১২টায় আর রাতের খাবার সন্ধ্যার ঠিক আগে দিয়ে যাবে, সকাল আর বিকালের চা, বিস্কুট ঐ রাস্তার ধারের দোকানে মিলবে। ঘরে মোটা বাঁশের লাঠি, একটা টাঙ্গি , হ্যারিকেন খাবার জলের গোটা চারেক বোতল ,দেশ্লাই ইত্যাদি গুছিয়ে রেখেছিলো। সন্ধ্যার খাবার পৌঁছাতে এসে বার বার সতর্ক করে দিয়ে যায় , চার পাশে কোন লোক বসতি নেই তাই রাত বিরেতে যেন ভুলেও না বের হই। প্রথম দিন ক্লান্ত ছিলাম রাত ন' টার মধ্যেই শুয়ে পড়ে কিন্তু রাত ১২টা থেকে নানা রকম আওয়াজ ভারী জিনিস পত্র টানা টানি, বাক্স প্যাঁটরা তোলা পাড়া, হাতুড়ি পেটানো এইসব, যেই উঠে বোসতে যাবে, মুখের উপর ঠাণ্ডা বরফের মত হাত চেপে ধরলো, তারপর মনে নেই।ঘুম ভেঙ্গেছিলো বেলা করে, রাতের ঘটনা কাঊকে কিছু বলেনি। সকালে ওই বারি থেকে বেরূতে দেখে গ্যারেজের লোক,চায়ের দোকানের মালিক ও অন্য কয়েক জন আগ্রহ ভরে জানতে চেয়ে ছিলো, কিজন্য এসেছি ক'দিন থাকবো? বাড়ির খদ্দের পেয়েছি কিনা এই সব। প্রশ্ন গুলোর ঊত্তর কোন রকমে দিয়ে ঘরে এসে বোসতেই গোটা তিনেক স্থানীয় মস্তান গোছের লোক এসে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু কোরলো বাড়িটা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ? কত টাকা পেলে বেচবো?দলিল কাগজ সব ঠিক আছে কি না? ওখানে বড় বিজনেজ শপিং সেন্টার করার পরিকল্পনা, তাই চটপট যেন সিধান্ত নিয়ে বেচে দেই, দু দিন বাদে আবার আসবো বলে চলে গেলো। ক্রমশঃ-৩ পর্ব-৩ [পুর্ব সুত্র ঃ চন্দননগরের কাপড় ব্যবসায়ী ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কৌশিক রায়কে জানালেন যে তাঁর একটি পুরাতন বাগানবাড়ি উত্তর দিনাজ পুর আর বিহারের কিষাণগঞ্জএর লাগোয়া পাঁজিপাড়া অঞ্চলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে বাড়িটি বিক্রয় করিতে ইচ্ছুক কিন্তু বাড়িটিতে অদ্ভুত সব ভুতুরে কাণ্ড, উদ্ভট কাণ্ড ঘটায় ভুতেরবাড়ি নামে অপবাদ রটেছে, তিনি ও তাঁর ভাগ্নে দেখে এসেছেন,কিন্তুকেঊ তিন রাত্রি ও কাটাতে পারেনি। কৌশিক রায় নিজে ভাগ্নের সাথে কথা বোলতে চাওয়ায় চটপটে ৩০/৩৫ বছরের ঐ ভাগ্নের মুখ থেকে জানলেন, ঘন জঙ্গলে ঘেরা পুরানো ভাঙ্গা বাড়ি,চার পাশে কোন লোক বসতি নেই, রাতে নানা রকম বিচিত্র আওয়াজ,স্থানীয় মস্তান এসে জানতে চেয়েগেছে বাড়িটি বিক্রী হবে কিনা? ওখানে সপিং মল হবে ] ওই দিন রাত্রে ঘটলো প্রথমে পাশের ঘরে সেই ভৌতিক আলো শব্দ হাসি তার পর এখানের সব বন্ধ রান্না ঘর আর পিছনের দিকে ধুপ ধাপ ভারী মাল পত্র ফেলার শব্দ কালো কালো কতক গুলো ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে।আমি হাত বাড়িয়ে টর্চ খুঁজতে গিয়ে দেখি আমি বারান্দায় মেঝেতে শুয়ে আছি ।মাথা ভার তুলতে পারছিনা,হাত দুটো ভারী জিনিস দিয়ে চাপা দেওয়া পাদুটো ও তাই। আমি আবার আচ্ছন্ন মতন হয়ে পড়ি। সকালে রোদ এসে মুখে পড়ায় স্মবিৎ ফিরে আসে দেখি আমি বারান্দায় চিৎ হয়ে শুয়ে আমার দুহাত মাথার দুপাশে ছড়ানো পাদুটো সোজা, পায়ের পাশে একটা ভাঙ্গা কাঠের বেঞ্চ আর হাতের দুপাশে দুটোভাঙ্গা চেয়ার মনে হয় পাশের ঘর থেকে আনা হয়েছে কাল রাতেও শোবার আগে দেখিনি। আমি কোন রকমে উঠে আস্তে আস্তে ঘরে চৌকিতে গিয়ে বোসলাম, মাথাটা ভার ভার লাগছে।মনে মনে ঠিক কোরলাম আজ রাতে ব্যাপারটার শেষ দেখে ছাড়বো তারপর না হয় রায়গঞ্জে আমার কলেজের বন্ধু তাপস শীলের বাড়ি ও সরকারী সেচদপ্তরে কাজ করে ওর সাহার্য্য নেওয়া যাবে। আজ কে রাতে ঘুমাবোনাসন্ধ্যা সবে হয়েছে চারপাশে অন্ধকার হয়েছে এমন সময় দেখি বাইরের গেট খোলার আওয়াজ জনা চারেক লোক আমার ঘরের দিকেই আসছে, কাছে আস্তে ওদের দিকে চেয়ে আমার ভয়ে প্রাণ জানি উড়ে গেলো,ওরা যে এক একটি দাগী আসামী দেখলেই বোঝা যায়,যেমন গুণ্ডার মতোন চেহারা তেমনিপোষাকআষাক, এসে সোজা আমাকে হুমকি' বলি কি কোরতে এই ভুতের বাসায় এসেছো চাঁদ মতলবটা কি ? এমনি তো কেঊ প্রাণ হারাতে এখানে এসে থাকেনা ? রাত্রিতে কেঊ বিগত দশ বছরে এখানে কাটাই নি ।কোনো বদ মতলব না থাকলে সুখে থাকতে ভুতে কিলোতে কেঊ আসে? জঙ্গী ?, আতঙ্কবাদী ?,লাস এখানে পড়ে থাকবে কেঊ টের পাবেনা বলে দিলুম, ভালোয় ভালোয় কেটে পড়ো, ভুতের বাড়ি যেমন আছে থাক , কুমতলবে এখানে আস্তানা গেড়ো না, আমাদের এলাকায় কোনো অশান্তি নেই ,এই তোমার জন্য কিছু হলে ছাড়বোনা জ্যান্ত পুড়িয়ে মারবো। আর তোমরা যদি এই বাড়ির মালিক হও তা হলে জেনে রাখো এ বাড়ি যেমন আছে তেমন ই থাকবে বিক্রী বাট্টা চোলবেনা, ভুতেদেরতো থাকার একটা আস্তানা চাই? সব কেড়ে নিলে চোলবে কেনো ?তখন ওরা লোকালয়ে ঝামেলা কোরবে, বস্তিতে মড়ক লাগবে,একে ওকে ভুতে ধোরবে ,ঘাড় মটকাবে।তাই বলি ভালো চাও তো বাপু আজ রাতে না হলে কাল ভোরে এখান থেকে কেটে পড় বাপু,কাল বেলায় যদি তোমায় এখানে দেখি তাহলে ভুতে নয় আমরা ই তোমায় নিকেষ করে দেবো, মনে থাকে যেন, এই বলে লোক গুলো যেমন হুড়মুড়িয়ে এসেছিলো তেমন ই দুড়দাড় করে নিমেষে বেড়িয়ে চলে গেলো। আমি ভয়ে আতঙ্কে হতভম্ব হয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া খেয়ে নিলাম, এবার দেখলাম চোখের পাতা আপনি ভারি ভারি হয়ে আসছে, ঘুমে ঢুলে পড়ে যাচ্ছি, চৌকিতে শুয়ে পড়তে বাধ্য হলাম। মাঝ রাতে মনে হোলো আমায় কয়েকজন মিলে চ্যাঙদোলা করে ঘর থেকে বার করে নিয়ে যাচ্ছে।আমি চোখ চাইবার চেষ্টা কোরলাম, বুঝলাম চোখ বাঁধা,মুখটাও বাঁধা। আমাকে নিয়ে গিয়ে কোথাও নামিয়ে শোয়ালো মনেহয় মাটিতে ঘাস পাতার উপর তারপর মনে নেই। আবার অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিলাম , যখন জ্ঞান ফিরলো দেখি রামবিলাস আরো অনেক লোক আমাকে ঘিরে, মাথায় চোখে মুখে জল দিয়েছে আমি পাঁচিলের পাশে বাগানে শুয়ে আছি। রামবিলাস বারবার আমায় ওখান থেকে চলে আসার জন্য বোললো, গ্রামের লোক ক্ষেপে গেলে মুস্কিল হবে ওরা এক রোখা মানুষ।আমিতাই ঐ দিন ই এখানে ফিরে আসার গাড়ি ধরে চলে আসি। যব্বর শিক্ষা হয়েছে, আরও মুখো হচ্ছিনা, এই পর্য্যন্ত বলে অলকেশ বাবু থামলে কৌশিকদা জানতে চাইলোআচ্ছা রামবিলাস কত দূরে থাকে? ভুপেন্দ্র বাবু বোললেন ১/২ কিলো মিটার দুরের বস্তিতে থাকে ।ওরা বরাবরের বংশানুক্রমিক ভাবেই ওই বাড়ির কেয়ার টেকার, ৩০ বছর আগে ভুপেন্দ্রবাবুর বাবা কিষাণগঞ্জে রেলের চাকুরী সুত্রে ছিলেন তখন সস্তায় এই বাগান বাড়িটি কেনেন, বছর পাঁচেক ছিলেন এই বাড়িতে তারপর এই হাওড়াতে বদলী হয়ে এসে রিটায়ার করেন। এরপর বার দুয়েক ঐ বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দু দশ দিন কাটিয়ে এসেছেন তা বাবা আজ মারা গেছেন বাইশ বছর এরপর আর ওখানে গিয়ে তেমন থাকা হয়নি, রাম বিলাস কে লোকমাফত বছরে একটা টাকা দেওয়া হয় দেখা শোনা আর ওর পারিশ্রমিক বাবদ।বিগত ১০/১২ বছর যাবার ফুরসৎ মেলেনি বছর তিনেক আগে আমি একদিনের জন্য যা গেছিলাম আর এই মাস খানেক আগে ভাগ্নে ব্যাস।আমাদের অভিজ্ঞতা তো শুনলেন এবার আপনি এই রহস্য সমাধান করে বাঁচান।কৌশিক রায় কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বোললেন ঠিক আছে আজ সোমবার আগামী বুধবার আমি আর আমার ভাইপো যে আমার সহযোগী বোলতে পারেন ওই বাগান বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছি আসা করি আগামী রবিবারের মধ্যে একটা কিছু ফলাফল আশা কোরতে পারেন। আপনি রামবিলাস কে শুধু বাড়িটা পরিস্কার করে রাখতে বোলবেন আর বাড়ির চাবিটা বুঝিয়ে দিয়ে যেতে বোলবেন, আমাদের পরিচয় আমি আপনার শ্বশুর বাড়ির দিকের আত্মীয় গল্পের বই পত্র লিখি এবার পুজোয় ভুতের গল্প লিখছি তাই কয়েকটা দিন সত্যিকারের ভুতের বাড়িতে থেকে লিখতে চাই সাথে খাবার দাবার আনারজন্য সবসময় কাছে থাকার জন্য ভাইপো থাকছে। ভুলেও নামধাম পরিচয় কোথাও কাঊকে জানানো চোলবেনা। আমরা নিজেরা ঠিক পৌঁছে যাবো অই বাগান বাড়িতে। রাম বিলাস যেন ঐখানেই অপেক্ষা করে, বুধবার বিকাল ৪টায়। ভুপেন্দ্র বাবুরা চলে যেতে আমিবোল্লাম কৌশিকদা এবার বলো কি ব্যাপার তোমার কি মনে হচ্ছে? কৌশিকদা গম্ভীর ভাবে বোল্লেন বিষয় টা গণ্ডোগোলাস মানে কেস জণ্ডিস , মনে হচ্ছে সরষেতেই ভুত, খুউব সাবধান জায়গাটা মোটেই নিরাপদ নয়, আমাকে কালকের মধ্যেই কতোকগুলি দরকারি কাজ সারতে হবে, অনেক টুকি টাকি মাল জোগার কোরতে হবে সব পাবো কিনা জানি না? বেশ কিছু জায়গায় খবরা খবর দেওয়ার আছে খবর নেওয়ার আছে চটপট সারতে হবে। ক্রমশঃ-৪ পর্ব-৪ [পুর্ব সুত্র ঃ চন্দননগরের কাপড় ব্যবসায়ী ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কৌশিক রায়কে জানালেন যে তাঁর একটি পুরাতন বাগানবাড়ি উত্তর দিনাজ পুর আর বিহারের কিষাণগঞ্জএর লাগোয়া পাঁজিপাড়া অঞ্চলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে বাড়িটি বিক্রয় করিতে ইচ্ছুক কিন্তু বাড়িটিতে অদ্ভুত সব ভুতুরে কাণ্ড, উদ্ভট কাণ্ড ঘটায় ভুতেরবাড়ি নামে অপবাদ রটেছে, তিনি ও তাঁর ভাগ্নে দেখে এসেছেন,কিন্তুকেঊ তিন রাত্রি ও কাটাতে পারেনি। একদল মস্তান এসে বাড়িবিক্রীর প্রস্তাব দেয় সপিং মল কোরবে বলে আরেক দল এসে হুমকি দেয় চটপট বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার জন্য রাতে কারা তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞান অবস্থায় উধার করে কেয়ার টেকার , সব শুনে কৌশিক রায় ঐ বাগান বাড়িতে যাওয়া মনস্থ করেন।] বুধবার বিকাল ৪টার মধ্যেই আমি আর কৌশিকদা বিহারের কিষাণগঞ্জের আর ঊত্তর দিনাজপুরের, ইসলামপুর মহকুমার গোয়ালপোখর থানার সীমানা বরাবর জাতীয় সড়কের ধারে একটু ভিতরে গ্যারেজ,দোকান গাছপালার আড়ালে পোড়ো বাগান বাড়িতে পৌঁছে গেলাম, রামবিলাস আগেই হাজির তাই কোনো অসুবিধা হোলো না, আমাদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা কোরতে হবেনা বলাই ছিলো তাই আমাদের ঘর আর চাবি বুঝিয়ে দিয়ে রাম বিলাস চলেগেলো যাবার সময় যথারীতি ভুতের ব্যাপারে সতর্ককরে দিয়ে গেলো, ঘরের বাইরে যেন সন্ধ্যার পর না বের হই।কোন শব্দ বা আলো দেখলেওযেন ঘর থেকে বারান্দাতেও না আসি। জানালাতে সব লোহার জাল দেওয়াই আছে বাইরের কোন জন্তু জানোয়ার ঘরে ঢুকতে পারবে না। নিরাপত্তার জন্য বাঁশের লাঠি, টাঙ্গী, আছে রাতে বাথ্রুমের একান্ত প্রয়োজনে ঘরের লাগোয়া দড়মা ঘিরে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে সাম্প্রতিক অস্থায়ী ব্যবস্থা। কাল সকালে খোঁজ নিতে আসবে এই বলে রাম বিলাস চলে গেলো। তখন ও পুরো অন্ধকার নামেনি আমি আর কৌশিকদা চট করেদুটো ঘর আর চার পাশটা দেখে নিলাম , আমাদের ঘরে বাইরে থেকে ঢোকার কোনো পথ ফাঁক ফোকর আছে কিনা? ভালও করে দেখে নিলাম। ঘরের চৌকিটা দেওয়ালের জানলার পাশ থেকে টেনেঅন্য দিকের দেওয়ালের কাছে নিয়ে গেলাম।কৌশিকদা আমাকে বোললো কটা দিন কপালে দুর্ভোগ, কষ্টআছে রাতে জানলাও খোলা যাবেনা। কৌশিক দা ব্যাগ থেকে দু তিনটে ছোটো দেশ্লাই বাক্সের মতোন আর একটামোটা কালির কলম বার করে আবছা অন্ধকারেই পাশের ঘরে গিয়ে ভাঙ্গা আসবাব গুলোরমধ্যে লুকিয়ে রেখে এলো। আমি আর কৌশিকদা বাগান বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সড়ক পথে কিছুটা গিয়ে একটা রাস্তার পাশে ধাবায় গিয়ে রাতের রুটি তড়কা নিয়ে চলে এলাম। এই ফাঁকে কৌশিকদা কথায় কথায়জেনে নিলো, এই বাগান বাড়ির সামনে যে মোটর মেরামতীর গ্যারেজ, আর চায়ের দোকান ওটা রাম বিলাসের দুই ছেলের, রাতে গ্যারেজে এক ছেলে থাকলেও সন্ধ্যার পর গ্যারেজ বন্ধ করে বাড়ি যায় রাতে শুতে আসে, এই গ্যারেজে রাতে ওদের একটা ম্যাটাডোর গাড়ি ভাড়ায় খাটে সেটা ভাড়া না থাকলে সেটা থাকে। ভুতের বাড়ির চার পাশেই জঙ্গল। পিছনের জঙ্গল একদম গভীর সেই কিষাণগঞ্জের মহানদীআর পুর্ণিয়া যাবার সড়ক অব্ধি, হিংস্র জন্তু জানোয়ার ও আছে।রাতে কেউ এদিকে আসেনাদিনেও খুউব কম লোকই আসে।কৌশিক দা আর বেশী কথা না বোলে ,আমরা দুদিনের জন্য বিশেষ বিপদে পড়ে এসেছি ফাঁকায় থাকতে, কাজটা মিটে গেলে পরশু চলে যেতে পারি, এই ক দিন দুপুরে রাতে থাকলে খেতে আসতে পারি, এই বলে খাবার নিয়ে ফিরলাম। রাতের খাবার খেয়ে ঘরের আলো নিভিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙ্গলো মাঝ রাতে সেই পাশের ঘরে নানা বিকট আওয়াজে। কৌশিকদার ইশারায় চুপচাপ ঘাপ্টি মেরে শুয়ে রইলাম। রাত কেটে ভোর হোলো। ভোর হতেই পাশেরঘর থেকে কৌশিকদা কালকের লুকিয়ে রাখা জিনিস গুলো নিয়ে এলো। সকাল ন টা নাগাদ রাম বিলাস এসে আমাদের খবরা খবর নিলো রাতে ভয়পেয়েছি কিনা,কিছুও ঘটনা ঘটেছে কিনা? আমরা কেমন ছিলাম এই সব।কৌশিকদা বোললো আমরা রাতে মড়ার মতন ঘুমাই বাইরে প্রলয় হোলেও টের পাইনা, এটা চির দিনের অভ্যাস।আমরা আর দুটো দিন থাকবো মনে হয় এর মধ্যে লেখার কাজ মিটে যাবে। রাম বিলাস কে আর কষ্ট কোরে কালঅবধি আসতে হবেনা একদম পরশু সকালেএলেই চোলবে, আমরা কখনবেরূবো বলে দেবো। সময় পেলে এই চার পাশ দিনের বেলাএকটু ঘুরে দেখবো কোলকাতায় তো এমন পরিবেশ গাছপালা ফাঁকা জায়গা দেখা যায়না তাই প্রান ভরে বাতাস নিয়ে নিচ্ছি। ক্রমশঃ-৫ পর্ব-৫ [পুর্ব সুত্র ঃ চন্দননগরের কাপড় ব্যবসায়ী ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কৌশিক রায়কে জানালেন যে তাঁর একটি পুরাতন বাগানবাড়ি উত্তর দিনাজ পুর আর বিহারের কিষাণগঞ্জএর লাগোয়া পাঁজিপাড়া অঞ্চলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে বাড়িটি বিক্রয় করিতে ইচ্ছুক কিন্তু বাড়িটিতে অদ্ভুত সব ভুতুরে কাণ্ড, উদ্ভট কাণ্ড ঘটায় ভুতেরবাড়ি নামে অপবাদ রটেছে, তিনি ও তাঁর ভাগ্নে দেখে এসেছেন,কিন্তুকেঊ তিন রাত্রি ও কাটাতে পারেনি। একদল মস্তান এসে বাড়িবিক্রীর প্রস্তাব দেয় সপিং মল কোরবে বলে আরেক দল এসে হুমকি দেয় চটপট বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার জন্য অজ্ঞান অবস্থায় উধার করে কেয়ার টেকার , সব শুনে কৌশিক রায় ও মাসতুত ভাই অর্ক কিষাণ গঞ্জেরবাগান বাড়িতে যান। চারপাশ দেখে সতর্ক হয়ে থাকেন ,কতক গুলি ছোট জিনিষ পাশের ঘরে লুকিয়ে রাখা হয় , সামনে কেয়ার টেকারের ছেলের মোটর মেরামতীর গ্যারেজ রাতে কেউ থাকেনা] রাম বিলাসের পরিবারেরসব কে কি করে ? জানতে চাইলে রাম বিলাস আক্ষেপ করে জানায় সব কপাল বাবুজী ,তার কথা থেকেঅনুসারে রামবিলাসের তিন ছেলে দুই মেয়ে, মেয়ে দু জনের বিয়ে হয়ে গেছে ,বড় জামাই ক্ষেতী আছে চাষাবাদ করে কোনো রকম চলে যায় ,বাহাদুর গঞ্জের কাছে থাকে, মাঝে সাঝে আসে নাত নাতনী নিয়ে,ছোটজামাই এই কিষেণগঞ্জে থাকে তার একটি ছেলে ছোটো। এক বন্ধুর লেদের কারখানায় মাঝে মাঝে কাজ করে, আয় ভালো নয়, খুউব নাকি খাটুনী,ছোট মেয়ে প্রায় ই আমার এখানে এসে থাকে।ছোট জামাইএর ঐ বন্ধুর একটাসেকেণ্ড হ্যাণ্ড ভালো স্কুরপিও ভ্যান গাড়ি আছে ওটা জামাই চালায় ভাড়া খাটে ,নানা জায়গায় ঘোরে,এখানে এলে রাতের দিকে আসে রাতেই ফিরে যায় এখানে সে থাকেনা । আমার বড় ছেলে মোটর গ্যারেজের কাজ শিখে এই রাস্তার ধারে মোটর সারাই এর গ্যারেজ খুলেছে একটা পুরানো ম্যাটাডোর কিনেছে নিজেই সারাই সোরাই করে ভাড়া খাটায়। ওর দুটি ছেলে মেয়ে স্কুলে পড়ে। মেজছেলে ঐ ম্যাটাডোর চালায় ওর বৌ গ্যারেজের পাশে চায়ের দোকান চালায় ওর এক মেয়ে স্কুলে পড়ে , ছোট ছেলেটাই তেমন কিছুই কোরে ঊঠতে পারিনি ও ভালো লেদের কাজ জানে কিছুদিন শিলিগুড়িতে কাজ ও কোরেছে তারপর মাথায় ভুত চাপলো কিছুদিন রাজনীতি কোরলো দলে পড়ে এক বছর জেল খাটলো,ফিরে এসে অন্য মানুষ, শুনেছি বাড়ি তে প্রায় থাকেই না কখন আসে কখন যায় , । কৌশিকদা মনদিয়ে সব শুনে বোললো,ছোট ছেলে লেখা পড়া কোরেছে? রাম বিলাস জানায় হ্যাঁ স্কুলের লিখা পড়া শেষ কোরে হাতের কাজের কালেজে ওই আই টি না কি বলে ওখানে লেদের কাজ শেখে ,সেখান থেকেই শিলিগুড়ির কাজটা পেয়েছিলো,শিলিগুড়িতে কিছু বাজে বন্ধু জুটে যায় বিশেষ করে ফাগুয়া যাদব বাড়ি মুঙ্গের ওর সাথে মুঙ্গের গিয়ে কি ঝামেলায় পুলিশ ধরে জেল খাটে, তার পর থেকেই বদলে গেছে এই বাড়িতে আর আগের মতন থাকেনা ,খায় দায়না অন্য মানুষ বনে গেছে।তখন লোক মুখে শুনেছি কিষাণগঞ্জে মেসে থাকেওকিছুদিন ওই জামাইএর বন্ধুর লেদের দোকানে কাজ করে ছিলো ওখানে । কোথায় কোথায় ঘোরে ? মাসের মধ্যে অর্দ্ধেকদিনই কোথায় থাকে কেঊ জানে না। বিয়ে থা করেনি। এখন কোথায় আছে জানেনা তিন বছর বাড়ি আসে নি।আমি ওর মুখ দেখিনি কতকাল । কৌশিকদা হঠাৎ প্রসঙ্গ বদলে নিয়ে রামবিলাসকে প্রশ্ন করেন আচ্ছা এই ভুতের বাড়িটা কি বিক্রী হয় না? সস্তায় পেলে প্রোমোটাররাতো লুফে নেবে এতো ভালো জায়গায়। রাম বিলাস বলে তা হতে পারে লেকিন পিরেতের কথা সবাই জানে.ওখানে বড় মকান, দোকান, হোটেল হলে সবসে বড় ক্ষতি ভি হবে আমার ছেলেদের ওদের ব্যবসা ভি বন্ধ হয়ে যাবে, আর ক দিন বাদে আমার ছেলেরা কিনে নিতে পারবে ,এখন রূপেয়ার অসুবিধা আছে, লেকিন ছোটো জামাই বোলেছে ওর বন্ধু সাথে রুপিয়া লিয়ে কিনে নেবে।কৌশিক দা বোল্লেন বাঃ ভালো কথা এটা তোমরা নিলেই ভালো, আমি ফিরে গিয়ে ভুপেন্দ্র দাকে তাই বোলবো। রাম বিলাস চলে যেতে বাইরের গেট বন্ধ কোরে আমরা ঘরে এসে বোসলাম, কৌশিক দা কালকে পাশের ঘরে লুকিয়ে রাখা যন্ত্র পাতি নিয়ে তার ছোট্ট ল্যাপ্টপে লাগিয়ে চালাতেই তাজ্জব কত বিচিত্র আওয়াজ, সাথে কত রং বে রং এর ভৌতিক ছবি ঘরের দেওয়ালে র গায় ফুটে উঠলো। ঘরে দেওয়াল থেকে কিছুটা সামনে একটা সেলোফেনের মতো পাতলা পরদার মতন ঝুলছে তার উপর শুণ্যে ভুতের খেলা , হাসি কান্না এক অদ্ভুত পরিবেশ গাছম ছম করে। কৌশিক দা বোললেন সব লেজারের হলোগ্রাফি, দূর থেকে রিমোট অপারেটেড। দুপুরে খেয়ে এসে আমরা পাশের ঘরে সিলিং এ খুউব কায়দা করে লাগানো রিভলভিং দুটো লেজার প্রোজেক্টর আর ঘরের চার দিকের আসবাবের মধ্যে মিনি প্রচণ্ড পাওয়ারফুল সাউন্ড সিস্টেম খুঁজে বার কোরলাম। কিছু নাড়া চাড়া কোরলাম না। বাগানটা ঘুরে দেখলাম পিছনের দিকে পাঁচিলের কিছুটা অংশ ভাঙ্গা ওখান দিয়ে অনায়াসে লোকজন যাতায়াত কোরতে পারে নিশ্চয় করে কারনবাগানের ওই খানে মাটিতে ঘাস গাছপালা নেই হাঁটা চলার ছাপ স্পষ্ট, ভারী মালপত্র টেনে নিয়ে যাওয়ার ছাপ সুস্পষ্ট। বাগান বাড়ির রান্নাঘরআষ্টেপিষ্টে বন্ধ অথচ ঐ ঘরেরর কাছ থেকেই মাটিতে ভারী মাল টেনে নেওয়ার দাগ। কৌশিকদা আমায় জিজ্ঞাসা কোরলো কি বুঝছিস? আমি বোল্লাম ব্যাপারটা গণ্ডগোলাস মানেকেস জণ্ডিস। কৌশিকদা গম্ভীর ভাবে বোললেন হুম।আজ অপারেশন রান্না ঘর। সন্ধ্যার আগে কালকের পাশের ঘরে রাখা যন্ত্র গুলো আজ রান্না ঘরের টিনের চালের নীচে লুকিয়ে রাখা হোলো। ভাঙ্গা পাঁচিলের ধারে একটা বড় কামিনী ফুলের গাছ তাতেও কৌশিকদা একটা যন্ত্র লাগিয়ে রাখলো। আমরাও গত রাত্রের মতন দরজা জানলা বন্ধ রেখে রাত কাটিয়ে দিলাম ধুপ ধাপ কত আওয়াজ পেলাম টু শব্দ না করে মড়ার মতন পরে রইলাম সারা রাত।পরদিন সকালে যথারীতি রাম বিলাস খোঁজ নিয়ে গেলো রাতে কেমন ছিলাম কৌশিকদা জানালেন আমরা ভালোই কোনো চিন্তা নেই কাজ শেষ সকালে একবার ইসলামপুরে এক বন্ধু আছেন তাঁর সাথে দেখা কোরে সন্ধ্যার মধ্যে চোলে আসবো, রাতে থেকে কাল সকাল সকাল বাড়ি ফেরার জন্য বেড়িয়ে পড়বো স ক্কাল বেলাই যেন চাবি নিয়ে যায় ।কৌশিকদা রাম বিলাসের হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে বোললেন তোমার নাতি নাতনী বৌমাদের মিস্টি খেতে দিলাম। এবার তোমার বাড়ি যাওয়া হোলোনা পরে এলে নিশ্চয় যাবো। ক্রমশঃ-৬ পর্ব-৬ [পুর্ব সুত্র ঃ চন্দননগরের কাপড় ব্যবসায়ী ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কৌশিক রায়কে জানালেন যে তাঁর একটি পুরাতন বাগানবাড়ি উত্তর দিনাজ পুর আর বিহারের কিষাণগঞ্জএর লাগোয়া পাঁজিপাড়া অঞ্চলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে বাড়িটি বিক্রয় করিতে ইচ্ছুক কিন্তু বাড়িটিতে অদ্ভুত সব ভুতুরে কাণ্ড, উদ্ভট কাণ্ড ঘটায় ভুতেরবাড়ি নামে অপবাদ রটেছে, তিনি ও তাঁর ভাগ্নে দেখে এসেছেন,কিন্তুকেঊ তিন রাত্রি ও কাটাতে পারেনি। একদল মস্তান এসে বাড়িবিক্রীর প্রস্তাব দেয় সপিং মল কোরবে বলে আরেক দল এসে হুমকি দেয় চটপট বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার জন্য অজ্ঞান অবস্থায় উধার করে কেয়ার টেকার , সব শুনে কৌশিক রায় ও মাসতুত ভাই অর্ক কিষাণ গঞ্জেরবাগান বাড়িতে যান। ওই বাগান বাড়িতে বাইরের থেকে লোকজন যাতায়াত কোরতে পারে কেয়ার টেকারের বড় ছেলের মোটর গ্যারেজ,মেজ গাড়ি চালায়, ছোট ছেলে কোথায় জানা নেই পাশের ঘরে লেজার হলোগ্রাফি আর সাউণ্ড সিস্টেম লুকানো আছে। রান্না ঘরের চালে ও বাগানে গোপন অনুসন্ধান যন্ত্র লুকিয়ে রাখলেন কৌশিক রায় ] রাম বিলাস চলে যেতে কালকের মতন ঐ যন্ত্রপাতিগুলো রান্নাঘর আর কামিনি গাছ থেকে খুলে এনে সেই ল্যাপ্টপে লাগাতেই চক্ষু চড়ক গাছ । একি দেখছি? রান্না ঘরটা একটা কারখানা মেঝেতে শয়েশয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বিছানো তিন জন লোক কালো পোষাকে আপাদমস্তক ঢাকা দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নানা রকম যন্ত্রাংশ জুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র বানিয়ে চোলেছে একজন সেগুলো বাক্সে সাজিয়ে রাখছে থরেথরে। বাক্স বঝাই হলে একটা চাকা লাগানো হাতে টানা ট্রলীতে চাপিয়ে পাঁচিলের ঐ ভাঙ্গা জায়গাটার কাছে নিয়ে যাচ্ছে পাঁচিল টপকে ওপাশে দিচ্ছে, এই ভাবে রাত ১২টা থেকে ৩টা অবধি কত যে প্যাকেট বন্দী অস্ত্র এখানে তৈরী হয়ে পাচার হোলো ইয়ত্তা নেই।রাত ৩টার পর রান্নাঘর বন্ধ করে সবাই চলে গেলো আবার সব শুনসান। কৌশিকদা ল্যাপ্টপ থেকে পেনড্রাইভে সব তুলে নিয়ে চটপট ল্যাপ্টপ ফাঁকা কোরে ওখানে একটা অন্য পেন ড্রাইভ থেকে কিছু অসমাপ্ত গল্প, লেখা কবিতা লোড করে রেখে গেলো। যন্ত্রপাতি গুলো হ্যান্ডব্যাগে নিয়ে পেন ড্রাইভ গুলো নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম,সোজা ইসলামপুর, ওখানে কৌশিকদার বন্ধু শ্যামল পাণ্ডে মহকুমার পুলিশ আধিকারিক তাঁকে সব আগে থেকেই কৌশিক দা জানিয়ে রেখেছিলো তাই আমরা তাঁর সাথে পুলিশ কোয়াটারে নয় অন্য একটা হোটেলে দেখা কোরলাম। শ্যামল বাবু পেন ড্রাইভ থেকে দূটো সিডি করিয়ে একটা আমাদের দিয়ে দিলেন সাথে রাখার জন্য, একটা নিজের জন্য রাখলেন, এরপর কৌশিকদার সাথে কিছু কথাবার্তা হোলো বোললেন চিন্তা নেই যথাঠসময়ে যথা যথ ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমরা বিকাল ৫টার আগেই বাগান বাড়িতে ফিরে এলাম। যা ভেবে ছিলাম তাই এসে দেখি আমাদের ঘরে এসে সব হাঁটকেছে, ল্যাপ্টপ ও নাড়াচাড়া কোরেছে, কিছু ক্ষতি করেনি। কৌশিকদা বুঝে ছিলেন আমাদের সন্দেহ কোরতে পারে পিছনে চর লাগাতে পারে তাই ইসলামপুরে গিয়ে ঠাকুর বাড়ি ঘুরে,হোটেলেও ছদ্ম নামে ঘরনেয় ওখানে বই পাবলিসারের খোঁজ করে, এবং হোটেল থেকে একটু ঘুরতে বের হয়। এর মধ্যে শ্যামল বাবু ও ছদ্মবেশে পাব্লিশার সেজে ওখানে আমাদের খোঁজে গিয়ে অপেক্ষা করেন। হোটেলে দুজন লোক এসে খাতা চেক করে ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করে জেনে যায় আমরা কোথা থেকে কিজন্য এসেছি,ক দিনের জন্য ঘর নিয়েছি ইত্যাদি, ওরা শ্যামল বাবু কে চিনতে পারিনি তাই শ্যামল বাবু ওদেরকে বোলেছেন যে আমরা বই পাব্লিশিং এর জন্য এসেছি উনি আমাদের জন্য ই অপেক্ষা কোরছেন। লোক দুটো এইজন্য বিশ্বাস করে চলে গেছে। শ্যামল বাবুর সামনেই কাকে ফোনে এই খবরটাও দিয়েছে বোলেছে খবর পাক্কা চিন্তা নেই। আমরা অন্য দিনের মতন রাতের খাবার এনে খেয়ে দেয়ে দরজা লাগিয়ে অপেক্ষা কোরতে লাগলাম, কি হয়? রাত তখন প্রায় ১ টা আমাদের দরজায় ধাক্কা আর কৌশিকদার নাম ধরে ডাকছেন দরজা খুলুন কৌশিক বাবু অপারেশন কমপ্লিট সাক্সেস ফুল সব ক্রিমিনাল বমাল সমেত ধরা পড়েছে, বহু বিদেশী স্মাগল গুডস, আরমস,পাওয়া গেছে, কিষাণগঞ্জে ওদের আস্তানাখুঁজে রেড করা হয়েছে সেখানেও বড়কারখানা লেদে সব পার্টস বানানো হোতো,এখানে এনে এসেম্বেল করা হোতো। ওরা নিজেদের স্কোরপিও গাড়ি করে মাল আনা নেওয়া কোরতো। ফাগুয়া যাদব মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। এরা বহু জায়গায় এমনকি বাংলাদেশ, নেপাল সহ শ্রীলঙ্কা অবধি বিস্তৃত। রাম বিলাসের ছোট ছেলেকে পাওয়া যায়নি ও কিষাণগঞ্জ মেসে ফাগুয়ার সাথে অল্প কয়েকদিন ছিলো, মত বিরোধ হওয়ায় দীর্ঘকাল কোথায় চলে গেছে,কিন্তু ছোট জামাই, তার বন্ধু যার লেদ আর গাড়ি আছে, সেখানের পার্টনার ফাগুয়া যাদব সহ ধ রা পড়েছে।ছোটজামাই রামবিলাসের মেয়েকে ভয় দেখিয়ে শ্বশুর বাড়িকে দমিয়ে রেখেছিলো,যত সমাজবিরোধীদের সাথে দহরম মহরম তাই সবাই জেনেও ভয়ে চুপ করে ছিলো।এর পরের অংশ সংক্ষিপ্ত শ্যামল বাবু কৌশিকদা আর আমাকে সাদরে ইসলাম পুরে নিয়ে গিয়ে সম্বর্ধনা দিয়ে রাজার হালে এখানে ফেরার ব্যবস্থা করে দেন। কৌশিকদা ভুপেন্দ্র বাবুকে বাগান বাড়িটা রাম বিলাসকে বিক্রী করার জন্য অনুরোধ জানান, রামবিলাস ছোট জামাইকে বাড়ি থেকে দূর করে দিয়েছে।


আমার লেখা আর আঁকা স্ম
রণে

 'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি আমার নাতিকে ভোলানোর জন্য তাকে ঘুম পাড়ানোর সময় আমার শৈশবে শোনা ও শেখা ছেলে ভোলানো ছড়া ও কবিতা গুলোই বলতাম যা  চিরন্তন  আজও সমাদৃত
আমি ভাবতাম আমিও কিছু শিশুদের ভোলানোর ছড়া কবিতা লিখবো--কিন্তু কিছুতেই মনস্থির করে লিখতে পারছিনামনা নানা কারণে,আমি তাই এক রকম তাড়াহুড়ো করে এক দিনেই কয়েক টা ছড়া কবিতা লিখ লাম আর ছবিগুলো আঁকলাম জানিনা পাঠক দের কেমন লাগবে?  কয়েক টা কিস্তিতে এগুলি প্রকাশ করছিমতামত জানালে বাধিত হব
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়


১)খোকনের সাজ
খোকন চলে,
দুলকি চালে,
হাতে নিয়ে ছাতা
রোদে জলে,
নাকাল হলে,
বাঁচাতে তার মাথা
খোকনবাবু সেজেছে,
ফুলধুতিটি পড়েছে,
কোঁচাটি হাতে ধরা
নতুন জুতা দিয়ে পায়,
খোকন সোনা ঐ যে যায়
 লাগছে  তাকে বড়ই নজর কাড়া


'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

২) মেনীর বিয়ে
আজকে রাতে,
চিলের ছাদে
মেনী বিড়ালের বিয়ে,
হুলোটা তাই,
সেজেছে ভাই,
টোপর মাথায় দিয়ে
ডাকছে ব্যাঙ,
গ্যাঙর গ্যাঙ
হয়েছে বরের সাথী
সঙ্গে ঝিঁ ঝিঁ,
ডাকছে চিঁ চিঁ
মাতবে সারা রাতি
পিঁপড়ে আর বোলতাতে,
আসছে  আসর জমাতে
সবাই  মিলে করবে মাতামাতি
আজকে সবাই বন্ধু, তাই,
কারও সাথেই  বিভেদ নাই,
আরশুলা বা ফড়িং, প্রজাপতি



























শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৩) ব্যাঙের বিয়ে
সোনা ব্যাঙের বিয়ে আজ,
তাইতো সরোগোল,
ঝিঁ ঝিঁ পোকা বাজায় বাঁশী
ইঁদুর বাজায় ঢোল
প্রজাপতি আনছে মালা,
শামুক বাজায় শাঁখ
কাঠবিড়ালী দিচ্ছে বিয়ে,
তাই তো এতো জাঁক
কাগা আর বগার পরে
খাওয়া দাওয়ার দায়,
কাঁকড়া আর গুগলি মিলে
আসর যে সাজায়
জোনাই নিলো আলোর ভার,
নেইকো অবসর
গুবরে চালায় বরের গাড়ি
 আজ সে তালেবর


'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৪) ফড়িং
দুটা ফড়িং,
তিড়িং বিড়িং
ঘাসের মাথায়,
লাফায় ঝাঁপায়
ফুরুৎ করে,
যায়যে উড়ে
ডালে ডালে
 হাসে খেলে
শিশুর দল,
হল পাগল
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৫) প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি,
কেনো এতো মাতামাতি?
ফুল থেকে ফুলে যাও
তুমিও কি মধু খাও?
ফুলের মাঝে থাকো তাই,
ফুলের মত ই দেখতে পাই
কত যে রং  বাহার!
তুলনা কি আছে তার?
তোমার রুপের বাহার,
ভেলভেট মানে হার
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৬) কাঠবিড়ালী
কাঠবিড়ালী ও কাঠবিড়ালী,
যাও গো কোথায় লেজটি তুলি?
লাফিয়ে বেড়াও গাছের ডালে,
লুকিয়ে খাও সু্যোগ পেলে
পাও ওদি পাকা ফল ,
খুশীতে হও চপল
সারা গায় ডোরা ডোরা,
দাগ কাটা লোমে ভরা
পেয়ারা খেতে ভালোবাসো?
তাই পেয়ারার গাছে আসো ?
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি শ্রীমতী সোমা মুখার্জীর নিকট কৃতজ্ঞ তিনি আমার এই ছড়া কবিতা গুলি সম্পাদনা   প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজন করে বাধিত করেছেন


৭) খোকা খুকুর মান ভাঙাতে
খুকুমণি খুকুমণি,
আর কেঁদোনা সোনামণি ,
তোমার জন্য মেলা থেকে,
এনে দেবো পুতুলখানি
খোকনসোনা খোকনসোনা,
অভিমানে আর কেঁদোনা
আজকে কিনে দেবোই তোমায়
টাকডুমাডুম ঢোলকখানা
টাক ডুমাডুম ঢোলক বাজে
পুতুল নাচে রুমুক ঝুম
খোকা খুকু হাত তালি দেয়,
দাদুর মনে খুশীর ধুম
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৮)'শিশুদের খেলা'
হাতে নিয়ে ঝুমঝুমি,
সোনামণি খেলে
খাওয়া দাওয়া যায় ভুলে,
খেলনা হাতে পেলে
হাতের  যা কিছু পায়
 ছুঁড়ে  ফেলাই খেলা
তারস্বরে বায়না করে
সয়না অবহেলা
ফেলে  দিয়ে হেসে ওঠে
খিল খিল করে
দাদুমনি দাও তুমি
এনে বারে বারে
এখনো  ফোটেনি কথা,
বলে  আধো স্বরে
এরি মাঝে তাক লাগানো
কাণ্ড কিছু করে
ইশারায় বোঝে সব
ইশারায় বলে,
থপ থপ পায়ে হাঁটে
চলে হেলে দুলে
মাঝে মাঝে দেয় ছুট
টল মল করে,
পড়ে গেলে কাঁদে নাকো
হাসে হি হি করে
গান গায় সুর করে
তালে তালে নাচে
এই হাসিমুখ দেখে
দাদুভাই বাঁচে
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৯) বাজনার মজলিশে
টাকডুমাডুম বাজছে ঢোল,
টন টনা টন কাঁশী,
ঝাঁপর ঝাঁপর ঝাঁঝর বাজে
পিঁই পিঁই সুরে বাঁশি
সারেগামা হারমোনিয়াম,
 ত্রেকেটে তাক  তবলা,
টুং টুং করে বাজছে সেতার
খোকন পেটায় গামলা

'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়


'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

১০) খোকার মাছ ধরা

খোকন সোনা ধরবে যে মাছ
ব্যাঙ ধরে তাই ছাতা
ইঁদুর হল পাহারাদার
দিচ্ছে টহল সেথা
মাছরাঙ্গাটা  মাছের লোভে
আসলো উড়ে ঝোপে,
দেখছে সবই মেনী বিড়াল
তা দিয়ে তার গোঁফে
১১) মেলাতে

টক টকা টক ব্যাগাডেলী,
রাস্তায় ভিড় ঠেলা ঠেলি
ঠেলতে ঠেলতে হাজির মেলায়,
হরেক মাল বিকছে সেথায়
কাঠের পুতুল, মাটির পুতুল,
তাই কিনতে সবাই আকুল
মেলায় ঘুরে খেতে মজা-
জিলাপী,পাঁপড়,বাদাম ভাজা
"""""""""""""""""''""''''''''"""""""''''''''''''''""''''''''''''''''''''''''"""""
১২) ফলার
ইঁদুর,বাঁদর,মেনী, হুলো,
গরু, মোষ, আর ছাগল গুলো,
এই গুলো পেলে বরতে যায়,
যা সব মানুষ ফলারে খায়
আম জাম কি পাকা কলা,
বাদাম,শশা,ভেজানো ছোলা,
চিঁড়ে, মুড়ি, খৈ,দৈ,
বাতাসা,কদমা, সন্দেশ কৈ?

শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩) আম পাড়া
খোকা  গেছে  আম পাড়তে ,
 দেখতে জমে লোক,
 ইয়াব্বড় আঁকশি নেছে,
টুলুক মুলুক চোখ
পাড়বে সে আম কেমন করে? 
 দাঁড়াতে শেখে নাই  ,
কোলে নিতে কোমর বেঁধে
তৈরি দাদুভাই
খোকন সোনা, দেখিস কি রে
চারিদিকে চেয়ে? 
আগেও বুঝি আম পেড়েছিস,
এমনি আঁকশি দিয়ে?

১৪) মেয়ে ভোলানো ছড়া
সোনার রানী দিদিমণি,
মোদের সবার আদরিণী
দুধ খেয়ে নাও তুমি
দেখবে কেমন   গাড়ি চড়ে
 তোমায় নিয়ে অনেক দূরে
বেড়ু যাব আমি
দুধ খেয়েছো? এইতো সোনা
আর কেঁদোনা আর কেঁদোনা
খাও গো বাদামভাজা
চলো এবার বেড়াতে যাই,
তুমি আমি ও দিদিভাই
করব অনেক মজা

১৫) ময়না দিদির বিয়ে
কোকিল,শালিক,টিয়ে,
আজ ময়না দিদির বিয়ে

ঢোল এসেছে,সানাইবেজেছে,
সাজো সাজো রব ঊঠেছে

গাধা দাদা গায়েন,
ভালুক সামলায় ভিয়েন,
ইঁদুর সাগরেদকে  নিয়ে,
শিয়াল পণ্ডিত দেন বিয়ে
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও
১৬)   খুকুমণির নাচশিক্ষা
ঝুমুর ঝুমুর
বাজছে নুপুর

খুকু মণি নাচে

তবলার বোল,
সাথে বাজে খোল,
অন্য বাজনাও আছে

ভারত নাট্টম, কথাকলি,
ওডিসি কি সাঁওতালী?
সব  নাচ ই সে নাচে

রবীন্দ্র সঙ্গীত বাঊল গানে,
ছৌ থেকে বিহুর টানে,
ডাণ্ডিয়া, গরবা জানা আছে

ডিস্কো কি ব্রেক ডান্স?
সালসাতেও নিচ্ছে চান্স,
সব রকম  শিখতে  হবে

পুরানো সেই নাচের ধরন,
সে সব আর চলেনা এখন

যুগের চাহিদা মানলেই রবে

১৭) টুন টুনি লো টুন টুনি
টুন টুনি আর টুন টুনা,
আছে এরা দুই জনা

ফুরুত ফুরুত করে,
চার পাশে্তে ওড়ে

সাথে সে লেজটি নাড়ায়,
খুটে খুটে কি যে খায়?
ছোটো পোকা মাকড় হবে,
খোঁজে গাছে ফুলের টবে

টুনটুনি আর রাজা কাহিনী,
আমরা তা কেনা জানি?
রাজা খায় ব্যাঙ ভাজা,
গল্প শুনে  পাই মজা

এসব গল্প শুনলে এখন ,
শিশুদের আর ভরেনা মন

গল্পের মধ্যে শিহরণ চাই,
মারামারি থাকবে তাই

টুন টুনির গল্প চির নুতন,
মোদের কাছে অমুল্য ধন

১৮) চড়ুই এর চোর ধরা
গৃহস্থের  এক ঘরের পরে,
চড়ুই পাখী  বাসা করে

শস্য দানা যা কিছু পায়,
খুটে খুটে সব ই খায়

একদিন রাত দুপুরে,
চোর ঢোকে সেই ঘরে

 জিনিস পত্র সব গোছ করে,
চোর ব্যাটা এক বস্তায় ভরে

চড়ুই  কাণ্ড দেখার পরে,
মনে ভেবে সে স্থির করে

আটকাতেই হবে এই চুরি,
করবে সে কিছু তাড়াতাড়ি

চড়ুই যায় তাই রান্না ঘরে,
বাসন থাকে তাকের পরে

ডানার ঝাপ্টায় ফেললো থালা,
ঝন ঝনিয়ে কান ঝালা পালা

ধড় মড়িয়ে সবাই ওঠে,
চোরের চুরি ঊঠলো লাটে

সবাই উঠে দেখে তখন,
চোর দাঁড়িয়ে স্ট্যাচুর মতন

সবাই হকচকিয়ে যায়,
কি কাণ্ড ঘটছিলো হায়!
চোর দাঁড়িয়ে শোবার ঘরে,
রান্না শালে বাসন পড়ে?
কে ফেললো বাসন সেথা?
চোর ব্যাটাতো দাঁড়িয়ে হেথা

দেখে চড়ুই ওড়ে রান্না ঘরে,
ফেলছে বাসন ডানায়  করে

বুঝলো এটা চড়ুই করেছে,
ঘরের চুরি সেই আটকেছে

চোর ব্যাটা পড়লো ধরা,
বাড়ির সবাই আত্ম হারা

চড়ুই হোলো চোখের মণি,
আদর করেন গৃহস্বামী


""""""""""""""""""'"""""""""""""""""""""""""""""""'""""
'শিশুদের জন্য
কিছু বিশেষ ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
**********************************
কিছু মজার ছড়া
***********************************
শিশুদের লাগে ভালো
 তাই ওদের মাঝে থাকি,
 এই ছড়া গল্প গুলো,
ওদের জন্য সব আঁকি


******************

*******************
কিছু মজার ছড়া
আয় রে ভুলো ,তুলো তুলো,
কান দুটি তার ,ঝুলো ঝুলো
মোদের খোকন, খেলবে এখন,
সেই তো সাথী  মনের মতন
বলটা যখন ছুঁড়ে ফেলে,
হেসে ওঠে তা এনে দিলে
তাই ছোঁড়ে সে বারে বারে ,
ভুলো এনে দেয় মুখে করে
********************
বাঘ মামা চালায় গাড়ি,
ভাগ্নে শেয়াল সওয়ারী,
ভালুক ভায়া খরিদ্দার,
ইঁদুর রাম যে ব্যাপারী
*******************
কাকাতুয়া যাচ্ছে কোথায়?
সাথে রয়েছে টিয়া !
ফিঙ্গে নিয়েছে খোল করতাল,
টুনটুনি দির বিয়া?
*****************
*******************
শিশুদের প্রশ্নোত্তরের নানা প্রতিযোগীতার খেলায়, (লেখায় আর ছবিতে দু দিকে মেলানোর জন্য)সাধারণ জ্ঞান নিয়ে যে ধরণের প্রশ্ন করা হয় তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে' এবার লিখলাম কিছু ছড়া,লাগলে ভালো আরো আমি লিখবো এমনধারা'
১) কার বাস কোথায়? (বাস স্থান চিহ্নিত করণ )
বাঘ থাকে জঙ্গলে,
কুমীর থাকে নদীতে
পেঁচার বাস কোটরেতে,
মানুষ  থাকে ঘরেতে
গর্তে সাপ ইঁদুরের বাস,
জলাশয়ে মাছের চাষ
বাদুর ঝোলে গাছের ডালে,
হাঙর থাকে গভীর জলে
পাখীরা অনেকে বানায় বাসা,
মৌমাছিদের চাক টি খাসা!

**************************
২) কার শক্তি কে যোগায়? (শক্তির উৎস নির্ধারণ )
জ্বালানী গ্যাস লাগে গ্যাস উনান কে জ্বালতে,
পেট্রোল, ডিজেল চাই মোটর গাড়ী  চালাতে
কেরোসিন তেলে স্টোভ, হ্যারিকেন জ্বলছে,
জ্বালানী হিসাবে কাঠ ,কয়লার ব্যবহার চলছে
টর্চ, মোবাইল, এ সবেতে লাগে নানান ব্যাটারী,
পাখা, টিভি,ফ্রিজ ,এসিতে বিদ্যুৎ অতি জরুরী
প্রচলিতশক্তির যোগান ভাণ্ডার দিন দিন কমছে,
বিকল্প শক্তির  উৎস সন্ধান তাই নিয়ত চলছে
সুর্য্যালোকের সৌরশক্তি ব্যবহার তাই বাড়ছে,
অচিরাচরিত শক্তি হিসাবে প্রাধান্য পেয়েছে
*******************************
৩) কোন খেলা কিসে হয়? (কোন খেলার সাথে কার যোগ/সমন্ধ আছে?)
ফুটবল খেলা হয়   চামড়ার বলেতে ,
 ফেদারকর্ক লাগে ব্যাডমিন্টন খেলাতে
কাঠের স্টিক আর ছোট বলে হয় হকি খেলা,
ক্যাম্বিসের বল প্রয়োজন  লন টেনীসের বেলা
টেবিলটেনীস খেলতে হলে টেবিলের প্রয়োজন,
হাল্কা ছোট প্লাস্টিকের বল  তাই লাগে যে তখন
ক্রিকেট খেলাটা হয় ডিউস বলে, আর কাঠের ব্যাটেতে,
ক্রিকেট,হকি, ফুটবল খেলা হয় খোলা বাইরের মাঠেতে
লুডো,তাস, দাবা, ক্যারাম যেমন ঘরের মধ্যে হয়,
টেনিস খেলা,সাঁতার, জিমনাস্টিক এর ব্যতিক্রম নয়
**************************************
৪) কার পথ কোন টা? (কোন যানবাহন কোথায় চলে?)
ট্রেণ ,ট্রাম লাইনে চলে,
  বাস ট্রাক রাস্তায়
 নৌকা,জাহাজ,চলে জলে,
বিমান আকাশেতে ধায়
মহাশূণ্যে  মহাকাশ যান,
দেয় অন্তঃরীক্ষে পাড়ি,
জলের নীচে ডুবো জাহাজ
একথা বলতে পারি
****************************************
*******************
সাধারণ জ্ঞান নিয়ে এবার লিখলাম কিছু ছড়া,
লাগলে ভালো তবেই আমি লিখবো এমনধারা

১)ঋতুর বৈচিত্র,
গ্রীষ্ম কালে প্রচণ্ড তাপ,
বর্ষায় বাদল ধারা ঝরে
শরতে রোদ বৃষ্টির খেলা,
হেমন্তে  শিশির পড়ে
শীতে কাঁপে বন বনান্ত
ধরণী হন রিক্তা
বসন্তে শিমুল পলাশ
আবীর ফাগে সিক্তা
গ্রীষ্মকালে হয় গঙ্গা পুজা ,
বর্ষায় রথ , অম্বুবাচী
শরতে মোদের দুর্গাপুজা
হেমন্তে দীপাবলির বাজি
শীতেতে পিঠা পার্বন,
গঙ্গাসাগরে হয় মেলা,
বসন্তে বাগদেবীর পুজা,
 আনন্দে হোলি খেলা
*********************

২) কার বাস কোথায়?
বাঘ থাকে জঙ্গলে,
কুমীর থাকে নদীতে

পেঁচার বাস কোটরেতে,
মানুষেরা  থাকে ঘরেতে

গর্তে সাপ ইঁদুরের বাস,
জলাশয়ে মাছের চাষ

বাদুর ঝোলে গাছের ডালে,
হাঙর থাকে গভীর জলে

 অনেক পাখী বানায় বাসা,
মৌমাছিদের চাকটি খাসা!
**************************
৩) কার শক্তি কে যোগায়?
জ্বালানী গ্যাস লাগে গ্যাস উনান কে জ্বালতে,
পেট্রোল, ডিজেল চাই মোটর সাইকেলেতে

কেরোসিন তেলে স্টোভ, লম্ফ, হ্যারিকেন জ্বলছে,
জ্বালানী হিসাবে কাঠ ,কয়লা  এখন ও চলছে

টর্চ, মোবাইল, এ সবেতে লাগে নানান ব্যাটারী,
পাখা, টিভি,ফ্রিজ ,এসিতে বিদ্যুৎটা  জরুরী

প্রচলিতশক্তির ভাণ্ডার দিন দিন কমছে,
বিকল্প শক্তির  সন্ধান তাই নিয়ত চলছে

সুর্য্যালোকের সৌরশক্তি ব্যবহার  বেড়েছে,
অচিরাচরিত শক্তি তাই প্রাধান্য পেয়েছে

*******************************
৪) কোন খেলা কিসে হয়?
ফুটবল খেলা হয়  সদাই চামড়ার বলেতে ,
পালকশোলার তৈরী কক ব্যাটমিন্টন খেলাতে

কাঠের স্টিক আর ছোট বলে  হকি খেলা,
ক্যাম্বিসের বল প্রয়োজন টেনীসের বেলা

টেবিলটেনীস খেলতে  টেবিলের প্রয়োজন,
হাল্কা ছোট প্লাস্টিকের বল ও লাগে  তখন

  ক্রিকেট খেলার বল ডিউস নামে পরিচিত
 আর কাঠের ব্যাট টাও উইলোকাঠে বিখ্যাত,
ক্রিকেট,হকি, ফুটবল খেলা হয় মাঠেতে

উপর দিক খোলা থাকে উন্মুক্ত আকাশেতে

লুডো,তাস, দাবা, ক্যারাম  ঘরের মধ্যে হয়,
টেনিস ,সাঁতার, জিমনাস্টিক এর ব্যতিক্রম নয়

**************************************
৫) কার পথ কোন টা?
ট্রেণ ,ট্রাম, লাইনেতে চলে,
 মোটর, বাস চলে রাস্তায়

জলে নৌকা,জাহাজ, চলে,
বিমান আকাশ পথে ধায়

মহাশূণ্যে মহাকাশ যান,
দেয় অন্তঃরীক্ষে পাড়ি,
জলের নীচে ডুবো জাহাজ
একথা বলতে পারি

****************************************

৬) কোন প্রাণী কি প্রকার?
বিড়াল,কুকুর,গরু,ছাগল,
গৃহ পালিত জন্তু

বাঘ,ভাল্লুক,সিংহ,শিয়াল,
বন্য প্রাণী কিন্তু!
বন্য প্রাণী যায়না পোষা,
বিধি নিষেধ আছে,
পশু পাখী মারাও অপরাধ,
দোষী আইনের কাছে

সকল পাখী যায়না পোষা,
তার নিয়ম কানুন আছে

প্রকৃতির জীব  প্রকৃতির  মাঝে
ভালো ভাবেই বাঁচে

বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীদেরকে
রক্ষা করতেহবে,
সবাই যদি সচেতন হয়,
তবেই রক্ষা পাবে

************************************************
পাখির বাসা গাছের ডালে,
মাছ থাকে খালে বিলে

মানুষ বানায় থাকার ঘর

হনুমান থাকে গাছের উপর

ইঁদুর,সাপ থাকে মাটির গর্তে,
পেঁচার বাস গাছের কোটরেতে

বন্য প্রাণীরা থাকে জঙ্গলে,
হাঙর, তিমি সাগর জলে

***********************************************
লাইন ধরে ট্রেণ ধায়,
রাস্তায় যানবাহন যায়

কিছু যান বাহন জলে চলে,
ডুবোজাহাজ জলের তলে

উড়োজাহাজ আকাশ পথে,
মহাকাশ যান যায় মহাকাশেতে

*****************