"ডাক্তার
উকিল ও বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য (১)
-----------------------
>>তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
<<
আজ আমি যে কাহিনী টি উল্লেখ করছি এটিও
আমি ডাক্তার উকিল জেঠুর দেওয়া ডায়েরী থেকে পেয়েছি। তার ডায়েরীতে যে ভাবে
লিপিবদ্ধ ছিলো একটু সাজিয়ে যথা সম্ভব অপরিবর্তিত রেখেই পরিবেশন করছি।
আমি আজ বছর খানেকের উপর লিওনার্দো
দ্য ভিঞ্চির ডায়েরীর হারানো পাতার থেকে পাওয়া
নকশা গুলো নিয়ে ওর উপর গবেষণার কাজে ব্যস্ত ছিলাম।গত মাসে ওই নকশার উপর ভিত্তি করে আমার
এই ছোট্ট সর্বত্রগামী যান ' ত্রিলোক বিহারী'
তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, এটাতে আমি জল, স্থল, অন্তরীক্ষ সর্বত্র অনায়াসে বিচরণ করতে পারি।এই যন্ত্র নিঃশব্দে পাড়ি দেয়,
ওঠা নামার জন্য তেমন জায়গা লাগেনা, সোজা যেকোনো
জায়গা থেকে উঠতে বা নামতে পারে। এর
দেহটি আমার আবিস্কৃত বিশেষ ধাতু-অধাতু মিশ্র সংকর পলি লিথিয়াম জারকোনেট দিয়ে তৈরী।এর অনেক বিশেষত্ব আছে। সবচেয়ে
হাল্কা অথচ সব থেকে কঠিন পদার্থ,এমনি তে কাঁচের মতন
স্বচ্ছ। আবার
এর মধ্যে অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটে, তখন এই পদার্থ টি
পরিবেশের সাথে নিজেকে একদম মিশিয়ে ছদ্ম রুপ ধারন করে মিশে যায়। বাইরে থেকে কোন ভাবেই
আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়না। কোন
নির্দেশক তরঙ্গ দ্বারাও সম্ভব নয়।সব
রকম তরঙ্গ শোষন করতে সক্ষম তাই রাডার জাতীয় যন্ত্রে এর অস্তিত্ব ধরা পড়েনা। এই যানটির ভিতরের দেয়ালে
ফস্ফো বোরণ লুসিফেরণ আস্তরণ থাকায় ভিতর টা সর্বদাই আলোকিত থাকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে,
অন্ধকার হয়না কখনো। এটি ৬ফুট উচ্চতার আর ৪ফুট ব্যাসের ক্যাপসুল
আকৃতির যান।এই যান টি বায়ুমণ্ডলের তড়িৎ মোক্ষন পদ্ধতি দ্বারা এবং
পরমানবিক বিশ্লেষন দ্বারা যে শক্তির উদ্ধব হয় তা কল্পনাতীত,
কারণ এতে ম্যাটার-এণ্টিম্যাটারে
রুপান্তরিত হয় তার দ্বারাই চোখের নিমেষে অভাবনীয় গতিতে এই যান ভ্রমন করতে সক্ষম।যেখানে আবহাওয়া মণ্ডলে বায়ু নেই সেখানে
বিকল্প ব্যবহার করা হয়, ।এগুলো রিচার্জেবল অফুরন্ত শক্তির ভাণ্ডার। আমি এই দ্য ভিঞ্চির আবিস্কার
নিয়ে গবেষণার সময় এমন বেশ কিছু রহস্যজনক বিষয় জানতে পারি যার সন্ধান পেতে আমি আকুল
আগ্রহে অপেক্ষা করছি।বিশ্বের
বেশ কিছু অমীমাংসিত রহস্য আমায় ভাবিত করে। এগুলো দীর্ঘকাল ধরে জনশ্রূতি,আলোচিত, রহস্য । বহু দেশে গবেষণা,
পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে অথচ আজ ও সত্য জানা যায়নি
রহস্য অমীমাংসিত রয়েই গেছে। আমি
তাই ঠিক করেছি এইবার এক এক করে এই অমীমাংসিত রহস্যের স্বরুপ খুঁজে বের করবো। আমি জানি এগুলি বহুকাল
ধরে জন-প্রবাদ, নানা গল্প, কল্পকাহিনী
,রোমাঞ্চকর সব বর্ণনা এমনকি, বিশ্ব বরেণ্য
ব্যক্তিরাও এই জনশ্রুতি কে সমর্থন করেন, বহু স্বাক্ষী আছে পৃথিবী
জুড়ে।আমার
আকুল আগ্রহ আমাকে ব্যস্ত করে তুলেছে।প্রথমে
আমি চাই বহুল আলোচিত তুষার মানব বা ইয়েতি র বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে। কি ভাবে কোথা থেকে তদন্ত
শুরু করব ভেবে উঠতে পারছিলাম না এমন সময় ই এসে গেলো একটা সুযোগ। আমার বিশেষ হিতাকাঙ্ক্ষী
সোভিয়েত রাশিয়ার কেমেরোভা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদার্থবিদ আলেকজান্দ্রা লিওনভ
আজ ই আমাকে একটি জরুরী চিঠি দিয়ে জানিয়েছে অতি সম্প্রতি রাশিয়ার কেমেরোভা অঞ্চলের দক্ষিনে
পাহাড়ী শোর এলাকায় বরফের মধ্যে ইয়েতির পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে,
আবহাওয়া খারাপ থাকায় ইয়েতির স্পষ্ট ছবি তোলা জায়নি কিন্তু আবছা ছবিতেও
পরিস্কার দুপেয়ে বিশালাকায় জন্তু একটা দূরে পাহাড়ের ঢাল দিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। এই ছবি টি পদার্থবিদ য়ুরী
আর্বাচাকোভ আর তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানী আন্দ্রেরী ইভেঙ্কো তুলেছেন,
আমাকে অবিলম্বে লিওনভ তাঁর ওখানে যাবার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। হিমালয়ের তুষার মানব-ইয়েতি,তিব্বতি ভাষায় ইয়েতি (Yeti) র অর্থ-'পাথুরে ভাল্লুক' ,স্থানীয় জনপ্রবাদ ইয়েতিরা সারাক্ষণ
হাতে একটা পাথরের খণ্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আত্মরক্ষা, বা শিকার করার
জন্য। এরা
মুখে শিস দেওয়ার মত আওয়াজ করে। ইয়েতিকে
স্থানীয় নিন্ম বর্গের মানুষে রা শিকারের দেবতা হিসাবে বহুকাল ধরে পূজা করে আসছে। প্রচলিত বিশ্বাস যাদুবিদ্যায়
ইয়েতির রক্ত খুউব ফলপ্রসূ।এই
বিশ্বাস হিমালয়ের আশেপাশে নেপাল, ভুটান,ভারতে আর তিব্বতে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে । ১৮৩২ সালে হিমালয়ের পর্যটক
হজসনেনর মুখে প্রথম সারা বিশ্ববাসী জানতে পারে , নেপালে গাইডগন এই পর্যটককে ইয়েতি দেখিয়েছেন। ১৮৯৯ সালে লরেন্স ওয়াডেন ইয়েতির পায়ের ছাপ হিসাবে যেটা বলেছিলেন
অনেকের মতে আসলে ওটা কেঊ বলেন ভল্লুক,কেউ বলেন
ওরাং ওটাং। হিমালয়ের
অভিযাত্রীরা প্রায় ই এই রকম পায়ের ছাপ দেখেন যা মানুষের পায়ের তিনগুন। ১৯৫৩ সালে এডমণ্ড হিলারি
আর শেরপা তেনজিং নোরগে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে জানান পথে তাঁরাও পথে তুষারের মাঝে অনেক
গুলো এই রকম বড় বড় পায়ের ছাপ দেখেছেন,যা নিয়ে
বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা ও হয়েছে জানা গেছে এগুলো কোনো জানা প্রাণীর পায়ের ছাপ নয়,
ওরাং ওটাং দুপায়ে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু দু পায়ে
তারা চলতে পারেনা ।কিন্তু
পায়ের ছাপ যে প্রাণীর তারা চলে দু পায়ে ভর দিয়ে । ১৯৫৪ সালে যে লোম ইয়েতির
বলে সংগৃহীত হয়েছিলো তাও ভাল্লুকের বা অন্য কোনো জানা প্রাণীর লোম নয়। পায়ের ছাপের মাপ লম্বায়
৩৩ সেঃমি,
চওড়ায় ২৫ সেঃমি। অনেকের
ধারনা এগুলো বিরল প্রজাতির পাহাড়ি ভল্লুক। বিতর্ক চলছেই। বিজ্ঞানীরা বলেন
" অ্যানোসেলাস প্রাইমেট"স্তন্য পায়ী জীবের সর্বোচ্চ শ্রেণীর ব্যাতিক্রমী
একটি সদস্য, হিমালয়ে ইয়েতি,উত্তর আমেরিকায় বিগফুট,মধ্য এশিয়ার অলীক মানব আলমস্তি,কিম্বা সুমাত্রা দ্বীপের পাহাড়ে জঙ্গলে দুপেয়ে হোমিনিড ওরাং পেণ্ডেক সব ই এই
রকম মানব জাতির ক্রম বিবর্তনের পথে নেয়ান্ডারটাল থেকেশুরু করে অনেক শাখা প্রশাখা প্রাগইতিহাসিক
যুগেই বিলুপ্ত হয়েছে যেমন ছিলো গিগাণ্টো পিথেকাস নামের অতিকায় বানর। ক্রিপ্টো জুলজি বা গুপ্ত
প্রানিবিদ্যার লোকেরা এই বিষয় টিকে আরো ধোঁয়াশা করে দিয়েছেন। আমি আজকে দক্ষিণ সাইবেরিয়ার
কেমেরোভা তে আলেকজান্দ্রা লিওনভ এর বাংলোতে এসেছি। এখন ফেব্রুয়ারী মাসএর
১৪ তারিখ ,খুউব ঠাণ্ডা এখানে ক দিন আগে -২০'
তাপমাত্রা ছিলো এখন -১৪' দক্ষিণ সাইবেরিয়ার কেমেরোভা
প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে আজাস্কারা গুহার দিকে যেখানে সাইবেরিয়ার পশ্চিমাংশের সমতল
ভূমি দক্ষিন সাইবেরিয়ার পাহাড়ের সাথে মিশেছে সেখানে যেতে হবে। বিশ্বের বৃহত্তম কয়লার
ভাণ্ডার,
খনি অঞ্চলের জন্য প্রসিদ্ধ এই কেমেরোভা এখন ইয়েতির জন্য বিশ্বে প্রসিদ্ধি
লাভ করেছে।আমি
আমার 'ত্রিলোক-বিহারী'
করেই এখানে এসেছি আর এই যান লিওনভের বাংলোর অদুরেই ফাঁকা বরফাবৃত পাহাড়ী
পথের ঢালে লুকিয়ে রেখে এসেছি এটা কারোর নজরেই আসবেনা বরফের সাথে মিশে এক হয়ে আছে।লিওনভ কে এই যানের কথা গোপন করেছি
কারন এটার কথা এখন ও কেঊ জানেনা
আমার পরণে যে পোষাক সেটিকে দেখলে মনে হবে মহাকাশে যাবার জন্য তৈরী স্পেসস্যুট পরিহিত একজন মহাকাশচারী,আসলে এই পোষাকটা ও বিশেষ ভাবে আমার উদ্ভাবিত পলি মিশ্রণে প্রস্তুত ফাইবারে প্রস্তুত,এর অনেক বিশেষত্ব আছে এটি বাইরের আবহাওয়া, পরিবেশ অনুযায়ী তাপমাত্রা রং নিয়ন্ত্রন করতে পারে পালকের থেকে হাল্কা অথচ আজ অবধি আবিস্কৃত যেকোন ধাতু, ধাতুসংকরের থেকে কঠিন দুর্ভেদ্য আস্তরণ সৃস্টি করে।সব রকম বাহ্যিক শক্তি তরঙ্গ প্রতিরোধ শোষন কোরতে সক্ষম।এই পোষাকটিতে কিছু বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা আছে যাতে এই পোষাকের গায়ে আলোক পরলেও এটি অদৃশ্য থাকে এমন ব্যবস্থাও করা যায় , বাইরের কোন প্রতিবন্ধকতা একে বাধা দিতে পারেনা যেকোনো আবহাওয়া প্রতিকূল পরিবেশে এটা সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে কাজ করতে পারে।মুখ ঢাকা শিরস্ত্রান দিনে রাতে সর্বত্র সব কিছু পরিস্কার দেখার উপযোগী।পোষাকটির দুটি স্তর। মাঝে বিশেষ এক পাঊডার দেওয়া আছে এর মধ্যে উচ্চ কম্পাঙ্কের তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি প্রবাহিত করলে মুহুর্তে বিশেষ গ্যাসের সৃষ্টি হয় যা বায়ুর চেয়ে অনেক হাল্কা ফলে পোষাকটি ফুলেওঠে বেলুনের মতন ভেসে যাওয়া যায় আর শিরস্ত্রানে লাগানো বিশেষ প্রপেলারের সাহার্য্যে যেকোন দিকে নিয়ন্ত্রিত গতিতে যাতায়াত করা সম্ভব হয়।শিরস্ত্রান সহ পোশাকের কোন বাহ্যিক যন্ত্রপাতি এমনি তে দৃষ্টিগোচরে আসেনা সে ব্যবস্থা করা আছে।এই পোশাক পরা অবস্থায় আমাকে দেখে যাতে লিওনভের কোনো সন্দেহ না জাগে তাই আমি ই বললাম "এখানের যা প্রাকৃতিক পরিবেশ এই তুষারাবৃত দেশে পোশাক বদলানো আমার পক্ষে অসম্ভব কষ্টকর ব্যাপার তাই দু একদিন যাতে এক পোশাকেই কাটিয়ে দিতে পারি এমন পোশাক পরেই বাড়ি থেকে এখানে সোজা এলাম, এটা গায়ে দিয়ে বরফের মধ্যে থাকা যায় ভিতরে ঠাণ্ডা ঢোকে না। আমি বরফ খুঁড়ে তার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারবো। আমি জানতাম লিওনভ ওই তুষারাবৃত পাহাড়ী এলাকায় যেতে পারবেনা বিশেষ করে যেখানে ভয়ঙ্কর ইয়েতি আতঙ্ক রয়েছে,তাই আমি বললাম লিওনভ তুমি ইয়েতি অভিযানে যেতে প্রস্তুত? আত্মরক্ষার সব ব্যবস্থা রেডি? আমার কিছু লাগবেনা কারন আমি লুকোতে পারবো বফের নীচে এই পোশাকে ,আমি কোনো কিছু সাথে নেবনা এবার শুধু ছোট ক্যামেরা আর আমার লুকিং টেলিস্কোপিক চশমাটা সাথেই আছে এ দুটি ছাড়া।এবার শুধু সত্য মিথ্যা যাচাই করে যাবো , ইয়েতির খোঁজ পেলে পরে তৈরী হয়ে আসবো।লিওনভ ও স্বস্তি পেলো বলল ডাক্তার উকিল এবার তুমি তাহলে নিজে গিয়েই তাড়াতাড়ি দেখে এসো, তুমি জানালে পরের বার তোমার সাথে যাওয়া যাবে। আমিও এটাই চেয়েছিলাম তাই বললাম সেটাই ভালো, কোনো ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয় যেখানে কিছুই জানা নেই এখন।আমি লিওনভ কে বললাম আমি এখান থেকে একা গোপনে হেঁটে রাতের দিকে ওই পাহাড়ের দিকে যেতে চাই যাতে কেঊ দেখতে না পায়, জানতে না পারে আমি ইয়েতির খোঁজে এখানে এসেছি, আমি পরশু দিনের মধ্যে কাজ মিটিয়ে রাতেই গোপনে এখান থেকে চলে যাবো। লিওনভ কে আমার পরিকল্পনা বা অবস্থান কিছুই জানালাম না, কারন আমি আগে সব জানিয়ে বড় বিপদে পড়েছিলাম, এদের মধ্যে খ্যাতির লোভ থাকে মারাত্মক, প্রয়োজনে আমার সাথে থেকে সব হাতিয়ে আমায় গুম করে দিতেও পারে।এদের উদ্দেশ্য আমার কাছ থেকে আসল সত্য টা জেনে পরে এই জাহির করবে ওটা এর নিজের কৃতিত্ব, ওই সব করেছে। আমি খ্যাতি নাম জাহিরের জন্য নয় আমি সব যাচাই করে প্রকৃত সত্যটা প্রকাশ্যে আনবো। কোনো অসত্য সাজানো বা গুজব ছড়াতে দেবোনা। আমি সন্ধ্যা নামতেই লিওনভের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার পাহাড়ের ঢালে লুকানো “ত্রিলোক বিহারী” র উদ্দেশে রওনা হলাম, ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম আমার যানে সেখান থেকে আমার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস যেমন ইন্সটাফুড পিল,এর একটা বটিকা যা সম্পুর্ণ ভেষজ উপাদানে প্রস্তুত ২৪ ঘণ্টা শরীরকে পুর্ণ কর্মক্ষম রাখার জন্য যে শক্তি ও পুষ্টি জোগানো দরকার তা জোগান দেয়,এর সব থেকে বড় সুবিধা এটি খেতে সময় লাগে বড়জোর ১থেকে ৩ মিনিট,যেকোন রোগের থেকে রক্ষা করার জন্য আমার আয়ুর্বেদীয় ঔষধ সঞ্জীবন ট্যাবলেট ও সাথে নিয়ে নিলাম।আমার আত্মরক্ষার্থে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র দরকার হয়না, আমার আবিস্কৃত প্রবল টেলী ইলেকট্রো ম্যাগ্নেটিক ওয়েভ জেনারেটর উইথ ইন্টেন্সিভ লেসার গান 'দুর্বাশা' যেটা হাতের রিস্ট ব্যাণ্ডে লাগালে ছোটো হাত ঘড়ি বলেই মনে হয়, সেটা আমার সাথেই থাকে,এটার কাজ ৫কিমি দুরত্বের মধ্যে যেকোনো বস্তুকে স্বয়ং ক্রিয় ভাবে চিহ্নিত করতে পারে তারপর বোতাম টিপে নির্দেশ দিলে নিখুঁত ভাবে ঐ লক্ষ্য বস্তুর উপর প্রথমে প্রবল তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সৃষ্টিকরে তাতে ওই বস্তুটি নড়াচড়ার শক্তি হারায়, এরপর প্রয়োজন হলে বস্তুটিকে লে্জার বা পরমাণবিক বিকিরণ দ্বারা সম্পুর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াও যেতে পারে।নিয়ন্ত্রিত বিকিরণ দ্বারা বস্তুটিকে কাহিল করে ধরাও যেতে পারে।একান্ত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেই নিশ্চিহ্ন করা হয়।জীবজন্তু থেকে যন্ত্রপাতি, প্রাকৃতিক বা মহাকাশের কোনো বস্তুকেও চিহ্নিত ও আঘাত হানতে সক্ষম। আমার চশ্মার ডাঁটিতে টেলিপ্যাথো ডিকোডার ছাড়াও টেলী অব্জেক্ট ডিটেক্টার ও রেঞ্জ ফাইণ্ডার থাকায় এটার সাহার্য্যে আমি ৩/৪ কিমি দুরের বস্তু দেখতে শব্দ শুনতে পাই,কোনো অস্বাভাবিক কিছুর উপস্থিতি সে কোনো তরঙ্গ ,শক্তি হলেও সংকেত দেয়। আমার শিরস্ত্রানেই লাগানো উচ্চ ক্ষমতা্র টেলী বাবল লেন্স যুক্ত ইমেজ &সাউণ্ড রেকর্ডার।এর মাধ্যমে যেকোনো আবহাওয়া, পরিবেশে, দিনে রাতে ৪/৫ কি মি দুরের বস্তুর ছবি আর শব্দ ধারন করা যায়।এবার আমি তৈরি হয়ে চললাম আজাস্কারা গুহার দিকে
কতক্ষণ হেঁটেছি, কত দূর এসেছি বুঝতে পারছি না, তবে চার দিকে সাদা পুরু বরফের আস্তরণ , পাহাড়ী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বেশ অনেক টা পথই চলেছি। হঠাৎ দেখি সামনে বিস্তৃর্ণ সাদা বরফাবৃত ফাঁকা ঢালু প্রান্তর দুরে একটা কালো গহ্বরের দিকে নেমে গেছে আর ঐখানে দুটো বড় বনমানুষাকৃতির প্রানী দাঁড়িয়ে, আমি ভালো ভাবে পর্য্যবেক্ষণের জন্য আমার শিরস্ত্রানেই লাগানো যন্ত্র চালু কোরলাম । আমি বিস্মিত হয়ে দেখলাম ঐ প্রাণী দুটি সামান্য ঝুঁকে দুপায়ে দাঁড়িয়ে উচ্চতা প্রায় আট ফুট ,সারা দেহ বড়বড় লোমে ঢাকা, মুখটা আদিম বন মানুষের মতন, প্রাণী দুটি যেখানে দাঁড়িয়ে তার চার পাশের বরফে বড় বড় পায়ের ছাপ এক হাতের চেয়ে লম্বা তেমন ই চওড়া ।এমন প্রাণীর অস্তিত্ব এখন কোথাও আছে বলে জানা নেই। একটা প্রাণীর হাতে মস্ত বড় পাথরের টুকরো। অন্য প্রাণীটার হাতে মোটা একটা গাছের ডালের মত কি যেটা আখের মতন দাঁত দিয়ে ছাড়িয়ে খাচ্ছে, মানুষের মত ই বড়বড় সাদা দু পাটি দাঁত আছে।হাতে লোমে ঢাকা বড় বড় সামান্য বাঁকা নখ। বরফে পায়ের ছাপ গুলো স্পষ্ট পাহারের নীচে কোনো গহ্বর থেকে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠে এসেছে, অর্থাৎ নীচের কোনো গুহা আছে যেটা কালো অন্ধকার লাগছে। হঠাৎ একটা তীক্ষ্ণ শিষ দেওয়ার মত আওয়াজ পেলাম,দেখি ওই দুটো প্রাণী কেমন জানি ভয়পেয়ে দ্রুত ওই ঢালু গহ্বরের দিকে নেমে যাচ্ছে মনে হয় আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে গেছে, আমিও ওদের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য আমার জ্যাকেটে গ্যাস ভরে হাল্কা করে নিয়ে মাথার প্রপেলার চালু করে উড়ে ধাওয়া করলাম, কিছু দূর গিয়ে সামনে কিছুই আর দেখতে পেলাম না ঢালু পথ নেমে গেছে এমন সময় বিনা মেঘে ব্জ্রপাতের মত প্রবল তূষার ঝড়, তার ই মাঝে একটা বড় পাথরের চাঁই জোরে এসে লাগলো আমার শিরস্ত্রানে মুহুর্তে দিক বদল হয়ে আমি গিয়ে ধাক্কা খেলাম একটা বড় গাছে ছিটকে পড়লাম পাহাড়ের ঢালে গড়াতে গড়াতে কত নীচে চলেছি জানিনা আমি জ্ঞান হারালাম সব অন্ধকার । আমার জ্ঞান যখন ফিরলো তখন দেখি চড়া রৌদ্দুর আমি একটা খাদের পাশে পাহাড়ের ঢালে পাহাড়ী গাছে আটকে ঝুলছি, আমার জ্যাকেটের উর্ধাংশ কেমন আশ্চর্যভাবে উধাও হয়ে গেছে, গলার কাছ থেকে শিরস্ত্রান,চশমা সব সমেত। আমার হাতের রীস্ট ওয়াচ কাম ক্রনোমিটার থেকে বুঝলাম আমি লিওনভের বাড়ির কাছাকাছি পাহাড়ের ঢালে তবে এটা আমার 'ত্রিলোক বিহারী' যেখানে আছে বা আমি রাতে যেদিকে গেছিলাম সম্পুর্ণ তার বিপরীতে।আমার সাথে পাহাড়ে ওঠা নামার জন্য দড়ি,আমার তৈরী পাহাড়ে ক্লাম্বিং হুক থাকে।এই হুক গুলোর বৈশিষ্ট হোলো এগুলো ছোট্ট ৯ ইঞ্চি আমার আবিস্কৃত বিশেষ ধাতু শঙ্কর দ্বারা নির্মিত,আমার ই হাই গ্রাভিটি ইজেক্টার যন্ত্রদ্বারা পাহাড়ে গায়ে যেকোনো স্থানে বহু দুরত্বে আটকানো যায়।ওই হুকে দড়ি লাগানো থাকে যা বেয়ে ওঠা নামা করা যায়।ওই হুক এমন ভাবে পাহড়ে, বরফে গেঁথে যায় ২০০কেজি ওজন ঝুললেও হাজার টানা হ্যাঁচড়ানিতেও খোলে না।আমার সাথে ১০টা হুক থাকে যার সাহার্য্যে, ১০হাজার ফুট অনায়াসে ওঠানামা করা যায়।এযাত্রা আমি এই হুক আর দড়ি জন্য বেঁচে গেলাম। পাহাড় ঢাল থেকে উঠে এলাম। লিওনভ কে জানিয়ে এলাম আমি ইয়েতির কোনো দেখা এবার পেলাম না ক দিন বাদে আবার আসবো। সন্ধ্যা বেলা লিওনভের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার ত্রিলোক বিহারী তে ফিরে এলাম। আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারী আমার ঝাড়্গ্রামের বাড়ি উন্মেষ এ বসে এই ডায়েরী লিখছি,গত কাল রাত্রেই এখানে ফিরেছি। আমার এই বারের অভিযানের অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সাক্ষ্য প্রমান আমার কাছে নেই কারণ সমস্ত রেকর্ড আমার জ্যাকেটের শিরস্ত্রাণ আর চশ্মার রেকোর্ডারে ছিলো সব নিশ্চিহ্ন হয়ে উধাও হয়ে গেছে আর সব থেকে আশ্চর্য্য আমি ত্রিলোক বিহারী নিয়ে ঐ অঞ্চল্টা তন্ন ত্নন করে খুঁজে ওই গহ্বর যেখানে ইয়েতি দেখেছিলাম,ঐ পাহাড়ের ঢাল, এলাকা টা খুঁজেই পেলাম না এমন কি জায়গাটা চিহ্নিত আর করতেই পারিনি।আমার কাছেও রহস্য হয়ে থেকে গেলো প্রকৃত কি দেখেছিলাম, ইয়েতি আসলে কি ধরনের প্রাণী?ইচ্ছে আছে পরে আবার যাবো আরো তৈরী হয়ে যাতে আফশোষ না করতে হয় এবারের মত।
আমার পরণে যে পোষাক সেটিকে দেখলে মনে হবে মহাকাশে যাবার জন্য তৈরী স্পেসস্যুট পরিহিত একজন মহাকাশচারী,আসলে এই পোষাকটা ও বিশেষ ভাবে আমার উদ্ভাবিত পলি মিশ্রণে প্রস্তুত ফাইবারে প্রস্তুত,এর অনেক বিশেষত্ব আছে এটি বাইরের আবহাওয়া, পরিবেশ অনুযায়ী তাপমাত্রা রং নিয়ন্ত্রন করতে পারে পালকের থেকে হাল্কা অথচ আজ অবধি আবিস্কৃত যেকোন ধাতু, ধাতুসংকরের থেকে কঠিন দুর্ভেদ্য আস্তরণ সৃস্টি করে।সব রকম বাহ্যিক শক্তি তরঙ্গ প্রতিরোধ শোষন কোরতে সক্ষম।এই পোষাকটিতে কিছু বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা আছে যাতে এই পোষাকের গায়ে আলোক পরলেও এটি অদৃশ্য থাকে এমন ব্যবস্থাও করা যায় , বাইরের কোন প্রতিবন্ধকতা একে বাধা দিতে পারেনা যেকোনো আবহাওয়া প্রতিকূল পরিবেশে এটা সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে কাজ করতে পারে।মুখ ঢাকা শিরস্ত্রান দিনে রাতে সর্বত্র সব কিছু পরিস্কার দেখার উপযোগী।পোষাকটির দুটি স্তর। মাঝে বিশেষ এক পাঊডার দেওয়া আছে এর মধ্যে উচ্চ কম্পাঙ্কের তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি প্রবাহিত করলে মুহুর্তে বিশেষ গ্যাসের সৃষ্টি হয় যা বায়ুর চেয়ে অনেক হাল্কা ফলে পোষাকটি ফুলেওঠে বেলুনের মতন ভেসে যাওয়া যায় আর শিরস্ত্রানে লাগানো বিশেষ প্রপেলারের সাহার্য্যে যেকোন দিকে নিয়ন্ত্রিত গতিতে যাতায়াত করা সম্ভব হয়।শিরস্ত্রান সহ পোশাকের কোন বাহ্যিক যন্ত্রপাতি এমনি তে দৃষ্টিগোচরে আসেনা সে ব্যবস্থা করা আছে।এই পোশাক পরা অবস্থায় আমাকে দেখে যাতে লিওনভের কোনো সন্দেহ না জাগে তাই আমি ই বললাম "এখানের যা প্রাকৃতিক পরিবেশ এই তুষারাবৃত দেশে পোশাক বদলানো আমার পক্ষে অসম্ভব কষ্টকর ব্যাপার তাই দু একদিন যাতে এক পোশাকেই কাটিয়ে দিতে পারি এমন পোশাক পরেই বাড়ি থেকে এখানে সোজা এলাম, এটা গায়ে দিয়ে বরফের মধ্যে থাকা যায় ভিতরে ঠাণ্ডা ঢোকে না। আমি বরফ খুঁড়ে তার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারবো। আমি জানতাম লিওনভ ওই তুষারাবৃত পাহাড়ী এলাকায় যেতে পারবেনা বিশেষ করে যেখানে ভয়ঙ্কর ইয়েতি আতঙ্ক রয়েছে,তাই আমি বললাম লিওনভ তুমি ইয়েতি অভিযানে যেতে প্রস্তুত? আত্মরক্ষার সব ব্যবস্থা রেডি? আমার কিছু লাগবেনা কারন আমি লুকোতে পারবো বফের নীচে এই পোশাকে ,আমি কোনো কিছু সাথে নেবনা এবার শুধু ছোট ক্যামেরা আর আমার লুকিং টেলিস্কোপিক চশমাটা সাথেই আছে এ দুটি ছাড়া।এবার শুধু সত্য মিথ্যা যাচাই করে যাবো , ইয়েতির খোঁজ পেলে পরে তৈরী হয়ে আসবো।লিওনভ ও স্বস্তি পেলো বলল ডাক্তার উকিল এবার তুমি তাহলে নিজে গিয়েই তাড়াতাড়ি দেখে এসো, তুমি জানালে পরের বার তোমার সাথে যাওয়া যাবে। আমিও এটাই চেয়েছিলাম তাই বললাম সেটাই ভালো, কোনো ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয় যেখানে কিছুই জানা নেই এখন।আমি লিওনভ কে বললাম আমি এখান থেকে একা গোপনে হেঁটে রাতের দিকে ওই পাহাড়ের দিকে যেতে চাই যাতে কেঊ দেখতে না পায়, জানতে না পারে আমি ইয়েতির খোঁজে এখানে এসেছি, আমি পরশু দিনের মধ্যে কাজ মিটিয়ে রাতেই গোপনে এখান থেকে চলে যাবো। লিওনভ কে আমার পরিকল্পনা বা অবস্থান কিছুই জানালাম না, কারন আমি আগে সব জানিয়ে বড় বিপদে পড়েছিলাম, এদের মধ্যে খ্যাতির লোভ থাকে মারাত্মক, প্রয়োজনে আমার সাথে থেকে সব হাতিয়ে আমায় গুম করে দিতেও পারে।এদের উদ্দেশ্য আমার কাছ থেকে আসল সত্য টা জেনে পরে এই জাহির করবে ওটা এর নিজের কৃতিত্ব, ওই সব করেছে। আমি খ্যাতি নাম জাহিরের জন্য নয় আমি সব যাচাই করে প্রকৃত সত্যটা প্রকাশ্যে আনবো। কোনো অসত্য সাজানো বা গুজব ছড়াতে দেবোনা। আমি সন্ধ্যা নামতেই লিওনভের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার পাহাড়ের ঢালে লুকানো “ত্রিলোক বিহারী” র উদ্দেশে রওনা হলাম, ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম আমার যানে সেখান থেকে আমার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস যেমন ইন্সটাফুড পিল,এর একটা বটিকা যা সম্পুর্ণ ভেষজ উপাদানে প্রস্তুত ২৪ ঘণ্টা শরীরকে পুর্ণ কর্মক্ষম রাখার জন্য যে শক্তি ও পুষ্টি জোগানো দরকার তা জোগান দেয়,এর সব থেকে বড় সুবিধা এটি খেতে সময় লাগে বড়জোর ১থেকে ৩ মিনিট,যেকোন রোগের থেকে রক্ষা করার জন্য আমার আয়ুর্বেদীয় ঔষধ সঞ্জীবন ট্যাবলেট ও সাথে নিয়ে নিলাম।আমার আত্মরক্ষার্থে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র দরকার হয়না, আমার আবিস্কৃত প্রবল টেলী ইলেকট্রো ম্যাগ্নেটিক ওয়েভ জেনারেটর উইথ ইন্টেন্সিভ লেসার গান 'দুর্বাশা' যেটা হাতের রিস্ট ব্যাণ্ডে লাগালে ছোটো হাত ঘড়ি বলেই মনে হয়, সেটা আমার সাথেই থাকে,এটার কাজ ৫কিমি দুরত্বের মধ্যে যেকোনো বস্তুকে স্বয়ং ক্রিয় ভাবে চিহ্নিত করতে পারে তারপর বোতাম টিপে নির্দেশ দিলে নিখুঁত ভাবে ঐ লক্ষ্য বস্তুর উপর প্রথমে প্রবল তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সৃষ্টিকরে তাতে ওই বস্তুটি নড়াচড়ার শক্তি হারায়, এরপর প্রয়োজন হলে বস্তুটিকে লে্জার বা পরমাণবিক বিকিরণ দ্বারা সম্পুর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াও যেতে পারে।নিয়ন্ত্রিত বিকিরণ দ্বারা বস্তুটিকে কাহিল করে ধরাও যেতে পারে।একান্ত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেই নিশ্চিহ্ন করা হয়।জীবজন্তু থেকে যন্ত্রপাতি, প্রাকৃতিক বা মহাকাশের কোনো বস্তুকেও চিহ্নিত ও আঘাত হানতে সক্ষম। আমার চশ্মার ডাঁটিতে টেলিপ্যাথো ডিকোডার ছাড়াও টেলী অব্জেক্ট ডিটেক্টার ও রেঞ্জ ফাইণ্ডার থাকায় এটার সাহার্য্যে আমি ৩/৪ কিমি দুরের বস্তু দেখতে শব্দ শুনতে পাই,কোনো অস্বাভাবিক কিছুর উপস্থিতি সে কোনো তরঙ্গ ,শক্তি হলেও সংকেত দেয়। আমার শিরস্ত্রানেই লাগানো উচ্চ ক্ষমতা্র টেলী বাবল লেন্স যুক্ত ইমেজ &সাউণ্ড রেকর্ডার।এর মাধ্যমে যেকোনো আবহাওয়া, পরিবেশে, দিনে রাতে ৪/৫ কি মি দুরের বস্তুর ছবি আর শব্দ ধারন করা যায়।এবার আমি তৈরি হয়ে চললাম আজাস্কারা গুহার দিকে
কতক্ষণ হেঁটেছি, কত দূর এসেছি বুঝতে পারছি না, তবে চার দিকে সাদা পুরু বরফের আস্তরণ , পাহাড়ী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বেশ অনেক টা পথই চলেছি। হঠাৎ দেখি সামনে বিস্তৃর্ণ সাদা বরফাবৃত ফাঁকা ঢালু প্রান্তর দুরে একটা কালো গহ্বরের দিকে নেমে গেছে আর ঐখানে দুটো বড় বনমানুষাকৃতির প্রানী দাঁড়িয়ে, আমি ভালো ভাবে পর্য্যবেক্ষণের জন্য আমার শিরস্ত্রানেই লাগানো যন্ত্র চালু কোরলাম । আমি বিস্মিত হয়ে দেখলাম ঐ প্রাণী দুটি সামান্য ঝুঁকে দুপায়ে দাঁড়িয়ে উচ্চতা প্রায় আট ফুট ,সারা দেহ বড়বড় লোমে ঢাকা, মুখটা আদিম বন মানুষের মতন, প্রাণী দুটি যেখানে দাঁড়িয়ে তার চার পাশের বরফে বড় বড় পায়ের ছাপ এক হাতের চেয়ে লম্বা তেমন ই চওড়া ।এমন প্রাণীর অস্তিত্ব এখন কোথাও আছে বলে জানা নেই। একটা প্রাণীর হাতে মস্ত বড় পাথরের টুকরো। অন্য প্রাণীটার হাতে মোটা একটা গাছের ডালের মত কি যেটা আখের মতন দাঁত দিয়ে ছাড়িয়ে খাচ্ছে, মানুষের মত ই বড়বড় সাদা দু পাটি দাঁত আছে।হাতে লোমে ঢাকা বড় বড় সামান্য বাঁকা নখ। বরফে পায়ের ছাপ গুলো স্পষ্ট পাহারের নীচে কোনো গহ্বর থেকে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠে এসেছে, অর্থাৎ নীচের কোনো গুহা আছে যেটা কালো অন্ধকার লাগছে। হঠাৎ একটা তীক্ষ্ণ শিষ দেওয়ার মত আওয়াজ পেলাম,দেখি ওই দুটো প্রাণী কেমন জানি ভয়পেয়ে দ্রুত ওই ঢালু গহ্বরের দিকে নেমে যাচ্ছে মনে হয় আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে গেছে, আমিও ওদের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য আমার জ্যাকেটে গ্যাস ভরে হাল্কা করে নিয়ে মাথার প্রপেলার চালু করে উড়ে ধাওয়া করলাম, কিছু দূর গিয়ে সামনে কিছুই আর দেখতে পেলাম না ঢালু পথ নেমে গেছে এমন সময় বিনা মেঘে ব্জ্রপাতের মত প্রবল তূষার ঝড়, তার ই মাঝে একটা বড় পাথরের চাঁই জোরে এসে লাগলো আমার শিরস্ত্রানে মুহুর্তে দিক বদল হয়ে আমি গিয়ে ধাক্কা খেলাম একটা বড় গাছে ছিটকে পড়লাম পাহাড়ের ঢালে গড়াতে গড়াতে কত নীচে চলেছি জানিনা আমি জ্ঞান হারালাম সব অন্ধকার । আমার জ্ঞান যখন ফিরলো তখন দেখি চড়া রৌদ্দুর আমি একটা খাদের পাশে পাহাড়ের ঢালে পাহাড়ী গাছে আটকে ঝুলছি, আমার জ্যাকেটের উর্ধাংশ কেমন আশ্চর্যভাবে উধাও হয়ে গেছে, গলার কাছ থেকে শিরস্ত্রান,চশমা সব সমেত। আমার হাতের রীস্ট ওয়াচ কাম ক্রনোমিটার থেকে বুঝলাম আমি লিওনভের বাড়ির কাছাকাছি পাহাড়ের ঢালে তবে এটা আমার 'ত্রিলোক বিহারী' যেখানে আছে বা আমি রাতে যেদিকে গেছিলাম সম্পুর্ণ তার বিপরীতে।আমার সাথে পাহাড়ে ওঠা নামার জন্য দড়ি,আমার তৈরী পাহাড়ে ক্লাম্বিং হুক থাকে।এই হুক গুলোর বৈশিষ্ট হোলো এগুলো ছোট্ট ৯ ইঞ্চি আমার আবিস্কৃত বিশেষ ধাতু শঙ্কর দ্বারা নির্মিত,আমার ই হাই গ্রাভিটি ইজেক্টার যন্ত্রদ্বারা পাহাড়ে গায়ে যেকোনো স্থানে বহু দুরত্বে আটকানো যায়।ওই হুকে দড়ি লাগানো থাকে যা বেয়ে ওঠা নামা করা যায়।ওই হুক এমন ভাবে পাহড়ে, বরফে গেঁথে যায় ২০০কেজি ওজন ঝুললেও হাজার টানা হ্যাঁচড়ানিতেও খোলে না।আমার সাথে ১০টা হুক থাকে যার সাহার্য্যে, ১০হাজার ফুট অনায়াসে ওঠানামা করা যায়।এযাত্রা আমি এই হুক আর দড়ি জন্য বেঁচে গেলাম। পাহাড় ঢাল থেকে উঠে এলাম। লিওনভ কে জানিয়ে এলাম আমি ইয়েতির কোনো দেখা এবার পেলাম না ক দিন বাদে আবার আসবো। সন্ধ্যা বেলা লিওনভের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার ত্রিলোক বিহারী তে ফিরে এলাম। আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারী আমার ঝাড়্গ্রামের বাড়ি উন্মেষ এ বসে এই ডায়েরী লিখছি,গত কাল রাত্রেই এখানে ফিরেছি। আমার এই বারের অভিযানের অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সাক্ষ্য প্রমান আমার কাছে নেই কারণ সমস্ত রেকর্ড আমার জ্যাকেটের শিরস্ত্রাণ আর চশ্মার রেকোর্ডারে ছিলো সব নিশ্চিহ্ন হয়ে উধাও হয়ে গেছে আর সব থেকে আশ্চর্য্য আমি ত্রিলোক বিহারী নিয়ে ঐ অঞ্চল্টা তন্ন ত্নন করে খুঁজে ওই গহ্বর যেখানে ইয়েতি দেখেছিলাম,ঐ পাহাড়ের ঢাল, এলাকা টা খুঁজেই পেলাম না এমন কি জায়গাটা চিহ্নিত আর করতেই পারিনি।আমার কাছেও রহস্য হয়ে থেকে গেলো প্রকৃত কি দেখেছিলাম, ইয়েতি আসলে কি ধরনের প্রাণী?ইচ্ছে আছে পরে আবার যাবো আরো তৈরী হয়ে যাতে আফশোষ না করতে হয় এবারের মত।
(নাইট্রোজেন,
অক্সিজেন, কার্বন-ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন কে --- হিসাবে সক্রিয় কার্বন, সক্রিয় নাইট্রো হ্যালোজিনো হাইড্রাইড আর ডয়ট্রিয়াম ব্যবস্থাটেট্রা অক্সাইড
এগুলো মাইক্রো কম্প্যাক্ট
চিপ হিসাবে সঞ্চিত থাকে।সোলার
সেল আর কসমিক রে কনভার্টার এর সাহায্যে যন্ত্রের সব কিছু চালিত নিয়ন্ত্রিত হয়।সেলিনিয়াম লিথো নিকেল মারকিঊরেট সেলে
তড়িৎ উৎপন্ন হয় -হ্যালোজিনো গ্যালিয়াম টেট্রা গ্লুকোনেট ডোপিং করলে -----প্রোপিওনিল টেলুরাইড
আর হেক্সা কার্বোনিল মেটা ফস্ফার ব্রোমাইড -----হাইড্রো লিথিয়াম ট্রাই গ্লুকোনেট
---তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সৃষ্টিকারী --উচ্চ ক্ষমতা্র টেলী বাবল লেন্স যুক্ত ইমেজ &সাউণ্ড রেকোর্ডার চালু করে চশ্মার ডিটেক্টার টাও )

No comments:
Post a Comment