Tuesday 21 April 2015

হারিয়েগেছি আমি-১

হারিয়েগেছি আমি-২

হারিয়ে গেছি আমি-২


হারিয়ে গেছি আমি

হারিয়ে গেছি আমি প্রিয়বন্ধুরা                                                                   একটা স্মৃতিবিজরিত ঘটনা বহুল ইংরাজী বছর কাটলো,এলো নুতন বছর,সকলের জন্য প্রীতি শুভেচ্ছা,সকলে আগামী দিন গুলি ভালো কাটুক , সুখে আর শান্তিতে থাকুন এই কামনা করি  বছরের সুচনাতে মন চায় ফিরে পেতে, ফেলে আসা অতীতকে মন্থন করে স্মৃতির ভান্ডার থেকে তুলে নিলাম কিছুটা সময়,কিছু মুহুর্ত রং,তুলিআরলেখাতে     তাড়াহুড়োতে আর ধৈর্য্যর অভাবে আঁকা গুলো ভালো হয়নি শুধু লেখার সাথে একটা  সহায়ক হিসাবে দিলাম   ২টি কিস্তিতে লেখা আর আঁকা থাকছে 
গরমের ছুটি স্কুল খুলবে সামনের মাসের ৮তারিখ দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর বাবাপাশের ঘরে ঘুমাচ্ছেএই ঘরে আমি  আমার ভাই তাতাই দুজনে ছুটিরপড়া করার জন্য বই খাতা খুলে নিয়ে বসেছিআমার ক্লাস এইট আর ভাইএর ক্লাস সিক্সছুটির মধ্যে স্কুলের দেওয়া পড়াগুলো তৈরি করে ফেলতেই হবে,নইলে স্কুল খুললে কপালে দুঃখ আছে এমনিতেই আমি অংকে আর ইংরাজীতে পিছিয়ে আছির বড্ড ভয় লাগেপাটিগণিত মোটামুটি পারি কিন্তু বীজগণিতের লসাগু,গসাগু,বেশ ভোগায়ইংরাজী গ্রামার আমার দুচোখের বিষ,ন্যারেশন,টেন্স,জেন্ডার আমার কাছে মিলে মিশে একাকারযাক যা হবার পরে ভাবা যাবে,এখন সবাই ঘুমাচ্ছে,চারপাশ শুনসান আমি একটু খিড়কির দরজা খুলে বাইরে রুপাদের আমগাছ তলাটা দেখে আসি, বাচ্ছু,বড়খোকা,বিল্টু এতক্ষণে নিশ্চয় হাজির হয়েছেআমি দেওয়ালের সামনে ঘর কেটে মাঝে ছোটগর্ত পিল বানিয়ে ঘরে গুলি ছুঁড়ে,দূর থেকে টিপ করে নির্দ্দিষ্ট গুলিটিকে মারার খেলাটা বেশী ভালো লাগেবড় খোকা খুব এক্সপার্ট টকাটক মেরে আমাদের হারিয়ে দেয়আমি সাইন ফাইন খেলাটা ভালো খেলতে পারিযা গরম পড়েছে, আমগাছ তলাতেই খেলতে হবেবিকেলহলে পিন্টু খেলা হবেইঁটের গোল গোল সুন্দর ঘুটি বানিয়ে রেখেছিবাচ্ছুর দাদা একটা পুরানো  সুন্দর কেম্বিসের টেনিস বল এনেদিয়েছেন শীতকালে আমরা এইরকম টেনিস বলেই আমরা ক্রিকেট খেলি, বড়রা ডিউস বলে পাড়ার মাঠে খেলে আমাদের ভাগ্যে  মাঠের একপাশ নয়ত বড় বাড়ির উঠোন,গলির রাস্তা এইসব জোটে  আমরা ছেলে মেয়েরা এক সাথে অনেক খেলা খেলেছি, ডান্ডাগুলি,এক্কাদোক্কা,কিং,কবাডি  এই রকম                       পাড়ার কেষ্টদা কাঠের কাজ করেন,আমাকে খুউব  ভালো বাসেন, কেষ্টদাকেঅনুরোধ করায় আমাকে একটা খুউব সুন্দর কাঠের ক্রিকেটব্যাট বানিয়ে দিয়েছেন,আম না কাঁঠাল কাঠেরজানিনাকেষ্টদাকোনদামনেননি,পরিবর্তে পাড়ারচিত্তদার দোকানে একদিন ঘুঘনী, মুড়ি, চা খাইয়ে দিয়েছিতাতে খুউব খুশীবাঁশের বাখারি দিয়ে চমতকার উইকেট তৈরী হয়েছে পাড়ার সুজিতকে ওর বাবা এক সেট ভালো ক্রিকেট ব্যাট,উইকেট আর বল কোলকাতা থেকে কিনে এনে দিয়েছেন অনেক দাম প্রায় সত্তর আশি টাকাতো হবেই  হয়না কারন যখন যা বলবে তাই মেনে চলতে হবে সবাইকে, ওর ব্যাট বল তাই সর্বদা দলের ক্যাপ্টেন হবে,একটু  মতের অমিল হলেই ওর ব্যাট বলনিয়েচলেযাবে পাড়ার ক্লাবে বড় দের মাতব্বরি-তাদের জন্যই সব                                            আমরা গরমকালে ফুটবল খেলব,তা চামড়ার বল কেনার ক্ষমতানেই,সবাই চাঁদাতুলে বড় রাবারের বল কিনেই আমরা ফুটবল খেলিএখানেও সুজিত, ওর চামড়ার ফুটবল, ফুটবলখেলার চামড়ার বুট সবই আছে,আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি           ক্রমশ-                


()   হারিয়ে গেছি আমি                                          
আমার বাবা ভীষণ গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ সারাক্ষণ ব্যবসার কাজে ব্যস্ত,ঘন ঘন চা আর সিগারেট খানবেশী সিগারেট খাওয়া হয়ে যায় বলে কৌটাকরে সিগারেটের তামাক আর সিগারেট বানানোর কাগজের পাতা যা পাতলা সাইজ মতন করে কাটা প্যাকাটের মধ্যে  মুস্কিল ছিলো,দেখতাম প্রায় বাবা যখন এক মনে গভীরভাবে কিছু চিন্তা করতেন তখন সিগারেট যেত নিভে আবার আগুন দিয়ে ধরাতে হোতো অনেক সময় বাবা একটা সিগারেট খেতে খেতে আরো দুটো বানিয়ে রাখতেন ফলে কম খাওয়া হোতো বলে মনেহয়নাবিকাল ৩টা নাগাদ কাজের মাসী বাসন মাজতে আসতেন ,তার আসার আগেই ঘরে ফিরে গিয়ে আবার বই নিয়ে পড়তে বসে যেতে হবে নইলে যদি বাসনমাজার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে উঠে যদি দেখে আমি পড়াছেড়ে বাইরে খেলতে গেছি তাহলে কপালে অনেক দুঃখ বকুনি আছেএমনিতে আমাদের ভাইদের,বোনের পড়াশুনা, পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বাবার মাথাঘামানোর সময় নেই,খুব ব্যস্ততার মধ্যে ভোর থেকে রাত অবধি থাকতে হয়,মাঝে দুপুরে ঘন্টা দুয়েকের বিশ্রামফাইনাল  পরীক্ষার রেজাল্ট অবশ্যই দেখাতে হয়
আমিএকদম ছোট থেকেই খুউব অসুস্থ আমার চিকিতসার জন্য হেন চিকিতসা ব্যবস্থানেই যা করা হয়নিএলোপ্যাথি,হোমিওপ্যাথি,হেকেমি, মায় ঝাড়ফুঁক অবধি, বছরে বেশীভাগ দিন আমি থাকতাম শয্যাশায়ী,প্রশ্বাসের কষ্ট, ব্রঙ্কিয়াল এজমা, প্রায়দিনই আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে  প্রান যায় যায় অবস্থা হয়,তখন বাড়িসুদ্ধ সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে  কি হয়? কি হয়?এই বুঝি হার্ট ফেল করেবুকের সাঁই সাঁই শব্দ দূর থেকে শোনাযায়যখন ক্লাস ফাইভেপড়িতখন  বছরে মোট চৌদ্দদিন স্কুলে যেতে পেরেছিলামআমাকেএজন্যসবাইকরুনার চোখে দেখেছে বুঝিএই অসুখে আমার একদিকে ভালো হয়েছে,সেটা হোলো যখন অসুখে ঘরবন্দী তখন বই পড়ারনেশা,আঁকা আর হাতেরকাজ এগুলো নিয়েই বেশীভাগসময় কাটে যখন দুচারদিন একটু সুস্থ থাকি তখনই বাইরে খেলাধুলএর মধ্যেই সাঁতাসাইকেল চালানো ফুটবল, ক্রিকেট,হাইজাম্প , লংজাম্প,পোলভল্ট,ভলিবল,স্পোর্টস সবকিছুই রপ্তকরেছি তবে সবই খাপছাড়া ভাবে  এক নাগাড়ে সম্ভব হয়নি একটু এদিক ওদিক হলেই শরীর  বেঁকে বসেছেআমার ঘরের গণ্ডির মধ্যেই কেটেছে বেশী সময় পুরানো শাড়ির পাড় থেকে সুতা তুলে নিয়ে চটের উপর বা ছেঁড়াকাপর দিয়ে কতো বসার আসন, কাঁথা সেলাই করা শিখেছি,দিদির স্কুলের কাজ, কাপড়ের বটুয়া তাতে সু ন্দর সেলাইয়ের কাজ সবেতেই হাত লাগাতামঅসুখ আমাকে জেদি আর একগুঁয়ে তৈরী করেছেআমার বায়না রাগ সামলাতে আমার অমন রাশভারি বাবাও ভর দুপুরে কাজ থেকে ফেরামাত্র আমার বায়না জেদ মেটাতে তক্ষুনি আবার ছুটলেন ট্রাইসাইকেল কিনে আনতে                          ক্রমশ-

()   হারিয়ে গেছি আমি                                          
  ওমা!আমি এসব কি ভাবছি?আমি একটু নস্টালজিক হয়ে পরেছিবর্ত্তমানে আমি একজন চাকুরি থেকে অবসরপাওয়া মানুষ সময়ের সাথে দ্রুত বদলেযেতে দেখেছি চারপাশের পরিবেশ,মানুষের জীবনযাত্রার হালচাল ,শিশুদের শৈশবকালকে হারিয়ে যেতে দেখেছি,দেখেছি আমরা যে বয়সে সবে স্লেটপেন্সিলে - লেখা শুরু         করেছিলাম এখনকার শিশুরা ঐবয়সেই বড়ব্যাগ ভর্ত্তি বই,খাতা,পেন্সিলবক্স,টিফিনবক্স নিয়ে,নার্শারি,শিশুশ্রেণী ইত্যাদি ক্লাসের ছাত্র বনেগেছেরীতিমতন স্কুলবয় বা স্কুলগার্ল হয়ে উঠেছেএদের বাইরে খেলার সময় কোথায়?চারপাশে বাগান,গলি,খেলার খোলা জমি সব উধাওহয়ে গেছে,তৈরি হয়েছে বড়বড় আকাশ্চুম্বি অট্টালিকা,অফিস, স্কুল, নার্সিহোম ,সপিংমল সাঁই সাঁই করে ছুটছে মোটরগাড়ি,মোটরবাইক একটা  গাছেরছায়া খুঁজতে হলে ১কিলোমিটার হাঁটতে হবেআমাদের ছোটবেলায় পুজো বা কোন অনুষ্ঠানে মাইক বাজতো,আমরা গ্রামাফোন রের্কডে বাজানো গান শুনতাম, পূজারসময় নুতন নুতন পুজার গান,পূজাবার্ষিকির নতুন পত্রিকা বই,কবে বেরুবে অধিরাগ্রহে অপেক্ষায় থাকতামমনে পড়ে শনিবার স্কুলেহাফ ছুটি থাকত,দুপুরে বাড়িফিরে খাওয়াদাওয়ারপর রেডিওতে দুপুরে অনুরোধের আসর বলে একটা অনুষ্ঠান হোত কি ভালো লাগতো আমার দিদিমা রসিকতা করে বলতেন একটা ব্যাটার পরে একটা বেটির গান, সাজানোই আছেরাত্রিবেলাসপ্তাহেএকদিনরেডিওতে"চিত্রহার"বলে  একটা অনুষ্ঠানে বাজত বাংলাসিনেমার গান রাতে খেতেখেতে শুনতাম ভিতরের ঘরে  বাজতএকটু যখন বড় হয়েছি ,তখন রেডিওতে স্টেশনঘুরিয়ে বিবিধভারতীতেহিন্দীগান, সিলোন বলে অনেকে শিলংবোলত একটা সেন্টারে "বিনাকা গীতমালা" নামে এই রকম একটা গানের অনুষ্ঠান হোতশুক্রবার রাতে মাঝেমাঝে রেডিওতে নাটক,রবিবার দুপুরে বিবিধ ভারতীতে বোরোলীনের সংসারে দেশ বিদেশের সব বিখ্যাত লেখকের কালজয়ী রচনার নাট্ট্যরুপ প্রচারিত হোতএইগুলো শুনেছি খুউব ভালো লাগত'বিদ্যার্থীদের জন্য" দুপুরের একটা অনুষ্ঠান স্কুল থাকায় কোনদিন শোনা হোত নাআর দুপুরে অন্যের ঘুমের অসুবিধা করে অনুষ্ঠান শোনারকথা ভাবতেও পারতামনা এখন অবশ্য দুধেরশিশু ভালোমতন কথা বলতে না পারলেও টিভি দেখতে শিখে গেছে-কার্টুন,নানাসিরিয়াল সব এক মনে আগ্রহেরসাথে দেখেস্কুল যাওয়ার সাথে সাথেই ইঁদুরদৌড়ে ছুটছে,স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়া,সাথে নাচ,গান,আঁকা,আবৃত্তি,সাঁতার,বাজনা কি শেখার নেই?    সর্বত্র কম্পিটিশন সাথে বাবা মায়েদের ছুটোছুটি সঙ্গেকরে সর্বত্র নিয়ে যাওয়া আসা  চারপাশে  হরেক কিশিমের শেখার বিষয়,তাই এই শিক্ষকের কাছ থেকে বেড়িয়ে তক্ষুণি অন্য শিক্ষার জন্য অন্য শিক্ষকের বাড়ি ছোটোএখন কথা বলা শেখার জন্যেও তালিমের স্কুল আছেঘুমানো শেখার জন্য স্কুলে ব্যবস্থা আছেফুরসত কোথায়?         কম্পিউটার,আর মোবাইলফোন তো একটু লিখতে পড়তে পারলেই দরকারখেলাধুলা সেটাতো মোবাইল আর কম্পিউটারে ঠাসা আছে,একটু ফুরসত পেলেই খেলতে পারোঅনেক চেনা পশুপাখী,কীট পতঙ্গ,অনেক গাছপালা যেম চারপাশ থেকে আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে, বিরল প্রজাতিতে পরিনত হয়েছে,হারিয়েগেছেআমাদের মাঝথেকে  কিছুকিছুর হয়ত চিড়িয়াখানায় দেখা যাবে,আর যারা বিলুপ্ত তাদের স্টাফ বা কংকাল যাদুঘরে থাকতে পারেম্নে হয় আগামী দিনে আমাদের ছেলেবেলাকার খেলনা সামগ্রীগুলো এমনি কোন এক সংগ্রহশালায় ঠাঁইপাবেআগামীপ্রজন্মের শিশুরাবইতে উল্লেখ পাবে                   
জানি সময়ের সাথে এই বিবর্তন স্বাভাবিক, তাই মেনে নিতেই হয়এখন খুউব দ্রুত      পরিবর্তনের সময়,আজকের দেখা সব কালকে বাতিল হয়ে যেতে পারেএখন শৈশব থেকেই নানা প্রতিযোগীতায় তোমার অবস্থান কোথায় তা ঠিক করেনিতে হবে?জ্ঞান    হওয়ার সাথেসাথেই অন্তরে লড়াই করারজন্য নিজেকে প্রকাশকরার জন্য মানসিক ভাবে তৈরী হতে হবেচারপাশে রিয়ালিটি শো,নাচ,গান,হাস্যরস পরিবেশন , সব কিছুই  আছে তোমার মধ্যে যে প্রতিভা যে উদ্যম,যে চিন্তাভাবনা আছে তাকে নিংড়েবারকরে   আনতে হবে,উজার করে দিতে হবেশৈশব থেকেই এমঞ্চথেকে আরে মঞ্চেনিজেকে তুলে ধরতে হবে,নইলে তুমি হারিয়ে যাবে লক্ষ জনের ভীড়েঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট তরী প্রতিভাবানের বোঝায় গিয়াছে ভরি

আজকাল আমি টি ভির নানা অনুষ্ঠানে দেখি বাচ্চারা অংশগ্রহণ করে যে টান টান উত্তেজনায় ভোগে,কি হয় ?কি হয়? তার থেকে অনেক বেশী উত্তেজনায় ভুগতে থাকেন বাচ্চদের বাবা , মা,অভিভাবকগন ছেলে মেয়েরা যখন মঞ্চেপ্রদর্শন করে তাদের কর্ম কুশলতা,তখন দর্শকাশনে বসে থাকা  বাচ্চদের বাবা , মা,অভিভাবকদের  উত্তেজনায় উতকন্ঠায় আকুল হয়ে ওঠার অবস্থাটা সত্য ই বড় বেদনাদায়ক              আমার যেন কেমন মনে হয় ছোটবেলায় একবার মেলায় দেখেছিলাম,সার বাঁধা সব জিলাবি,বোঁদের দোকান বড় বড় সব কড়াইতে ভাজা হচ্ছে থরে থরে থালায় সাজানো হচ্ছে আর দোকান থেকে দোকানী হাঁক পেড়ে খদ্দের ডেকে বোঝাচ্ছেনতার ভাজা   গরম জিলাবি কতো ভালো কতোবেশী সুস্বাদু!দোকানী অধীর উতকন্ঠায় আকুল হয়ে  দেখছেন কতজন খদ্দের তার দোকানে আকৃষ্ট হয়ে আসছেন,কার মনে কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? ঠিক এখন অভিভাবকগন ছেলে মেয়েরা মঞ্চে নাচ,গান, বা কোনকিছু প্রদর্শন   করার পর পর ই বিচারকদের প্রতি ঐ দোকানীদের মতন চেয়ে থাকেন,কি মতামত দেন তাঁরা,তাদের সন্তানের ভাগ্যে কি জুটলো? কোন শিশু যদি কোন দিন কোন কারনে ভালোনা করতে পারে তার চোখে মুখে দুঃখের সাথে একটা গ্লানি আর ভয় মিশ্রভাবে ফুটে ওঠে মনে হয় শিশুটি নিজের থেকে বাবা,মা,অভিভাবকদের বিপন্ন অবস্থা ভেবে  বেশী চিন্তিত আতঙ্কে থাকে তার প্রদর্শন ভালো না হওয়ার জন্য তাঁরা  কতটা আঘাত পেলেন ,ভবিষ্যতে কি হবে?                                                                        
  
যাক আমাদের দিন শেষ হয়ে এসেছে,আগামীদিনে আরো কত কি দেখার আছে জানিনা তবে এটুকু বুঝেছি যে আগামী দিনে জন্মেই দৌড়তে হবে যত দিন প্রান থাকবে ফুরসত থাকবেনা জিরিয়ে একটু দম নেবারচার পাশ একটূ প্রানভরে দেখার অবকাশ থাকবেনা