আজ
একটি হাসির ছোট চুটকি( গ্যাঁজারুকে নিয়ে) আমি বদলে গল্প বানিয়ে পোষ্ট করলাম, সকলের
ভালো লাগলে খুশী হব, মতামত
জানালে এই রকম লেখা আবার দেবো,মতামত না জানালে ধরে নেবো এই লেখা ভালো লাগেনি।
গাড়ু
' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ যে কাহিনী টা লিখছি এটাকে ঠিক গল্প না বলে চুটকি (Jokes) বলা চলে । এটাও পাড়ার
ঐবয়স্ক ভুলু দার মুখেই শোনা, যথা রীতি তাঁর দেশের বাড়ির কাছের ঘটনা তিনি সাক্ষী , এই
ভাবেই বলেছিলেন, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটাও তাঁর শোনা গল্প। তার মতন করেই বলার চেষ্টা করছি তবে কত দূর পারবো জানিনা?
আমরা তখন ইন্দোরে থাকতাম, বাবা ওখানে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আমরা তখন ছোট বয়স
বছর দশেক।আমাদের বাড়িতে দোকান,হাট, বাজার সব করার জন্য যদুনাথ পাশোয়ান নামে
বছর ৩৫ এর একজন ছিলো, আমরা ঐ যদুদার কোলে পিঠে উঠতাম, হাটে বাজারে যেতাম, আবার তাঁর মুখে কত মজার মজার কাহিনী শুনেছি।তখন অল্প বয়স যা শুনতাম হাঁ করে গিলতাম আর
বিশ্বাস করতাম।এই গল্পটাও যদুদার মুখে এইভাবে শুনেছিলাম।
আমাদের গ্রামে চোর ডাকাতের উপদ্রব লেগেই থাকত, বড়লোকেদের বাড়িতে বড়বড় ডাকাত সব চম্বলের পাহাড়ের বেহরে থাকা দুধর্ষ ডাকাত যাদের ভয়ে পুলিশ প্রশাসন অবধি কাঁপতো।তারা
ঘোড়ায় চেপে আসতো পয়সা ওয়ালাদের বাড়ি ঊজার করে মানুষ মেরে ও নিয়ে চলেযেতো।কিন্তু গরীব লোকেদের কোনো ক্ষতি করতনা এরা।আর মাঝারি ধরনের কিছু গুণ্ডা প্রকৃতির লোক স্থানীয় তারা এরা চুরি ডাকাতি করত প্রায় সব বাড়িতেই যেখানে যেমন জোটে। বছর দুয়েক আগে এক দিন শীতের সময় রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রাতে পাশের বাড়িথেকে চিৎকার ডাকাত ডাকাত পড়েছে বাঁচাও বাঁচাও বলে। কে কাকে বাঁচাবে? সবাই ভয়ে যে যার বাড়ির দরজা বন্ধ করে নিজেদের রক্ষা করতে ব্যস্ত।আমিতো ভয়ে আধমড়া জানি আমার বাড়িতেও ঢুকবে তা কিছু তেমন নাই পাক যা জোটে তাই নিয়ে যাবে আবার বাধা দিলে চিনতে পারলে খুন করেও দিতে পারে।আমি বৌ ছেলেকে বোললাম বিছানায় যেমন কাঁথা চাপা দিয়ে শুয়ে আছো তেমন থাকবে, আর জ্বর এলে যেমন কাতরায় তেমন কাতরাবে ওরা তোমার কাছে এলে বোলবে আজ ১০ দিন জ্বরে শয্যাশায়ী ঘরে খাবার দানাপানি নেই ডাক্তার কোবরেজ দেখাতে সব বন্ধকিতে গেছে এখন উপোস, বড়ের মাথার ব্যামো কখন কোথায়
কি খেয়ালে থাকে ঠিক নেই,এই তো একটু আগে এখনে শুয়ে ছিলো ঊঠে এখন কোনদিক পানে গেছে জানিনা শৌচ করতে কল ঘরেও যেতে পারে জানিনা, এর বেশী কিছু বোলবেনা খালি জ্বরের ঘোরে কোঁত পাড়বে। আমি কলঘরেই লুকাচ্ছি আমাকে পেলে মেরে ধরে লুটপাট করবে,
তোমাদের গায়ে হাত তুলবেনা।
যাভাবা তাই কিছু ক্ষনের মধ্যেই তিন চার জন ষণ্ডা মার্কা লোক হাতে লম্বা বাঁশের লাঠি,বড়
রামদা আর এক হাত লম্বা চকচকে ছুড়ি নিয়ে আমার বাড়ির পলকা দরজাতে লাথি মেরে ঢুকেই
হুঙ্কার কে কোথায় আছিস বেড়িয়ে আয়, কি মাল কড়ি আছে ভালোয় ভালোয় দিয়ে যা, নইলে সব শেষ করে দেবো, বার কয়েক হুঙ্কারেও কেঊ বেরুচ্ছেনা দেখে ওদের মধ্যে একজন ঘরে ঢুকলো,
ঘরে টিম টিম করে একটা লম্ফ জ্বলছে,বিছানায় বউ কাতরাচ্ছে, যেমন টি শিখিয়েছি তেমনি।কি হয়েছে তোর? বউ সেই শেখানো বুলি আউরে দিলো। লোকটা ঘরের বাইরে এসে চেঁচিয়ে সবাইকে বোললো, এর স্বামী বেটা ভেগেছে বলে কিনা মাথার গণ্ডগোল আছে চল ব্যাটাকে খুঁজে ধরে
এনে রাম ধোলাই দিলেই সব বেরুবে হড় হড় করে। আমি কল ঘরে মানে কুয়া তলার পাশে দড়মা ঘেরা কুয়া পায়খানার জায়গা সেই খানে একপাশে মাটিতে হাঁটু মুড়েদুটো হাত একসাথে নাকের
সামনে হাতির শুঁড়ের মতন করে রেখে গোঁজ হয়ে বসে ছিলাম মাথা হেঁট করে।ওরা খুঁজতে খুঁজতে আমাকে দেখতে পেয়ে হুঙ্কার ছেড়ে আমার কাছে এসে বোললো এই যে ব্যটা পালাবি কুথা?
বল কি করছিস এখানে বসে? লুকিয়ে বাঁচবি, মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেবো, বল কোথায় কি আছে?
এই বলে আমার চুলের মুঠি ধরে একজন টেনে তোলার চেষ্টা করতেই আমি বললাম আমায়
টানছো কেনো, দেখছো না আমি গাড়ু, কেঊ আজ একটি হাসির ছোট চুটকি( গ্যাঁজারুকে নিয়ে) আমি
বদলে গল্প বানিয়ে পোষ্ট করলাম, সকলের ভালো লাগলে খুশী হব, মতামত জানালে এই রকম লেখা আবার দেবো,মতামত না জানালে ধরে নেবো এই লেখা ভালো লাগেনি।
আজ যে কাহিনী টা লিখছি এটাকে ঠিক গল্প না বলে চুটকি (Jokes) বলা চলে । এটাও পাড়ার
ঐবয়স্ক ভুলু দার মুখেই শোনা, যথা রীতি তাঁর দেশের বাড়ির কাছের ঘটনা তিনি সাক্ষী , এই
ভাবেই বলেছিলেন, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটাও তাঁর শোনা গল্প। তার মতন করেই বলার চেষ্টা করছি তবে কত দূর পারবো জানিনা?
আমরা তখন ইন্দোরে থাকতাম, বাবা ওখানে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আমরা তখন ছোট বয়স
বছর দশেক।আমাদের বাড়িতে দোকান,হাট, বাজার সব করার জন্য যদুনাথ পাশোয়ান নামে
বছর ৩৫ এর একজন ছিলো, আমরা ঐ যদুদার কোলে পিঠে উঠতাম, হাটে বাজারে যেতাম, আবার তাঁর মুখে কত মজার মজার কাহিনী শুনেছি।তখন অল্প বয়স যা শুনতাম হাঁ করে গিলতাম আর
বিশ্বাস করতাম।এই গল্পটাও যদুদার মুখে এইভাবে শুনেছিলাম।
আমাদের গ্রামে চোর ডাকাতের উপদ্রব লেগেই থাকত, বড়লোকেদের বাড়িতে বড়বড় ডাকাত সব চম্বলের পাহাড়ের বেহরে থাকা দুধর্ষ ডাকাত যাদের ভয়ে পুলিশ প্রশাসন অবধি কাঁপতো।তারা
ঘোড়ায় চেপে আসতো পয়সা ওয়ালাদের বাড়ি ঊজার করে মানুষ মেরে ও নিয়ে চলেযেতো।কিন্তু গরীব লোকেদের কোনো ক্ষতি করতনা এরা।আর মাঝারি ধরনের কিছু গুণ্ডা প্রকৃতির লোক স্থানীয় তারা এরা চুরি ডাকাতি করত প্রায় সব বাড়িতেই যেখানে যেমন জোটে। বছর দুয়েক আগে এক দিন শীতের সময় রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রাতে পাশের বাড়িথেকে চিৎকার ডাকাত ডাকাত পড়েছে বাঁচাও বাঁচাও বলে। কে কাকে বাঁচাবে? সবাই ভয়ে যে যার বাড়ির দরজা বন্ধ করে নিজেদের রক্ষা করতে ব্যস্ত।আমিতো ভয়ে আধমড়া জানি আমার বাড়িতেও ঢুকবে তা কিছু তেমন নাই পাক যা জোটে তাই নিয়ে যাবে আবার বাধা দিলে চিনতে পারলে খুন করেও দিতে পারে।আমি বৌ ছেলেকে বোললাম বিছানায় যেমন কাঁথা চাপা দিয়ে শুয়ে আছো তেমন থাকবে, আর জ্বর এলে যেমন কাতরায় তেমন কাতরাবে ওরা তোমার কাছে এলে বোলবে আজ ১০ দিন জ্বরে শয্যাশায়ী ঘরে খাবার দানাপানি নেই ডাক্তার কোবরেজ দেখাতে সব বন্ধকিতে গেছে এখন উপোস, বড়ের মাথার ব্যামো কখন কোথায়
কি খেয়ালে থাকে ঠিক নেই,এই তো একটু আগে এখনে শুয়ে ছিলো ঊঠে এখন কোনদিক পানে গেছে জানিনা শৌচ করতে কল ঘরেও যেতে পারে জানিনা, এর বেশী কিছু বোলবেনা খালি জ্বরের ঘোরে কোঁত পাড়বে। আমি কলঘরেই লুকাচ্ছি আমাকে পেলে মেরে ধরে লুটপাট করবে,
তোমাদের গায়ে হাত তুলবেনা।
যাভাবা তাই কিছু ক্ষনের মধ্যেই তিন চার জন ষণ্ডা মার্কা লোক হাতে লম্বা বাঁশের লাঠি,বড়
রামদা আর এক হাত লম্বা চকচকে ছুড়ি নিয়ে আমার বাড়ির পলকা দরজাতে লাথি মেরে ঢুকেই
হুঙ্কার কে কোথায় আছিস বেড়িয়ে আয়, কি মাল কড়ি আছে ভালোয় ভালোয় দিয়ে যা, নইলে সব শেষ করে দেবো, বার কয়েক হুঙ্কারেও কেঊ বেরুচ্ছেনা দেখে ওদের মধ্যে একজন ঘরে ঢুকলো,
ঘরে টিম টিম করে একটা লম্ফ জ্বলছে,বিছানায় বউ কাতরাচ্ছে, যেমন টি শিখিয়েছি তেমনি।কি হয়েছে তোর? বউ সেই শেখানো বুলি আউরে দিলো। লোকটা ঘরের বাইরে এসে চেঁচিয়ে সবাইকে বোললো, এর স্বামী বেটা ভেগেছে বলে কিনা মাথার গণ্ডগোল আছে চল ব্যাটাকে খুঁজে ধরে
এনে রাম ধোলাই দিলেই সব বেরুবে হড় হড় করে। আমি কল ঘরে মানে কুয়া তলার পাশে দড়মা ঘেরা কুয়া পায়খানার জায়গা সেই খানে একপাশে মাটিতে হাঁটু মুড়েদুটো হাত একসাথে নাকের
সামনে হাতির শুঁড়ের মতন করে রেখে গোঁজ হয়ে বসে ছিলাম মাথা হেঁট করে।ওরা খুঁজতে খুঁজতে আমাকে দেখতে পেয়ে হুঙ্কার ছেড়ে আমার কাছে এসে বোললো এই যে ব্যটা পালাবি কুথা?
বল কি করছিস এখানে বসে? লুকিয়ে বাঁচবি, মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেবো, বল কোথায় কি আছে?
এই বলে আমার চুলের মুঠি ধরে একজন টেনে তোলার চেষ্টা করতেই আমি বললাম আমায়
টানছো কেনো, দেখছো না আমি গাড়ু, কেঊ আজ একটি হাসির ছোট চুটকি( গ্যাঁজারুকে নিয়ে) আমি
বদলে গল্প বানিয়ে পোষ্ট করলাম, সকলের ভালো লাগলে খুশী হব, মতামত জানালে এই রকম লেখা আবার দেবো,মতামত না জানালে ধরে নেবো এই লেখা ভালো লাগেনি।
গাড়ু
' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ যে কাহিনী টা লিখছি এটাকে ঠিক গল্প না বলে চুটকি (Jokes) বলা চলে । এটাও পাড়ার ঐবয়স্ক ভুলু দার মুখেই শোনা, যথা রীতি তাঁর দেশের বাড়ির কাছের ঘটনা তিনি সাক্ষী , এই ভাবেই বলেছিলেন, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটাও তাঁর শোনা গল্প। তার মতন করেই বলার চেষ্টা করছি তবে কত দূর পারবো জানিনা?
আমরা তখন ইন্দোরে থাকতাম, বাবা ওখানে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আমরা তখন ছোট বয়স বছর দশেক।আমাদের বাড়িতে দোকান,হাট, বাজার সব করার জন্য যদুনাথ পাশোয়ান নামে বছর ৩৫ এর একজন ছিলো, আমরা ঐ যদুদার কোলে পিঠে উঠতাম, হাটে বাজারে যেতাম, আবার তাঁর মুখে কত মজার মজার কাহিনী শুনেছি।তখন অল্প বয়স যা শুনতাম হাঁ করে গিলতাম আর বিশ্বাস করতাম।এই গল্পটাও যদুদার মুখে এইভাবে শুনেছিলাম।
আমাদের গ্রামে চোর ডাকাতের উপদ্রব লেগেই থাকত, বড়লোকেদের বাড়িতে বড়বড় ডাকাত সব চম্বলের পাহাড়ের বেহরে থাকা দুধর্ষ ডাকাত যাদের ভয়ে পুলিশ প্রশাসন অবধি কাঁপতো।তারা ঘোড়ায় চেপে আসতো পয়সা ওয়ালাদের বাড়ি ঊজার করে মানুষ মেরে ও নিয়ে চলেযেতো।কিন্তু গরীব লোকেদের কোনো ক্ষতি করতনা এরা।আর মাঝারি ধরনের কিছু গুণ্ডা প্রকৃতির লোক স্থানীয় তারা এরা চুরি ডাকাতি করত প্রায় সব বাড়িতেই যেখানে যেমন জোটে। বছর দুয়েক আগে এক দিন শীতের সময় রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রাতে পাশের বাড়িথেকে চিৎকার ডাকাত ডাকাত পড়েছে বাঁচাও বাঁচাও বলে। কে কাকে বাঁচাবে? সবাই ভয়ে যে যার বাড়ির দরজা বন্ধ করে নিজেদের রক্ষা করতে ব্যস্ত।আমিতো ভয়ে আধমড়া জানি আমার বাড়িতেও ঢুকবে তা কিছু তেমন নাই পাক যা জোটে তাই নিয়ে যাবে আবার বাধা দিলে চিনতে পারলে খুন করেও দিতে পারে।আমি বৌ ছেলেকে বোললাম বিছানায় যেমন কাঁথা চাপা দিয়ে শুয়ে আছো তেমন থাকবে, আর জ্বর এলে যেমন কাতরায় তেমন কাতরাবে ওরা তোমার কাছে এলে বোলবে আজ ১০ দিন জ্বরে শয্যাশায়ী ঘরে খাবার দানাপানি নেই ডাক্তার কোবরেজ দেখাতে সব বন্ধকিতে গেছে এখন উপোস, বড়ের মাথার ব্যামো কখন কোথায় কি খেয়ালে থাকে ঠিক নেই,এই তো একটু আগে এখনে শুয়ে ছিলো ঊঠে এখন কোনদিক পানে গেছে জানিনা শৌচ করতে কল ঘরেও যেতে পারে জানিনা, এর বেশী কিছু বোলবেনা খালি জ্বরের ঘোরে কোঁত পাড়বে। আমি কলঘরেই লুকাচ্ছি আমাকে পেলে মেরে ধরে লুটপাট করবে, তোমাদের গায়ে হাত তুলবেনা।
আজ যে কাহিনী টা লিখছি এটাকে ঠিক গল্প না বলে চুটকি (Jokes) বলা চলে । এটাও পাড়ার ঐবয়স্ক ভুলু দার মুখেই শোনা, যথা রীতি তাঁর দেশের বাড়ির কাছের ঘটনা তিনি সাক্ষী , এই ভাবেই বলেছিলেন, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটাও তাঁর শোনা গল্প। তার মতন করেই বলার চেষ্টা করছি তবে কত দূর পারবো জানিনা?
আমরা তখন ইন্দোরে থাকতাম, বাবা ওখানে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আমরা তখন ছোট বয়স বছর দশেক।আমাদের বাড়িতে দোকান,হাট, বাজার সব করার জন্য যদুনাথ পাশোয়ান নামে বছর ৩৫ এর একজন ছিলো, আমরা ঐ যদুদার কোলে পিঠে উঠতাম, হাটে বাজারে যেতাম, আবার তাঁর মুখে কত মজার মজার কাহিনী শুনেছি।তখন অল্প বয়স যা শুনতাম হাঁ করে গিলতাম আর বিশ্বাস করতাম।এই গল্পটাও যদুদার মুখে এইভাবে শুনেছিলাম।
আমাদের গ্রামে চোর ডাকাতের উপদ্রব লেগেই থাকত, বড়লোকেদের বাড়িতে বড়বড় ডাকাত সব চম্বলের পাহাড়ের বেহরে থাকা দুধর্ষ ডাকাত যাদের ভয়ে পুলিশ প্রশাসন অবধি কাঁপতো।তারা ঘোড়ায় চেপে আসতো পয়সা ওয়ালাদের বাড়ি ঊজার করে মানুষ মেরে ও নিয়ে চলেযেতো।কিন্তু গরীব লোকেদের কোনো ক্ষতি করতনা এরা।আর মাঝারি ধরনের কিছু গুণ্ডা প্রকৃতির লোক স্থানীয় তারা এরা চুরি ডাকাতি করত প্রায় সব বাড়িতেই যেখানে যেমন জোটে। বছর দুয়েক আগে এক দিন শীতের সময় রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রাতে পাশের বাড়িথেকে চিৎকার ডাকাত ডাকাত পড়েছে বাঁচাও বাঁচাও বলে। কে কাকে বাঁচাবে? সবাই ভয়ে যে যার বাড়ির দরজা বন্ধ করে নিজেদের রক্ষা করতে ব্যস্ত।আমিতো ভয়ে আধমড়া জানি আমার বাড়িতেও ঢুকবে তা কিছু তেমন নাই পাক যা জোটে তাই নিয়ে যাবে আবার বাধা দিলে চিনতে পারলে খুন করেও দিতে পারে।আমি বৌ ছেলেকে বোললাম বিছানায় যেমন কাঁথা চাপা দিয়ে শুয়ে আছো তেমন থাকবে, আর জ্বর এলে যেমন কাতরায় তেমন কাতরাবে ওরা তোমার কাছে এলে বোলবে আজ ১০ দিন জ্বরে শয্যাশায়ী ঘরে খাবার দানাপানি নেই ডাক্তার কোবরেজ দেখাতে সব বন্ধকিতে গেছে এখন উপোস, বড়ের মাথার ব্যামো কখন কোথায় কি খেয়ালে থাকে ঠিক নেই,এই তো একটু আগে এখনে শুয়ে ছিলো ঊঠে এখন কোনদিক পানে গেছে জানিনা শৌচ করতে কল ঘরেও যেতে পারে জানিনা, এর বেশী কিছু বোলবেনা খালি জ্বরের ঘোরে কোঁত পাড়বে। আমি কলঘরেই লুকাচ্ছি আমাকে পেলে মেরে ধরে লুটপাট করবে, তোমাদের গায়ে হাত তুলবেনা।
যাভাবা তাই কিছু ক্ষনের মধ্যেই তিন চার জন ষণ্ডা মার্কা লোক হাতে লম্বা বাঁশের লাঠি,বড় রামদা
আর এক হাত লম্বা চকচকে ছুড়ি নিয়ে আমার বাড়ির পলকা দরজাতে লাথি মেরে ঢুকেই হুঙ্কার কে কোথায় আছিস বেড়িয়ে আয়, কি মাল কড়ি আছে ভালোয় ভালোয় দিয়ে যা, নইলে সব শেষ করে দেবো, বার কয়েক হুঙ্কারেও কেঊ বেরুচ্ছেনা দেখে ওদের মধ্যে একজন ঘরে ঢুকলো, ঘরে টিম টিম করে একটা লম্ফ জ্বলছে,বিছানায় বউ কাতরাচ্ছে, যেমন টি শিখিয়েছি তেমনি।কি হয়েছে তোর? বউ সেই শেখানো বুলি আউরে দিলো। লোকটা ঘরের বাইরে এসে চেঁচিয়ে সবাইকে বোললো, এর স্বামী বেটা ভেগেছে বলে কিনা মাথার গণ্ডগোল আছে চল ব্যাটাকে খুঁজে ধরে এনে রাম ধোলাই দিলেই
সব বেরুবে হড় হড় করে। আমি কল ঘরে মানে কুয়া তলার পাশে দড়মা ঘেরা কুয়া পায়খানার জায়গা সেই খানে একপাশে মাটিতে হাঁটু মুড়েদুটো হাত একসাথে নাকের সামনে হাতির শুঁড়ের মতন করে রেখে গোঁজ হয়ে বসে ছিলাম মাথা হেঁট করে।ওরা খুঁজতে খুঁজতে আমাকে দেখতে পেয়ে হুঙ্কার ছেড়ে আমার কাছে এসে বোললো এই যে ব্যটা পালাবি কুথা? বল কি করছিস এখানে বসে? লুকিয়ে বাঁচবি, মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেবো, বল কোথায় কি আছে? এই বলে আমার চুলের মুঠি ধরে একজন টেনে তোলার চেষ্টা করতেই আমি বললাম আমায় টানছো কেনো, দেখছো না আমি গাড়ু, কেঊ শৌচ করতে এক্ষুনি এসে গেলে লাগবে জল ভরাই আছে। এই শুনে একজন ষণ্ডা লোক আমার কাছে এগিয়ে এসে বোললো, ব্যাটা গাড়ু দেখাচ্ছি মজা বলেই জোরসে আমার পিছনে মারলো লাথি আমি মাটিতে কাত হয়ে পড়ে গেলাম কিন্তু হাত সরালামনা মুখের সামনে থেকে যেম্ন ছিলো তেমন রেখেই পাশে কাত হয়ে গড়াতে লাগলাম আর মুখে বগ বগ বগ আওয়াজ কোরতে লাগলাম। ঐ ষণ্ডা লোকটা জিজ্ঞাসা করল এটা আবার কি হচ্ছে? আমি বোল্লাম তোমরা কি কানা দেখছোনা গাড়ু কাত হয়ে সব জল বেড়িয়ে যাচ্ছে? এবার ওরা উচ্চস্বরে হেসে উঠলো, বোললো ব্যাটা সত্যি বদ্ধপাগোল এর পাল্লায় পড়লে সব্বাই কেই মাথার ব্যামোয় ধরবে চল শেষ মেষ কপালে বদ্ধ পাগোল। আমায় ছেড়ে ওরা সদল বলে বেড়িয়ে গেলো আমার বাড়ি ছেড়ে।মুক্তি পেলাম এ যাত্রায়।শৌচ করতে এক্ষুনি এসে গেলে লাগবে জল ভরাই আছে। এই শুনে একজন ষণ্ডা লোক আমার কাছে এগিয়ে এসে বোললো, ব্যাটা গাড়ু দেখাচ্ছি মজা বলেই জোরসে আমার পিছনে মারলো লাথি আমি মাটিতে কাত হয়ে পড়ে গেলাম কিন্তু হাত সরালামনা মুখের সামনে থেকে যেম্ন ছিলো তেমন রেখেই পাশে কাত হয়ে গড়াতে লাগলাম আর মুখে বগ বগ বগ আওয়াজ কোরতে লাগলাম। ঐ ষণ্ডা লোকটা জিজ্ঞাসা করল এটা আবার কি হচ্ছে? আমি বোল্লাম তোমরা কি কানা দেখছোনা গাড়ু কাত হয়ে সব জল বেড়িয়ে যাচ্ছে? এবার ওরা উচ্চস্বরে হেসে উঠলো, বোললো ব্যাটা সত্যি বদ্ধপাগোল এর পাল্লায় পড়লে সব্বাই কেই মাথার ব্যামোয় ধরবে চল শেষ মেষ কপালে বদ্ধ পাগোল। আমায় ছেড়ে ওরা সদল বলে বেড়িয়ে গেলো আমার বাড়ি ছেড়ে।মুক্তি পেলাম এ যাত্রায়।
আর এক হাত লম্বা চকচকে ছুড়ি নিয়ে আমার বাড়ির পলকা দরজাতে লাথি মেরে ঢুকেই হুঙ্কার কে কোথায় আছিস বেড়িয়ে আয়, কি মাল কড়ি আছে ভালোয় ভালোয় দিয়ে যা, নইলে সব শেষ করে দেবো, বার কয়েক হুঙ্কারেও কেঊ বেরুচ্ছেনা দেখে ওদের মধ্যে একজন ঘরে ঢুকলো, ঘরে টিম টিম করে একটা লম্ফ জ্বলছে,বিছানায় বউ কাতরাচ্ছে, যেমন টি শিখিয়েছি তেমনি।কি হয়েছে তোর? বউ সেই শেখানো বুলি আউরে দিলো। লোকটা ঘরের বাইরে এসে চেঁচিয়ে সবাইকে বোললো, এর স্বামী বেটা ভেগেছে বলে কিনা মাথার গণ্ডগোল আছে চল ব্যাটাকে খুঁজে ধরে এনে রাম ধোলাই দিলেই
সব বেরুবে হড় হড় করে। আমি কল ঘরে মানে কুয়া তলার পাশে দড়মা ঘেরা কুয়া পায়খানার জায়গা সেই খানে একপাশে মাটিতে হাঁটু মুড়েদুটো হাত একসাথে নাকের সামনে হাতির শুঁড়ের মতন করে রেখে গোঁজ হয়ে বসে ছিলাম মাথা হেঁট করে।ওরা খুঁজতে খুঁজতে আমাকে দেখতে পেয়ে হুঙ্কার ছেড়ে আমার কাছে এসে বোললো এই যে ব্যটা পালাবি কুথা? বল কি করছিস এখানে বসে? লুকিয়ে বাঁচবি, মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেবো, বল কোথায় কি আছে? এই বলে আমার চুলের মুঠি ধরে একজন টেনে তোলার চেষ্টা করতেই আমি বললাম আমায় টানছো কেনো, দেখছো না আমি গাড়ু, কেঊ শৌচ করতে এক্ষুনি এসে গেলে লাগবে জল ভরাই আছে। এই শুনে একজন ষণ্ডা লোক আমার কাছে এগিয়ে এসে বোললো, ব্যাটা গাড়ু দেখাচ্ছি মজা বলেই জোরসে আমার পিছনে মারলো লাথি আমি মাটিতে কাত হয়ে পড়ে গেলাম কিন্তু হাত সরালামনা মুখের সামনে থেকে যেম্ন ছিলো তেমন রেখেই পাশে কাত হয়ে গড়াতে লাগলাম আর মুখে বগ বগ বগ আওয়াজ কোরতে লাগলাম। ঐ ষণ্ডা লোকটা জিজ্ঞাসা করল এটা আবার কি হচ্ছে? আমি বোল্লাম তোমরা কি কানা দেখছোনা গাড়ু কাত হয়ে সব জল বেড়িয়ে যাচ্ছে? এবার ওরা উচ্চস্বরে হেসে উঠলো, বোললো ব্যাটা সত্যি বদ্ধপাগোল এর পাল্লায় পড়লে সব্বাই কেই মাথার ব্যামোয় ধরবে চল শেষ মেষ কপালে বদ্ধ পাগোল। আমায় ছেড়ে ওরা সদল বলে বেড়িয়ে গেলো আমার বাড়ি ছেড়ে।মুক্তি পেলাম এ যাত্রায়।শৌচ করতে এক্ষুনি এসে গেলে লাগবে জল ভরাই আছে। এই শুনে একজন ষণ্ডা লোক আমার কাছে এগিয়ে এসে বোললো, ব্যাটা গাড়ু দেখাচ্ছি মজা বলেই জোরসে আমার পিছনে মারলো লাথি আমি মাটিতে কাত হয়ে পড়ে গেলাম কিন্তু হাত সরালামনা মুখের সামনে থেকে যেম্ন ছিলো তেমন রেখেই পাশে কাত হয়ে গড়াতে লাগলাম আর মুখে বগ বগ বগ আওয়াজ কোরতে লাগলাম। ঐ ষণ্ডা লোকটা জিজ্ঞাসা করল এটা আবার কি হচ্ছে? আমি বোল্লাম তোমরা কি কানা দেখছোনা গাড়ু কাত হয়ে সব জল বেড়িয়ে যাচ্ছে? এবার ওরা উচ্চস্বরে হেসে উঠলো, বোললো ব্যাটা সত্যি বদ্ধপাগোল এর পাল্লায় পড়লে সব্বাই কেই মাথার ব্যামোয় ধরবে চল শেষ মেষ কপালে বদ্ধ পাগোল। আমায় ছেড়ে ওরা সদল বলে বেড়িয়ে গেলো আমার বাড়ি ছেড়ে।মুক্তি পেলাম এ যাত্রায়।

No comments:
Post a Comment