কিছুদিন বাদ দিয়ে আবার একটা কল্প বিজ্ঞাণের
গল্প হাজির করলাম, এটা একটু অন্য স্বাদের
জানিনা কেমন লাগবে মতামত পেলে বাধিত হব।
রক্ত'
তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
হঠাৎ চারপাশ অন্ধকার করে এমন ধুলোর ঝড় উঠবে তা কল্পনাতেও আসেনি অতনুর সে তাহলে এসময় সঞ্জিতের বাড়ি থেকে বেরুতোইনা একটুবাদে ঝড় থামলেই না হয় বেরুতো, কতক্ষনইবা দেরী হোতো বড়জোর এক ঘণ্টা, কিন্তু আকাশ ছিলো একদম পরিস্কার সন্ধ্যার এক্টু আগেই বেড়িয়ে ছিলো যাতে সন্ধ্যা নাগাদ নিজের বাড়িতে পৌঁছে যায়। অতনু মুলরাস্তা ছেড়ে আমবাগানের মধ্যের পথটা দিয়ে তাড়াতাড়ি ফেরার জন্য সবে ঢুকে কিছুটা পথ এগিয়েছে তখনি শুনতে পেলো শোঁ ও শোঁ প্রচণ্ড হাওয়ার শব্দ সাথে আকাশ কালো করে ধূলোর ঝড়, সাথে সাথে নেমে এলো অন্ধকার, প্রচণ্ড ঘূর্ণী, চারপাশে কিছুই দেখা যায়না। অতনু ভয়ে কোন ক্রমে একটা আম গাছকে জোরে জাপ্টে ধরে নইলে ঘুর্ণী হাওয়ার যা বেগ তাতে উড়িয়ে নিয়ে কোথায় ফেলবে কে জানে ?প্রচণ্ড ধূলো তাই চোখ বন্ধ করে,গাছ জাপ্টে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে অতনু। মিনিট ২০ বাদে ঝড় থামতে শোঁ ও শোঁ প্রচণ্ড হাওয়ার শব্দ আও্য়াজ টাও গেছিলো থেমে ।
আচমকা এই পরিস্থিতিতে অতনু হতচকিত হয়ে গেছিলো সামনে কিছুই ঠাওর হচ্ছেনা তার উপর মনটাও বিশেষ ভালোনেই কারণ সঞ্জিতের বাবার কাল সকালে হার্ট অপারেশন রক্তের প্রয়োজন অথচ ওনার যে গ্রুপের রক্ত তা পাওয়া যাচ্ছেনা কোন পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই, না পেলে অপারেশন হবেনা ওনাকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা ,সবার মন তাই খারাপ।সঞ্জিত নার্সিংহোমে কাকার সাথে রয়েছে।বাবা কে বাঁচানোর আশা ছেড়েই দিয়েছে।এই সব কারনে অতনুর মাথাটাও ঠিক কাজ করছেনা, সামনে জমাট অন্ধকারেরর দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে। দেখে সামনে যে বড় পুকুর টা রয়েছে যেটাকে পাড়ার লোকে মিঠা পুকুর বলে, আগে এই পুকুরের জল পাড়ার লোক খাবার জল হিসাবেই খেত, এখন স্যালো বা ডিপ টিউবয়েলের জল ব্যাবহার করে, এই পুকুরটাতে আর তেমন কেঊ আসেনা,সেই পুকুরের মাঝে বিরাট একটা গম্বুজের মতন কি দেখাযাচ্ছে? অন্ধকারেও ওটা চকচক কোরছে একটা হাল্কা সবুজ আলোর আভা বেরুচ্ছে তাতে চারপাশটা দেখা যাচ্ছে।
অতনু মন্ত্রমুগ্ধের মতন নিজের অজান্তেই কখন ঐ পুকুরের দিকে গম্বুজটার কাছে এগিয়ে গেছে।কাছাকাছি আস্তেই অতনু বুঝতে পারে ওটা কোনো ধাতব পাতে তৈরী বিশালযান্ত্রিক ব্যাপার কোন যানবাহন হতে পারে, আকাশ যান হওয়া বিচিত্র নয়, এইসব ভাবছে আর এগুচ্ছে একটু একটু করে। যন্ত্রটার হাত দশেকের মধ্যে পৌঁছতেই অতনু বুঝতে পারে তাকে একটা অদৃশ্য জাল ঘিরে ফেলেছে আর সেই জালটা আস্তে আস্তে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে ওই গম্বুজটার কাছে এক সময় মাটিথেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঐ যানটার মধ্যে নিয়ে গেলো।সুন্দর সাজানো গুছানো আলোক সজ্জিত ঘর, কোথা থেকে এতো আলো আসছে বোঝা যাচ্ছেনা,কিন্তু ঘরের মধ্যে হাল্কা স্নিগদ্ধ আলো অথচ সব দিনের মতন পরিস্কার দেখা যাচ্ছে, বাইরে গভীর অন্ধকার। ঘরের মধ্যে প্রচুর যন্ত্রপাতি বড় ইলেক্ট্রণিক্সের
ল্যবরেটরী।অতনু সিনেমা,টিভিতে মহাকাশ যানের মধ্যে ছবিতে যেমন দেখেছে প্রায় সেই রকমই তবে কোন লোক জন দেখা যাচ্ছেনা।চারপাশে নানা ধরনের আলো, মিটার,সুইচ লাইট এইসব। হঠাৎ ঘরের মধ্যে ছাদের দিক থেকে একটা গুরুগম্ভীর স্বর ভেসে এলো বাংলা, তবে যান্ত্রিক শব্দ বোঝা যায়।
তুমি অতনু । তুমি এই পথে কোথাও থেকে বাড়ি ফিরছিলে, তুমি খুউব চিন্তিত ও বিষন্ন। কি সমস্যা বলো ? অতনু প্রচণ্ড ঘাবড়ে গেছিলো তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, আমি আপনাকে দেখতে পাচ্ছিনা, জানিনা আপনি কে এবং কোথায়?আপনি কিভাবে আমার সমস্যার সুরাহা কোরবেন? উত্তর এলো আমি কে কোথায় জানার দরকার নেই, তোমার সমস্যার সুরাহা দরকার কিনা বলো? অতনু জানালো সেতো অবশ্যি প্রয়োজন।
তাহলে বলো দেখি কি কোরতে পারি ,অদৃশ্য কন্ঠ জানতে চাইলে অতনু সব বললোএবার অই যান্ত্রিক কন্ঠে অতনুকে কিছুক্ষন অপেক্ষা কোরতে বোল্লো। অতনু ঘরের চারপাশ দেখছে খুঁটিয়ে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেনা।একটু বাদেই ঘড় ঘড় করে একটা শব্দ পাশে একটা মাঝারি রেফ্রিজারেটরের মতন জিনিস, তারথেকে একটা ট্রে বেড়িয়ে এলো তাতে সাদা থার্মোকলের তৈরী চৌকা বাক্সের মতন দেখতে একটা প্যাকেজ।এবার সেই কন্ঠে শোনা গেলো এই নাও এর মধ্যে একটাতে পাঊডার (M) আর 5টে তে A,B,O,+. - লেখা আছে। এখন যেকোনো সুস্থলোক তার রক্ত যে গ্রুপের ই হোক যদি ১ চা চামচের M পাউডারেরর সাথে ওই পাঁচটা প্যাকেটের থেকে যে গ্রুপ দরকার সেই কম্বিনেশন ১/৪ চামচ করে নিয়ে বানিয়ে খায় তাহলে তার রক্তের গ্রুপ আধ ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্ত্তিত হয়ে ঐ গ্রুপের হয়ে যাবে। এরপর M আর+ ১/২চামচ করে মিশিয়ে খেলে আগের অবস্থায় পুরানো গ্রুপের রক্তে ফিরে যাবে। এখন দেখো কে কে রক্ত দেবে তারা তাদের রক্তের গ্রুপ বদল করে নিতে পারে সঞ্জিতের বাবার গ্রুপে অথবা ওনার গ্রুপ্টা বদল করে সাধারন যে গ্রুপের রক্ত সহজেই পাওয়া যাবে সেটাতে বদল করে নাও সেক্ষেত্রে, এক্ষুনী তাকে এই ঔষধ খাইয়ে ১ঘণ্টা বাদে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। সব বিষয় টা গোপনে আর বুদ্ধি করে সারতে হবে যাতে বাইরের কেঊ না জানে।
এরপর অদৃশ্য কন্ঠ অতনুকে বোললো আমাদের শরীরে রক্ত মাংস এমন কি অস্বচ্ছ পদার্থ কিছুই নেই তাই আমাদের মধ্য দিয়ে আলো বিনা বাধায় প্রবাহিত হয়ে যায় আমরা অদৃশ্য থেকে যাই। আমরা দুহাজারদুশো তিয়াত্তর কোটি আলোক বর্ষ দুরে অন্য সৌর মণ্ডলের একটি গ্রহ এন্টিগো থেকে এই পথে আরো তিন হাজার কোটি আলোক বর্ষ দুরের গ্রহ ভ্যান্ডেলাতে যাচ্ছিলাম , আমাদের এই মহাকাশ যানে ছোট ত্রুটি সারানোর জন্য, তোমাদের হিসাবে ৩ঘণ্টা সময়ের জন্য মহাকাশ যানটাকে থামাতে হয়েছে,এখানটাই উপযুক্ত জায়গা। যান টা নামার সময় তোমার ডিটেল টেলিপ্যথিটিক্যাল অডিও ভিসুয়াল ইমেজাইজেশন ফুটেজ টা আমাদের সুপার রিয়াক্টিভ বায়ো ইন্টালিজেন্ট কম্পিঊটারে ফুটে উঠতেই তোমার সব কিছু জানা হয়ে গেছে, আমাদের ও দয়া মায়া আছে তাই তোমার জন্য এই ছোট্ট উপকারটা করে দিয়ে গেলাম,আমাদের এই কম্পিউটার সব কিছুর মুহুর্তে বিশ্লেষণ ও হুবহু প্রতিস্থাপন,প্রতিমুর্ত্তি গঠনে সক্ষম।এই যন্ত্রে থট রিডার আছে, তুমি কি ভাবছো বলে দেবে,এছাড়া এই যন্ত্রের ট্রান্সস্লেটর, ইন্টারপ্রেটর এন্ড ইমপ্লিমেন্ট র কমবাইনার ডিভাইস টা খুউব শক্তিশালী ও বহু কর্ম সাধক। এই যন্ত্রে ৩ কোটি ভাষার সংকেতকে আমাদের বোধগম্য ভাষা বা সঙ্কেতে রুপান্তরিত করে দেয়, অনুরুপভাবে আমাদের ভাষা সঙ্কেত কেও ওই ৩ কোটী ভাষা বা স ঙ্কেতে রুপান্তরিত কোরতে পারে। এই সম্পুর্ণ নির্বাচন ও সম্পাদন পদ্ধতি টি স্বয়ংক্রিয়।
অতনু সময় নষ্ট না করে তক্ষুনী ঐ পাঊডার গুলো নিয়ে সঞ্জিতের কাছে গিয়ে আলোচনা করে সঞ্জিতের বাবার রক্ত টা AB+গ্রুপে বদল করে নিয়ে ছিলো কারন ওই রক্তের যোগান ছিলো, সহজেই পাওয়া গেছিলো, নার্সিং হোমে সঞ্জিতের বাবার রক্ত পরীক্ষা করে রক্তেরযোগান দেখেই যথা সময়ে অপারেশন করে সঞ্জিতের বাবাকে সুস্থ করে তুলেছিলো ।ওই রক্ত বদলানোর অষুধের প্যাকেট গুলো ৭২ ঘণ্টা বাদে বাক্স সমেত উবে যায় কোনো চিহ্ন থাকেনা। অতনু সেদিন রাত্রে নার্সিংহোম থেকে ঘণ্টা খানেক পর ফেরার সময় ঐ পুকুরে কোন মহাকাশ যান বা কোনো অস্বাভাবাবিক কিছুই দেখতে পেলোনা।সঞ্জিত আর অতনু জানে অসম্ভব কাণ্ডটা কি ঘটেছিলো ?
অথচ কোনো প্রমান নেই তাই কেঊ বিশ্বাস করেনি বলেছে আজগুবি বানানো তাদের ধারনা আসলে প্রথম রক্তের রিপোর্টটাই ভুল ছিলো, ভাগ্যি রাতে আবার রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিলো এই সিদ্ধান্তটার জন্য অতনু আর সঞ্জিত কে সবাই বাহবা দিয়েছে।
হঠাৎ চারপাশ অন্ধকার করে এমন ধুলোর ঝড় উঠবে তা কল্পনাতেও আসেনি অতনুর সে তাহলে এসময় সঞ্জিতের বাড়ি থেকে বেরুতোইনা একটুবাদে ঝড় থামলেই না হয় বেরুতো, কতক্ষনইবা দেরী হোতো বড়জোর এক ঘণ্টা, কিন্তু আকাশ ছিলো একদম পরিস্কার সন্ধ্যার এক্টু আগেই বেড়িয়ে ছিলো যাতে সন্ধ্যা নাগাদ নিজের বাড়িতে পৌঁছে যায়। অতনু মুলরাস্তা ছেড়ে আমবাগানের মধ্যের পথটা দিয়ে তাড়াতাড়ি ফেরার জন্য সবে ঢুকে কিছুটা পথ এগিয়েছে তখনি শুনতে পেলো শোঁ ও শোঁ প্রচণ্ড হাওয়ার শব্দ সাথে আকাশ কালো করে ধূলোর ঝড়, সাথে সাথে নেমে এলো অন্ধকার, প্রচণ্ড ঘূর্ণী, চারপাশে কিছুই দেখা যায়না। অতনু ভয়ে কোন ক্রমে একটা আম গাছকে জোরে জাপ্টে ধরে নইলে ঘুর্ণী হাওয়ার যা বেগ তাতে উড়িয়ে নিয়ে কোথায় ফেলবে কে জানে ?প্রচণ্ড ধূলো তাই চোখ বন্ধ করে,গাছ জাপ্টে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে অতনু। মিনিট ২০ বাদে ঝড় থামতে শোঁ ও শোঁ প্রচণ্ড হাওয়ার শব্দ আও্য়াজ টাও গেছিলো থেমে ।
আচমকা এই পরিস্থিতিতে অতনু হতচকিত হয়ে গেছিলো সামনে কিছুই ঠাওর হচ্ছেনা তার উপর মনটাও বিশেষ ভালোনেই কারণ সঞ্জিতের বাবার কাল সকালে হার্ট অপারেশন রক্তের প্রয়োজন অথচ ওনার যে গ্রুপের রক্ত তা পাওয়া যাচ্ছেনা কোন পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই, না পেলে অপারেশন হবেনা ওনাকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা ,সবার মন তাই খারাপ।সঞ্জিত নার্সিংহোমে কাকার সাথে রয়েছে।বাবা কে বাঁচানোর আশা ছেড়েই দিয়েছে।এই সব কারনে অতনুর মাথাটাও ঠিক কাজ করছেনা, সামনে জমাট অন্ধকারেরর দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে। দেখে সামনে যে বড় পুকুর টা রয়েছে যেটাকে পাড়ার লোকে মিঠা পুকুর বলে, আগে এই পুকুরের জল পাড়ার লোক খাবার জল হিসাবেই খেত, এখন স্যালো বা ডিপ টিউবয়েলের জল ব্যাবহার করে, এই পুকুরটাতে আর তেমন কেঊ আসেনা,সেই পুকুরের মাঝে বিরাট একটা গম্বুজের মতন কি দেখাযাচ্ছে? অন্ধকারেও ওটা চকচক কোরছে একটা হাল্কা সবুজ আলোর আভা বেরুচ্ছে তাতে চারপাশটা দেখা যাচ্ছে।
অতনু মন্ত্রমুগ্ধের মতন নিজের অজান্তেই কখন ঐ পুকুরের দিকে গম্বুজটার কাছে এগিয়ে গেছে।কাছাকাছি আস্তেই অতনু বুঝতে পারে ওটা কোনো ধাতব পাতে তৈরী বিশালযান্ত্রিক ব্যাপার কোন যানবাহন হতে পারে, আকাশ যান হওয়া বিচিত্র নয়, এইসব ভাবছে আর এগুচ্ছে একটু একটু করে। যন্ত্রটার হাত দশেকের মধ্যে পৌঁছতেই অতনু বুঝতে পারে তাকে একটা অদৃশ্য জাল ঘিরে ফেলেছে আর সেই জালটা আস্তে আস্তে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে ওই গম্বুজটার কাছে এক সময় মাটিথেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঐ যানটার মধ্যে নিয়ে গেলো।সুন্দর সাজানো গুছানো আলোক সজ্জিত ঘর, কোথা থেকে এতো আলো আসছে বোঝা যাচ্ছেনা,কিন্তু ঘরের মধ্যে হাল্কা স্নিগদ্ধ আলো অথচ সব দিনের মতন পরিস্কার দেখা যাচ্ছে, বাইরে গভীর অন্ধকার। ঘরের মধ্যে প্রচুর যন্ত্রপাতি বড় ইলেক্ট্রণিক্সের
ল্যবরেটরী।অতনু সিনেমা,টিভিতে মহাকাশ যানের মধ্যে ছবিতে যেমন দেখেছে প্রায় সেই রকমই তবে কোন লোক জন দেখা যাচ্ছেনা।চারপাশে নানা ধরনের আলো, মিটার,সুইচ লাইট এইসব। হঠাৎ ঘরের মধ্যে ছাদের দিক থেকে একটা গুরুগম্ভীর স্বর ভেসে এলো বাংলা, তবে যান্ত্রিক শব্দ বোঝা যায়।
তুমি অতনু । তুমি এই পথে কোথাও থেকে বাড়ি ফিরছিলে, তুমি খুউব চিন্তিত ও বিষন্ন। কি সমস্যা বলো ? অতনু প্রচণ্ড ঘাবড়ে গেছিলো তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, আমি আপনাকে দেখতে পাচ্ছিনা, জানিনা আপনি কে এবং কোথায়?আপনি কিভাবে আমার সমস্যার সুরাহা কোরবেন? উত্তর এলো আমি কে কোথায় জানার দরকার নেই, তোমার সমস্যার সুরাহা দরকার কিনা বলো? অতনু জানালো সেতো অবশ্যি প্রয়োজন।
তাহলে বলো দেখি কি কোরতে পারি ,অদৃশ্য কন্ঠ জানতে চাইলে অতনু সব বললোএবার অই যান্ত্রিক কন্ঠে অতনুকে কিছুক্ষন অপেক্ষা কোরতে বোল্লো। অতনু ঘরের চারপাশ দেখছে খুঁটিয়ে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেনা।একটু বাদেই ঘড় ঘড় করে একটা শব্দ পাশে একটা মাঝারি রেফ্রিজারেটরের মতন জিনিস, তারথেকে একটা ট্রে বেড়িয়ে এলো তাতে সাদা থার্মোকলের তৈরী চৌকা বাক্সের মতন দেখতে একটা প্যাকেজ।এবার সেই কন্ঠে শোনা গেলো এই নাও এর মধ্যে একটাতে পাঊডার (M) আর 5টে তে A,B,O,+. - লেখা আছে। এখন যেকোনো সুস্থলোক তার রক্ত যে গ্রুপের ই হোক যদি ১ চা চামচের M পাউডারেরর সাথে ওই পাঁচটা প্যাকেটের থেকে যে গ্রুপ দরকার সেই কম্বিনেশন ১/৪ চামচ করে নিয়ে বানিয়ে খায় তাহলে তার রক্তের গ্রুপ আধ ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্ত্তিত হয়ে ঐ গ্রুপের হয়ে যাবে। এরপর M আর+ ১/২চামচ করে মিশিয়ে খেলে আগের অবস্থায় পুরানো গ্রুপের রক্তে ফিরে যাবে। এখন দেখো কে কে রক্ত দেবে তারা তাদের রক্তের গ্রুপ বদল করে নিতে পারে সঞ্জিতের বাবার গ্রুপে অথবা ওনার গ্রুপ্টা বদল করে সাধারন যে গ্রুপের রক্ত সহজেই পাওয়া যাবে সেটাতে বদল করে নাও সেক্ষেত্রে, এক্ষুনী তাকে এই ঔষধ খাইয়ে ১ঘণ্টা বাদে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। সব বিষয় টা গোপনে আর বুদ্ধি করে সারতে হবে যাতে বাইরের কেঊ না জানে।
এরপর অদৃশ্য কন্ঠ অতনুকে বোললো আমাদের শরীরে রক্ত মাংস এমন কি অস্বচ্ছ পদার্থ কিছুই নেই তাই আমাদের মধ্য দিয়ে আলো বিনা বাধায় প্রবাহিত হয়ে যায় আমরা অদৃশ্য থেকে যাই। আমরা দুহাজারদুশো তিয়াত্তর কোটি আলোক বর্ষ দুরে অন্য সৌর মণ্ডলের একটি গ্রহ এন্টিগো থেকে এই পথে আরো তিন হাজার কোটি আলোক বর্ষ দুরের গ্রহ ভ্যান্ডেলাতে যাচ্ছিলাম , আমাদের এই মহাকাশ যানে ছোট ত্রুটি সারানোর জন্য, তোমাদের হিসাবে ৩ঘণ্টা সময়ের জন্য মহাকাশ যানটাকে থামাতে হয়েছে,এখানটাই উপযুক্ত জায়গা। যান টা নামার সময় তোমার ডিটেল টেলিপ্যথিটিক্যাল অডিও ভিসুয়াল ইমেজাইজেশন ফুটেজ টা আমাদের সুপার রিয়াক্টিভ বায়ো ইন্টালিজেন্ট কম্পিঊটারে ফুটে উঠতেই তোমার সব কিছু জানা হয়ে গেছে, আমাদের ও দয়া মায়া আছে তাই তোমার জন্য এই ছোট্ট উপকারটা করে দিয়ে গেলাম,আমাদের এই কম্পিউটার সব কিছুর মুহুর্তে বিশ্লেষণ ও হুবহু প্রতিস্থাপন,প্রতিমুর্ত্তি গঠনে সক্ষম।এই যন্ত্রে থট রিডার আছে, তুমি কি ভাবছো বলে দেবে,এছাড়া এই যন্ত্রের ট্রান্সস্লেটর, ইন্টারপ্রেটর এন্ড ইমপ্লিমেন্ট র কমবাইনার ডিভাইস টা খুউব শক্তিশালী ও বহু কর্ম সাধক। এই যন্ত্রে ৩ কোটি ভাষার সংকেতকে আমাদের বোধগম্য ভাষা বা সঙ্কেতে রুপান্তরিত করে দেয়, অনুরুপভাবে আমাদের ভাষা সঙ্কেত কেও ওই ৩ কোটী ভাষা বা স ঙ্কেতে রুপান্তরিত কোরতে পারে। এই সম্পুর্ণ নির্বাচন ও সম্পাদন পদ্ধতি টি স্বয়ংক্রিয়।
অতনু সময় নষ্ট না করে তক্ষুনী ঐ পাঊডার গুলো নিয়ে সঞ্জিতের কাছে গিয়ে আলোচনা করে সঞ্জিতের বাবার রক্ত টা AB+গ্রুপে বদল করে নিয়ে ছিলো কারন ওই রক্তের যোগান ছিলো, সহজেই পাওয়া গেছিলো, নার্সিং হোমে সঞ্জিতের বাবার রক্ত পরীক্ষা করে রক্তেরযোগান দেখেই যথা সময়ে অপারেশন করে সঞ্জিতের বাবাকে সুস্থ করে তুলেছিলো ।ওই রক্ত বদলানোর অষুধের প্যাকেট গুলো ৭২ ঘণ্টা বাদে বাক্স সমেত উবে যায় কোনো চিহ্ন থাকেনা। অতনু সেদিন রাত্রে নার্সিংহোম থেকে ঘণ্টা খানেক পর ফেরার সময় ঐ পুকুরে কোন মহাকাশ যান বা কোনো অস্বাভাবাবিক কিছুই দেখতে পেলোনা।সঞ্জিত আর অতনু জানে অসম্ভব কাণ্ডটা কি ঘটেছিলো ?
অথচ কোনো প্রমান নেই তাই কেঊ বিশ্বাস করেনি বলেছে আজগুবি বানানো তাদের ধারনা আসলে প্রথম রক্তের রিপোর্টটাই ভুল ছিলো, ভাগ্যি রাতে আবার রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিলো এই সিদ্ধান্তটার জন্য অতনু আর সঞ্জিত কে সবাই বাহবা দিয়েছে।


No comments:
Post a Comment