আমার সকল প্রিয় শুভানুধ্যায়ী , আমি একটা বড় শারিরিক দুর্যোগ(২১/০৩-০২/০৪ )কাটিয়ে সকলের আন্তরিক ভালোবাসায় সুস্থ হয়ে আবার সবার মাঝে ফিরে এলাম ,আগের লেখা আঁকা দিয়ে আবার শুরু কোরলাম , সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ তাঁদের শুভ কামনার জন্য ই ফিরে এসেছি তাদের মাঝে।
ডাক্তার উকিল
ও বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য (৩)
রহস্য ময় "অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু (UFO)
"
>> তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়<<
ডাক্তার উকিল জেঠুর কাছ থেকে পাওয়া
ডায়েরী গুলো সাজিয়ে রাখার সময় আমার নজরে আসে বেশ কিছু ডায়েরীর পাতায় কাগজের ফালির পতাকা
দিয়ে চিহ্নিত করে লেখা আছে ,বিশ্বের অমীমাংসিত
রহস্য । আমি
এই ডায়েরী গুলো একত্রিত করে পরপর ক্রমিক নং দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি,
ওখান থেকেই পর্যায়ক্রমে পরস্পর প্রকাশ করার ইচ্ছা।এই ডায়েরী গুলি আজ থেকে ৪০ বছরের ও
আগে লেখা ঘটনাবলী। তাই
এর পর আরো অনেক গবেষণা হয়েছে, অনেক তথ্য প্রমানাদি
পাওয়া গেছে, হয়তো বদল ঘটেছে আগের ধ্যান ধারনার তবুও এই লেখা গুলি
তখনকার মুল্যবান তথ্য ঘটনা সমৃদ্ধ আকর্ষনীয় আজও সমাদৃত অনেকের কাছে, তাই এক এক করে তুলে ধরছি পাঠকের দরবারে । হাল তথ্য সম্বলিত পুস্তিকা
থেকে পেতে পারেন বর্তমান অবস্থান।
আজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ আকাশে অজ্ঞাত
উড়ন্ত বস্তুর আনাগোনা নিয়ে নানা চমকপ্রদ ঘটনা সংবাদ বিশ্বের নানা স্থানের সংবাদপত্রে
নানা পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। বেশীরভাগটাই ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকায় ।ভারতবর্ষেও দেখা গেছে এমন বেশ কিছু
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ এখানেও প্রকাশিত হয়েছে। বিহারে মানভুম জেলার অভ্র
খনির ম্যানেজার মিঃচ্যাটার্জী টাইমস অফ ইণ্ডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি প্রবল বায়ু প্রবাহের
মধ্যে আকাশে প্রায় ৫০০ফুট উচ্চতায় একটি আনুমানিক ১২-১৪ ফুটের ধুসর রঙের চুরুটের মতন
বস্তু ক্ষণিকের মধ্যে দূরন্ত গতিতে উর্দ্ধ পানে অন্তর্হিত হয়ে যেতে দেখেছেন।বিহারের তিনটি ( কাদরী,বরষা, মঙ্গলদা)গ্রামের প্রায় ৮০০জন গ্রাম বাসী ৪ঠা অক্টোবর
১৯৫৪,আকাশে এই রকম উচ্চতা দিয়ে চুরুটের মতন উড়ন্ত বস্তুকে দ্রুত
উড়ে যেতে দেখেছে। দ্বিতীয়
বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে বিশেষ করে ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু নিয়ে বিশ্বে
আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অশনাক্ত
উড়ন্ত বস্তু নিয়ে বিশ্বে যে বৈজ্ঞাণিকগন গবেষণা করেন তাঁদের উফোলজিস্ট বলা হয়। সমুদ্র বক্ষে এরকম অশনাক্ত ভাসমান বস্তু
USO
(Unidentified Submerged Objects ) দেখা গেছে। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল অবধি
UFO
তদন্তে Lockheed U-2A এবং Lockheed
SR-71নামে দুটি মার্কিণ গোপন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে, তারা এর সত্যতা বা কোনো গ্রহন যোগ্য তথ্য দিতে পারিনি, অথচ ১৯৪৭ সালে উত্তর পশ্চিম Roswell,New Mexico তে বজ্রবিদ্যুৎ
সহ ঝড়ের মধ্য সংঘটিত হওয়া ভয়ঙ্কর কাণ্ড, ৮ই জুলাই ওই শহরের মরুভূমিতে
যে একটি অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর (UFO) ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়,
তার কথা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এবং সরকার ব্যাপারটি সম্পুর্ণ
অস্বীকার করে।এর
জন্য তাঁরা একটি তদন্ত প্রহসন "মুগুল" স্থাপন করেছিলো। আমেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ড্রেক ১৯৬০ সালে বেতার তরঙ্গ মাধ্যমে সৌর
জগতের বাইরে কোন সভ্য প্রাণী আছে কিনা তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প
চালু করেন নাম দেন "ওজ্মা" কিন্তু কোনো সন্তোষজনক ফল লাভ করা যায় নি।এরপর নানা জায়গা থেকে এই রকম অশনাক্ত
উড়ন্ত বস্তু যা অনেকে বলেছেন দেখতে পিরিচ(Saucer) বা চাক্তির (Disc) এর মতন দেখেছেন।এই সব ঘটনার বিবরণ প্রকাশিত তথ্য সম্বলিত
পুস্তিকা , আর নানান বিশেষজ্ঞদের অভিমত আমাকে আকৃষ্ট
করে এই অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য।
আমি আমার ঝাড়গ্রামের বাংলোর ছাদে আমার তৈরী অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ ঘণাংঙ্কের একত্রীভূত পুঞ্জাক্ষী প্লাজমা লেন্স সম্বলিত দূরবীক্ষণ যন্ত্র যার সাথে বৈদ্যুতিক প্রতিবিম্ব বিবর্ধক ও বিশ্লেষক ব্যবস্থা আছে যার মাধ্যমে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করে থাকি । সম্প্রতি কসমিক রশ্মি বিকিরণ কে উচ্চ কম্পাঙ্কের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের সাথে মিশ্রন ঘটিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেরণ ও প্রতিফলিত বিকিরণ কে সনাক্ত করনের ব্যবস্থা এতে সংযোজন করা হয়েছে, মহাকাশে যেকোন বস্তু ,তরঙ্গ শক্তি কে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চিহ্নিত করতে পারবে ও তার তথ্যচিত্র সহ নথীভুক্ত করে রাখবে, নতুন বা অজানা অদ্যাবধি অনথীভুক্ত কোন কিছুর সন্ধান পাওয়া মাত্র একটি নির্দেশক শব্দযন্ত্র থেকে নির্গত হবে যা দূর থেকেও কর্ণগোচর হবে আর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন ও প্রস্তুত করতে আমাকে প্রায় ছয় মাস অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে।আজ পাঁচ দিন হলো যন্ত্র টি পুরো পুরি প্রস্তুত করার পর ছাদে যথা স্থানে স্থাপন করেছি। এখন অবধি তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রাতে আমার দূরবীক্ষণযন্ত্রে কতগুলি নক্ষত্রাবশেষের খণ্ড যা উল্কা পিণ্ডাকারে মহাকাশে বিচরণ করে তার চিত্র ধরা পড়েছে।,ধরা পড়েছে আমাদের আকাশগঙ্গা বা গ্যালাক্সিতেই একটি নক্ষত্রের গতি পথের কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন যা কৃষ্ণবিবর বা ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব কে ইঙ্গিত দেয়। কোনো অস্বাভাবিক সংকেত বা উড়ন্ত বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।আমি স্থির করলাম আমার সুদূর মহাকাশে প্রেরণের জন্য বিশেষ ওয়েভ ফর্ম জেনারেটর মেশিন টা চালু করে দেব, যাতে এর সংকেতে মহাকাশে কোনো উন্নত যানে থাকা যন্ত্রে ধরা পড়বে আর ওই যন্ত্রটিকে পৃথিবীর দিকে আকৃষ্ট করবে।এই যন্ত্রটা চালু করার প্রায় ১০ ঘণ্টা বাদে আমাদের এখানে ভোর রাত্রি ৩টা নাগাদ আমার যন্ত্রে কিছু অজ্ঞাত সংকেত আসতে শুরু করলো,।প্রথমে আমি কিছু বুঝতে না পারলেও একটু গভীর ভাবে মনযোগ সহকারে দেখতেই বুঝতে পারলাম এটা বহুদূর প্রায় দু শত আলোকবর্ষ দূরে কোনো কিছু থেকে প্রেরিত সংকেত, যেটি দ্রুত স্থান পরিবর্তনশীল ধাবমান কোন বস্তু থেকে নির্গত হচ্ছে,। মনে হচ্ছে অতি দ্রুত পৃথিবীর দিকেই আসছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা UFO হতে পারে।এটা যে গতিতে আসছে দু এক দিনের মধ্যেই এখানের আকাশে দেখা যাবে। প্রাপ্ত সংকেত বোঝা আমার এক্ষুনি সম্ভব নয় ।কিছু তথ্যের প্রয়োজন। মাঝে দুদিন কেটে গেলো ক্রমাগত সংকেত আসছে প্রচণ্ড জোরালো হয়েছে। বুঝলাম কাছেই এসে গেছে ঐ যন্ত্র যেখান থেকে এই সংকেত আসছে,আজ অথবা কালকেই ধরা পড়বে আমাদের আকাশে ইতিমধ্যে আমার দুরবীনে ক্ষণিকের জন্য দেখা দিয়ে আবার সরে গেছে মুহুর্তের মধ্যে।যে ছবি পাওয়া গেছে বোঝা যাচ্ছে এটা অজানা উত্তল গোলাকার প্রচণ্ড গতিশীল বস্তু
যার গায়ে উজ্জ্বল নীলচে সাদা কমলা আলোক প্রতিফলিত হচ্চে। কি ধাতুর তৈরী ঠিক কি সাইজ এখনো বোঝা যাচ্ছেনা । হঠাত রাত ২টা নাগাদ একটা প্রবল ঝড়ের শব্দ আমার গ্রাহক যন্ত্রে শোনা গেলো অথচ চার পাশের আকাশ পরিস্কার কোনো মেঘের বা ঝড়ের লক্ষণ নেই।আকাশে পর্যবেক্ষণের জন্য যেই না দুরবীন ঘুরিয়ে দেখতে গেছি ,প্রবল একটা বিস্ফোরণের মত আওয়াজ সাথে বিদ্যুৎ ঝলসানির মতন আলোকের বিচ্ছুরণ।এরপর আমার চোখে অন্ধকার কিছু মনে নেই। জ্ঞান হারিয়েছিলাম, সকালে আমাকে নিচের ঘরে না পেয়ে ছাদে ডাকতে আসে বাড়ির পরিচারক রাজেন, আর পরিচারিকা লক্ষ্মী , তারা আমাকে অচৈতন্য অবস্থায় ধরাধরি করে নীচে এনে বিছানায় শুইয়ে দেয় আর আমার আবিস্কৃত সঞ্জীবনী ট্যাব্লেট মুখে দিতেই আমার জ্ঞান ফিরে আসে, সুস্থ হয়ে উঠেছি।কোন রকমে চা বিস্কুট খেয়ে রাতে কি ঘটেছিলো দেখার আর বোঝার জন্য ছাদে এলাম। দেখি সব লণ্ডভণ্ড, উলটে পালটে ছাদে পড়ে আছে ছত্রাকার হয়ে। আমার গ্রাহক যন্ত্রটিও জ্বলে পুড়ে গেছে। কোনো তথ্য পাওয়া যাবেনা, দুরবীনটাও দুমড়ে মুচড়ে গেছে ।বিশ্লেষক যন্ত্রও খণ্ড বিখণ্ড। একটা মহা প্রলয় ঘটে গেছে। ছাদ থেকে আমার বাংলোর চারপাশে তাকিয়ে দেখি আমার বাংলোর বাগানের ভিতরে যে ফুল ফলের গাছ গুলো ছিলো সব ঝলসে গেছে পুড়ে কাঠকয়লা যেন বজ্রপাত হয়েছে।অথচ বাগানে বাংলোর থেকে একটু দুরের গাছ গুলোর কিচ্ছুটি হয়নি আঁচও লাগেনি। আশ্চর্য্য ব্যাপার আমার ঘরের মধ্যে যে অনান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ছিলো তার কোনো ক্ষতি হয়নি কেবল মাত্র অডিও ভিসুয়াল রিসিভার, রেকর্ডার গুলো সব অকেজো হয়ে গেছে । বাংলোর চারপাশে ভিতরে লাগানো ভিউয়ার ক্যামেরা গুলো সব অকেজো হয়ে গেছে। সাউণ্ড সিস্টেম গুলো অদ্ভুত ভাবে নীরব হয়ে গেছে।আমার পোষ্য দুটি কুকুর একটি এলশেসিয়ান অন্যটি ডোভার ম্যান ছিলো একদম স্বাভাবিক নিঃশ্চুপ,বিড়াল পাঁচটাও ঘুমাচ্ছিলো নিশ্চিন্তে । এই ঘটনাটা আমার কাছে এতটাই আকস্মিক আর রহস্যময় যে আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিনা যা ঘটেছে এটা কি সত্যই বাস্তবে সম্ভব? কিন্তু চার পাশে সব কিছুর প্রমান নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে অস্বীকার করি কি করে?কি ঘটেছিলো তার কোনোই প্রমান নেই আমার ও অজানা ।সঠিক কি হয়েছিলো? কেনো এমন ঘটলো? আমি মনে মনে বুঝলাম আরো শক্ত পোক্ত উন্নত যন্ত্র বানাতে হবে যাতে কোনো ভাবেই কোনো অবস্থাতে বিনষ্ট না হয়। এবারে সব রেকর্ড নষ্ট হয়ে গেছে এমন হলে চলবে না ।প্রাপ্ত সিগন্যাল গুলো ডিকোড করবো ভেবেছিলাম। এখন কোনো উপায় নেই। ওদিকে ঐ বস্তুটার ছবিও নেই কেমন দেখতে সঠিক বলতে পারবোনা।একটু হতাশই হয়ে পড়লাম। আমি আমার দেখা আর শোনা বিষয় গুলো একটু গুছিয়ে নিয়ে ভাবতে লাগলাম।
আমি আমার ঝাড়গ্রামের বাংলোর ছাদে আমার তৈরী অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ ঘণাংঙ্কের একত্রীভূত পুঞ্জাক্ষী প্লাজমা লেন্স সম্বলিত দূরবীক্ষণ যন্ত্র যার সাথে বৈদ্যুতিক প্রতিবিম্ব বিবর্ধক ও বিশ্লেষক ব্যবস্থা আছে যার মাধ্যমে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করে থাকি । সম্প্রতি কসমিক রশ্মি বিকিরণ কে উচ্চ কম্পাঙ্কের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের সাথে মিশ্রন ঘটিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেরণ ও প্রতিফলিত বিকিরণ কে সনাক্ত করনের ব্যবস্থা এতে সংযোজন করা হয়েছে, মহাকাশে যেকোন বস্তু ,তরঙ্গ শক্তি কে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চিহ্নিত করতে পারবে ও তার তথ্যচিত্র সহ নথীভুক্ত করে রাখবে, নতুন বা অজানা অদ্যাবধি অনথীভুক্ত কোন কিছুর সন্ধান পাওয়া মাত্র একটি নির্দেশক শব্দযন্ত্র থেকে নির্গত হবে যা দূর থেকেও কর্ণগোচর হবে আর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন ও প্রস্তুত করতে আমাকে প্রায় ছয় মাস অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে।আজ পাঁচ দিন হলো যন্ত্র টি পুরো পুরি প্রস্তুত করার পর ছাদে যথা স্থানে স্থাপন করেছি। এখন অবধি তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রাতে আমার দূরবীক্ষণযন্ত্রে কতগুলি নক্ষত্রাবশেষের খণ্ড যা উল্কা পিণ্ডাকারে মহাকাশে বিচরণ করে তার চিত্র ধরা পড়েছে।,ধরা পড়েছে আমাদের আকাশগঙ্গা বা গ্যালাক্সিতেই একটি নক্ষত্রের গতি পথের কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন যা কৃষ্ণবিবর বা ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব কে ইঙ্গিত দেয়। কোনো অস্বাভাবিক সংকেত বা উড়ন্ত বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।আমি স্থির করলাম আমার সুদূর মহাকাশে প্রেরণের জন্য বিশেষ ওয়েভ ফর্ম জেনারেটর মেশিন টা চালু করে দেব, যাতে এর সংকেতে মহাকাশে কোনো উন্নত যানে থাকা যন্ত্রে ধরা পড়বে আর ওই যন্ত্রটিকে পৃথিবীর দিকে আকৃষ্ট করবে।এই যন্ত্রটা চালু করার প্রায় ১০ ঘণ্টা বাদে আমাদের এখানে ভোর রাত্রি ৩টা নাগাদ আমার যন্ত্রে কিছু অজ্ঞাত সংকেত আসতে শুরু করলো,।প্রথমে আমি কিছু বুঝতে না পারলেও একটু গভীর ভাবে মনযোগ সহকারে দেখতেই বুঝতে পারলাম এটা বহুদূর প্রায় দু শত আলোকবর্ষ দূরে কোনো কিছু থেকে প্রেরিত সংকেত, যেটি দ্রুত স্থান পরিবর্তনশীল ধাবমান কোন বস্তু থেকে নির্গত হচ্ছে,। মনে হচ্ছে অতি দ্রুত পৃথিবীর দিকেই আসছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা UFO হতে পারে।এটা যে গতিতে আসছে দু এক দিনের মধ্যেই এখানের আকাশে দেখা যাবে। প্রাপ্ত সংকেত বোঝা আমার এক্ষুনি সম্ভব নয় ।কিছু তথ্যের প্রয়োজন। মাঝে দুদিন কেটে গেলো ক্রমাগত সংকেত আসছে প্রচণ্ড জোরালো হয়েছে। বুঝলাম কাছেই এসে গেছে ঐ যন্ত্র যেখান থেকে এই সংকেত আসছে,আজ অথবা কালকেই ধরা পড়বে আমাদের আকাশে ইতিমধ্যে আমার দুরবীনে ক্ষণিকের জন্য দেখা দিয়ে আবার সরে গেছে মুহুর্তের মধ্যে।যে ছবি পাওয়া গেছে বোঝা যাচ্ছে এটা অজানা উত্তল গোলাকার প্রচণ্ড গতিশীল বস্তু
যার গায়ে উজ্জ্বল নীলচে সাদা কমলা আলোক প্রতিফলিত হচ্চে। কি ধাতুর তৈরী ঠিক কি সাইজ এখনো বোঝা যাচ্ছেনা । হঠাত রাত ২টা নাগাদ একটা প্রবল ঝড়ের শব্দ আমার গ্রাহক যন্ত্রে শোনা গেলো অথচ চার পাশের আকাশ পরিস্কার কোনো মেঘের বা ঝড়ের লক্ষণ নেই।আকাশে পর্যবেক্ষণের জন্য যেই না দুরবীন ঘুরিয়ে দেখতে গেছি ,প্রবল একটা বিস্ফোরণের মত আওয়াজ সাথে বিদ্যুৎ ঝলসানির মতন আলোকের বিচ্ছুরণ।এরপর আমার চোখে অন্ধকার কিছু মনে নেই। জ্ঞান হারিয়েছিলাম, সকালে আমাকে নিচের ঘরে না পেয়ে ছাদে ডাকতে আসে বাড়ির পরিচারক রাজেন, আর পরিচারিকা লক্ষ্মী , তারা আমাকে অচৈতন্য অবস্থায় ধরাধরি করে নীচে এনে বিছানায় শুইয়ে দেয় আর আমার আবিস্কৃত সঞ্জীবনী ট্যাব্লেট মুখে দিতেই আমার জ্ঞান ফিরে আসে, সুস্থ হয়ে উঠেছি।কোন রকমে চা বিস্কুট খেয়ে রাতে কি ঘটেছিলো দেখার আর বোঝার জন্য ছাদে এলাম। দেখি সব লণ্ডভণ্ড, উলটে পালটে ছাদে পড়ে আছে ছত্রাকার হয়ে। আমার গ্রাহক যন্ত্রটিও জ্বলে পুড়ে গেছে। কোনো তথ্য পাওয়া যাবেনা, দুরবীনটাও দুমড়ে মুচড়ে গেছে ।বিশ্লেষক যন্ত্রও খণ্ড বিখণ্ড। একটা মহা প্রলয় ঘটে গেছে। ছাদ থেকে আমার বাংলোর চারপাশে তাকিয়ে দেখি আমার বাংলোর বাগানের ভিতরে যে ফুল ফলের গাছ গুলো ছিলো সব ঝলসে গেছে পুড়ে কাঠকয়লা যেন বজ্রপাত হয়েছে।অথচ বাগানে বাংলোর থেকে একটু দুরের গাছ গুলোর কিচ্ছুটি হয়নি আঁচও লাগেনি। আশ্চর্য্য ব্যাপার আমার ঘরের মধ্যে যে অনান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ছিলো তার কোনো ক্ষতি হয়নি কেবল মাত্র অডিও ভিসুয়াল রিসিভার, রেকর্ডার গুলো সব অকেজো হয়ে গেছে । বাংলোর চারপাশে ভিতরে লাগানো ভিউয়ার ক্যামেরা গুলো সব অকেজো হয়ে গেছে। সাউণ্ড সিস্টেম গুলো অদ্ভুত ভাবে নীরব হয়ে গেছে।আমার পোষ্য দুটি কুকুর একটি এলশেসিয়ান অন্যটি ডোভার ম্যান ছিলো একদম স্বাভাবিক নিঃশ্চুপ,বিড়াল পাঁচটাও ঘুমাচ্ছিলো নিশ্চিন্তে । এই ঘটনাটা আমার কাছে এতটাই আকস্মিক আর রহস্যময় যে আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিনা যা ঘটেছে এটা কি সত্যই বাস্তবে সম্ভব? কিন্তু চার পাশে সব কিছুর প্রমান নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে অস্বীকার করি কি করে?কি ঘটেছিলো তার কোনোই প্রমান নেই আমার ও অজানা ।সঠিক কি হয়েছিলো? কেনো এমন ঘটলো? আমি মনে মনে বুঝলাম আরো শক্ত পোক্ত উন্নত যন্ত্র বানাতে হবে যাতে কোনো ভাবেই কোনো অবস্থাতে বিনষ্ট না হয়। এবারে সব রেকর্ড নষ্ট হয়ে গেছে এমন হলে চলবে না ।প্রাপ্ত সিগন্যাল গুলো ডিকোড করবো ভেবেছিলাম। এখন কোনো উপায় নেই। ওদিকে ঐ বস্তুটার ছবিও নেই কেমন দেখতে সঠিক বলতে পারবোনা।একটু হতাশই হয়ে পড়লাম। আমি আমার দেখা আর শোনা বিষয় গুলো একটু গুছিয়ে নিয়ে ভাবতে লাগলাম।

No comments:
Post a Comment