মোবাইলের কল্যাণে'
তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
বিকালথেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে ঝমঝমিয়ে, অফিস ছুটির পর এ ই রকম বৃষ্টি হলে খুউব অসুবিধা, ঠিক মতন বাস পাওয়া যাবেনা,তার উপর যদি রাস্তায় জল জমে, সোনায় সোহাগা, কপালে দুর্ভোগ আছে বুঝতেই পারছি,তাই ছুটির একটু আগেই অফিস থেকে বেরুলাম এমনি স্বাভাবিক দিনেই আধ ঘণ্টার উপর লাগে বাসে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছতে, আজ কতক্ষন বাসের জন্য অপেক্ষা কোরতে হবে জানিনা? রাস্তায় জল জমলে অনেক সময় বাস ঘুরে যায় তখন ১ ঘণ্টা লেগে যায় ।রাস্তায় এসে দেখি প্রবল একপশলা বৃষ্টিতে রাস্তায় ভালোই জল জমেছে।বাস কখন আসবে জানিনা, দুশ্চিন্তা । ভাগ্য ভালো বলতে হবে কিছু ক্ষনের মধ্যে একটা বাস আস্তে উঠলাম, কণ্ডাক্টর ওঠার সময় শুনি হাঁকছেন বাস ঘুর পথে যাবে সোজা রাস্তায় জল জমেছে, উপায় নেই তাও উঠলাম যেতে তো হবেই।কপালটা সত্যি ভালো একটা লেডিস সীট ফাঁকা পেতে বসে পড়লাম।
কণ্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এলে যখন ভাড়া দেবার জন্য হাত বাড়িয়ে টাকা দিচ্ছি দেখি সামনে একজনমাঝবয়েসী গাট্টাগোট্টাচেহারার লোক তার মোবাইলে আমার হাতের দু তিনটে ছবি তুলে নিলো। হঠাত দেখি লোকটা আমার সীটের একদম সামনে হাজির হয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা কোরে বসলো , আপনি খুউব এসট্রোলজিতে বিশ্বাস করেন ম্যাডাম? আমি একটু বিরক্তি ভাব দেখিয়ে বোল্লাম, তা আপনি বুঝলেন কি করে ?আপনি কি মানুষের মুখ দেখে সব বুঝে জান ? লোকটি সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে নানা, আপনার হাতে দামী গ্রহ শান্তির পাথর দেখেই মালুম হোলো এগুলো তো লোকে এমনি এমনি বিশ্বাস না থাকলে ব্যবহার করে না। আমি বোল্লাম আপনি ভুল কোরেছেন, এগুলো আর্টিফিসিয়াল আমার এক আত্মীয় দুবাই এ থাকেন আমাকে পাঠিয়েছেন,এগুলো মোটেই দামী নয়, দামী পাথর পড়ার মতোন অবস্থা আমাদের নয়, এগুলোর দাম অতি সামান্য ই । লোকটি তখন আমাকে বোললো এগুলো কি আপনি নিজে কিনেছেন ?দাম জানেন?এগুলো ঝুটা মাল হতেই পারেনা, আমরা চিনি যদি আপনি মেহেরবানি করে আপনার আত্মীয়ের ঠিকানা দেনতো যোগাযোগ করে নিতাম আমাদের ব্যবসা আছে, দু জনের ই ভি লাভ হোতো। আমি রেগে বোল্লাম,দরকার নেই, ব্যবসা করার সময় নেই, মাফ কোরবেন আপনারা খোঁজ ক রুন পেয়ে যাবেন ঠিকানা অনেক।লোকটিতখন বিদ্রপের হাসি হেসে বোল্লো ঠিক আছে ,পেয়ে তো জরুর যাবো। একবার যখন এ জিনিষের খোঁজ পেয়েছি, নিজের চোখে ভি দেখেছি, পতাতো আমাকে মিলতেই হবে। দেখি ।আমার ভীষণ ভয় ধরে গেলো, কারণ সত্যি করে আঙুলে দুটি দামী পাথর ,একটা হীরে অন্যটা চুণী দুটো মিলিয়ে দাম দেড় লক্ষ টাকার বেশী, এই গুলোর ছবি তুলেছে সম্ভবত ছবিটা ম্যাসেজ করে বাসের মধ্যেই সাগরেদদের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছে,আমি বাস থেকে নামলেই ছিন্তাই করে নেবে।লোক টা জেনেও গেছে আমি শিয়ালদা তে নামবো।এই আবহাওয়াতে মাঝ পথে নামা সম্ভব নয় ।
কি করি ? আমি হৈ চৈ বাধেলে কিছুই প্রমাণিত হবেনা ,বাসের মধ্যেকার ছবি তাও হতের, মুখের নয়,লোকে আমাকেই খারাপ ভাববে,এদের দল আছে প্রতিশোধ নেবে।আমাকে একটু বিব্রত হতে দেখে লোকটা আবার বোললো, কি হোলো দিদি মণি ? ঘাবড়িয়ে গেলেন? নানা হামি আপনার আত্মীয়ের খোঁজ লিবেনা ,আপনি না চাহিলে হামি কেনো অনার খোঁজ নিবো ?আপনি আমাদের সাথে একটা চুক্তি করে ব্যাবসা ভি কোরতে পারেন।এই রকম পাথর খুউব পছন্দ আছে, ভালো দাম ভি পাওয়া যাবে।কি ভেবে দেখুন? আমিও শিয়ালদা যাচ্ছি দেখুন, ভাবুন,এই পাথর আমার চাইই।
আমি নিশ্চিত কোনো বড় ছিন্তাই বাজের খপ্পড়েপড়েছি, এখন বাঁচার উপায় কি? ভাবতে লাগলাম।
আমার মাথাতেও একটা বুদ্ধি খেলে গেলো মুহুর্ত্তে আমিও আমার চিন্তা মোতাবেক কাজটা সারলাম সু কৌশলে।লোকটাকে বোল্লাম ঠিক আছে আমি বাড়ি গিয়ে সবার সাথে আলোচনা করি আপনি
ঠিকানা দিন যোগাযোগ কোরবো।লোকটা পকেট থেকে একটা ভিজিটিং কার্ড বার করে আমায় দিলে আমি কায়দা করে বাঁ হাতে নিলাম, তার চাহনীতেই বুঝলাম সে আমাকে বিশ্বাস করেনি।বাস এক ঘণ্টা বাদে প্রায় রাত ৭টা নাগাদ শিয়ালদহে স্টেশনে এসে দাঁড়াতেই দেখি ঐ লোকটা দ্রুতআমার পিছনে এসে দাঁড়ালো,বাসের নামার সীটে পা দিয়েই বুঝলাম আমার কোমরের কাছে একটানলের খোঁচার মতন লাগছে, সেটা যে রিভলবারের তা বেশ বুঝতে পারলাম,ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। নীচের দিলে তাকিয়ে দেখি আর একজন ঐ রকম ই ষণ্ডা মার্কা একজন আমার নামার পথ চেয়ে এসে হাজির ।বাস থেকে নেমে আমার বুক ঢিব ঢিব কোরছে জানিনা আমার বুদ্ধি মতন কাজ ঠিক মতন হয়েছে কিনা? আমি সামনের গেটের নীচের দিকে তাকিয়ে দেখি শান্তনু দা নির্দেশ মতন দাঁড়িয়ে সাথে মনে হোলো দু চারজন লোকের সাথে কথা বোলছিলেন, আমাদের বাস টা আস্তেই আমাকে দেখে গেটের দিকে এগিয়ে আস্তে ঐ ষণ্ডা লোক দুটো এসে আমার হাত টা ধরার আগেই শান্তনুদার সাথে যে গল্প কোরছিলেন চারজন তারা দৌড়ে এসে জাপ্টে ধরে ফেলে তাদের কে। ওরা বুঝতে পারিনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।বুঝলাম এনারা পুলিশের লোক, কারন ওনারা এই গুণ্ডাদের চেনে এরা দাগী ছিন্তাই কারী। তাই এদের ধরে নিয়ে গেলো থানায়। শান্তনুদা থানায় জানিয়েই রেখেছিলেন তাই আর যেতে হোলোনা।ধন্যবাদ আমার মোবাইল ফোনটাকে, আমিও ওই গুণ্ডাটার যে আমার হাতের ছবি তুলেছিলো তার ছবি তুলে
শিয়ালদাতে ইউকো ব্যাঙ্কে কাজ করেন আমার পাড়ার ই দাদা শান্তনু মুখার্জীকে ঘটনাটা ম্যাসেজ করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, বাসের নাম্বার টাও দিয়ে দিয়েছিলাম কটা নাগাদ পৌঁছচ্ছে তাও জানিয়ে দিয়েছিলাম।শান্তনুদা আমাদের সাথে একই ট্রেণের নিত্য যাত্রী।
বিকালথেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে ঝমঝমিয়ে, অফিস ছুটির পর এ ই রকম বৃষ্টি হলে খুউব অসুবিধা, ঠিক মতন বাস পাওয়া যাবেনা,তার উপর যদি রাস্তায় জল জমে, সোনায় সোহাগা, কপালে দুর্ভোগ আছে বুঝতেই পারছি,তাই ছুটির একটু আগেই অফিস থেকে বেরুলাম এমনি স্বাভাবিক দিনেই আধ ঘণ্টার উপর লাগে বাসে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছতে, আজ কতক্ষন বাসের জন্য অপেক্ষা কোরতে হবে জানিনা? রাস্তায় জল জমলে অনেক সময় বাস ঘুরে যায় তখন ১ ঘণ্টা লেগে যায় ।রাস্তায় এসে দেখি প্রবল একপশলা বৃষ্টিতে রাস্তায় ভালোই জল জমেছে।বাস কখন আসবে জানিনা, দুশ্চিন্তা । ভাগ্য ভালো বলতে হবে কিছু ক্ষনের মধ্যে একটা বাস আস্তে উঠলাম, কণ্ডাক্টর ওঠার সময় শুনি হাঁকছেন বাস ঘুর পথে যাবে সোজা রাস্তায় জল জমেছে, উপায় নেই তাও উঠলাম যেতে তো হবেই।কপালটা সত্যি ভালো একটা লেডিস সীট ফাঁকা পেতে বসে পড়লাম।
কণ্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এলে যখন ভাড়া দেবার জন্য হাত বাড়িয়ে টাকা দিচ্ছি দেখি সামনে একজনমাঝবয়েসী গাট্টাগোট্টাচেহারার লোক তার মোবাইলে আমার হাতের দু তিনটে ছবি তুলে নিলো। হঠাত দেখি লোকটা আমার সীটের একদম সামনে হাজির হয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা কোরে বসলো , আপনি খুউব এসট্রোলজিতে বিশ্বাস করেন ম্যাডাম? আমি একটু বিরক্তি ভাব দেখিয়ে বোল্লাম, তা আপনি বুঝলেন কি করে ?আপনি কি মানুষের মুখ দেখে সব বুঝে জান ? লোকটি সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে নানা, আপনার হাতে দামী গ্রহ শান্তির পাথর দেখেই মালুম হোলো এগুলো তো লোকে এমনি এমনি বিশ্বাস না থাকলে ব্যবহার করে না। আমি বোল্লাম আপনি ভুল কোরেছেন, এগুলো আর্টিফিসিয়াল আমার এক আত্মীয় দুবাই এ থাকেন আমাকে পাঠিয়েছেন,এগুলো মোটেই দামী নয়, দামী পাথর পড়ার মতোন অবস্থা আমাদের নয়, এগুলোর দাম অতি সামান্য ই । লোকটি তখন আমাকে বোললো এগুলো কি আপনি নিজে কিনেছেন ?দাম জানেন?এগুলো ঝুটা মাল হতেই পারেনা, আমরা চিনি যদি আপনি মেহেরবানি করে আপনার আত্মীয়ের ঠিকানা দেনতো যোগাযোগ করে নিতাম আমাদের ব্যবসা আছে, দু জনের ই ভি লাভ হোতো। আমি রেগে বোল্লাম,দরকার নেই, ব্যবসা করার সময় নেই, মাফ কোরবেন আপনারা খোঁজ ক রুন পেয়ে যাবেন ঠিকানা অনেক।লোকটিতখন বিদ্রপের হাসি হেসে বোল্লো ঠিক আছে ,পেয়ে তো জরুর যাবো। একবার যখন এ জিনিষের খোঁজ পেয়েছি, নিজের চোখে ভি দেখেছি, পতাতো আমাকে মিলতেই হবে। দেখি ।আমার ভীষণ ভয় ধরে গেলো, কারণ সত্যি করে আঙুলে দুটি দামী পাথর ,একটা হীরে অন্যটা চুণী দুটো মিলিয়ে দাম দেড় লক্ষ টাকার বেশী, এই গুলোর ছবি তুলেছে সম্ভবত ছবিটা ম্যাসেজ করে বাসের মধ্যেই সাগরেদদের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছে,আমি বাস থেকে নামলেই ছিন্তাই করে নেবে।লোক টা জেনেও গেছে আমি শিয়ালদা তে নামবো।এই আবহাওয়াতে মাঝ পথে নামা সম্ভব নয় ।
কি করি ? আমি হৈ চৈ বাধেলে কিছুই প্রমাণিত হবেনা ,বাসের মধ্যেকার ছবি তাও হতের, মুখের নয়,লোকে আমাকেই খারাপ ভাববে,এদের দল আছে প্রতিশোধ নেবে।আমাকে একটু বিব্রত হতে দেখে লোকটা আবার বোললো, কি হোলো দিদি মণি ? ঘাবড়িয়ে গেলেন? নানা হামি আপনার আত্মীয়ের খোঁজ লিবেনা ,আপনি না চাহিলে হামি কেনো অনার খোঁজ নিবো ?আপনি আমাদের সাথে একটা চুক্তি করে ব্যাবসা ভি কোরতে পারেন।এই রকম পাথর খুউব পছন্দ আছে, ভালো দাম ভি পাওয়া যাবে।কি ভেবে দেখুন? আমিও শিয়ালদা যাচ্ছি দেখুন, ভাবুন,এই পাথর আমার চাইই।
আমি নিশ্চিত কোনো বড় ছিন্তাই বাজের খপ্পড়েপড়েছি, এখন বাঁচার উপায় কি? ভাবতে লাগলাম।
আমার মাথাতেও একটা বুদ্ধি খেলে গেলো মুহুর্ত্তে আমিও আমার চিন্তা মোতাবেক কাজটা সারলাম সু কৌশলে।লোকটাকে বোল্লাম ঠিক আছে আমি বাড়ি গিয়ে সবার সাথে আলোচনা করি আপনি
ঠিকানা দিন যোগাযোগ কোরবো।লোকটা পকেট থেকে একটা ভিজিটিং কার্ড বার করে আমায় দিলে আমি কায়দা করে বাঁ হাতে নিলাম, তার চাহনীতেই বুঝলাম সে আমাকে বিশ্বাস করেনি।বাস এক ঘণ্টা বাদে প্রায় রাত ৭টা নাগাদ শিয়ালদহে স্টেশনে এসে দাঁড়াতেই দেখি ঐ লোকটা দ্রুতআমার পিছনে এসে দাঁড়ালো,বাসের নামার সীটে পা দিয়েই বুঝলাম আমার কোমরের কাছে একটানলের খোঁচার মতন লাগছে, সেটা যে রিভলবারের তা বেশ বুঝতে পারলাম,ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। নীচের দিলে তাকিয়ে দেখি আর একজন ঐ রকম ই ষণ্ডা মার্কা একজন আমার নামার পথ চেয়ে এসে হাজির ।বাস থেকে নেমে আমার বুক ঢিব ঢিব কোরছে জানিনা আমার বুদ্ধি মতন কাজ ঠিক মতন হয়েছে কিনা? আমি সামনের গেটের নীচের দিকে তাকিয়ে দেখি শান্তনু দা নির্দেশ মতন দাঁড়িয়ে সাথে মনে হোলো দু চারজন লোকের সাথে কথা বোলছিলেন, আমাদের বাস টা আস্তেই আমাকে দেখে গেটের দিকে এগিয়ে আস্তে ঐ ষণ্ডা লোক দুটো এসে আমার হাত টা ধরার আগেই শান্তনুদার সাথে যে গল্প কোরছিলেন চারজন তারা দৌড়ে এসে জাপ্টে ধরে ফেলে তাদের কে। ওরা বুঝতে পারিনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।বুঝলাম এনারা পুলিশের লোক, কারন ওনারা এই গুণ্ডাদের চেনে এরা দাগী ছিন্তাই কারী। তাই এদের ধরে নিয়ে গেলো থানায়। শান্তনুদা থানায় জানিয়েই রেখেছিলেন তাই আর যেতে হোলোনা।ধন্যবাদ আমার মোবাইল ফোনটাকে, আমিও ওই গুণ্ডাটার যে আমার হাতের ছবি তুলেছিলো তার ছবি তুলে
শিয়ালদাতে ইউকো ব্যাঙ্কে কাজ করেন আমার পাড়ার ই দাদা শান্তনু মুখার্জীকে ঘটনাটা ম্যাসেজ করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, বাসের নাম্বার টাও দিয়ে দিয়েছিলাম কটা নাগাদ পৌঁছচ্ছে তাও জানিয়ে দিয়েছিলাম।শান্তনুদা আমাদের সাথে একই ট্রেণের নিত্য যাত্রী।


No comments:
Post a Comment