প্রিয়বন্ধুরা
আজ বড়দিনে শৈশবেফিরে যেতে মন চাইছে তাই একটা নন সেন্স ছড়া সাথে কিছু সুকুমার সাহিত্যের
পরিচিত চরিত্রের ছবি এঁকে পোস্টকরলাম,জানিনা কেমন লাগবে?আসলে অবসর জীবনে সময় কাটানোর একটা প্রয়াস।ভালোনা
লাগলে ক্ষমনীয়।
সুকুমার
ল্যান্ড আজব সিটি
সেদিন আমি ঘুমের ঘোরে দেশ ঘুরতে গেলাম,
হটাৎ জানি কোন দেশেতে দেখতে আমি পেলাম।
সুকুমার ল্যান্ড" আজব সিটি" পাঁচিলে তে ঘেরা ,
এরই
মাঝে সাহিত্য চরিত্র,
করে ঘোরা ফেরা ।
সবকিছু দেখে আমি অবাক বনে গেলাম ,
আবোল তাবোল, হ য ব র ল ' র সবাইকে ই পেলাম ।
সব এলাকা দেখতে হলে হপ্তা খানেক লাগবে ,
সবার সাথেই একে একে
পরিচয়টা ঘটবে ।
হাঁস জারু,বকচ্চপ বসে ছিল ঘাসে ,
টিয়া মুখো গিরগিটি ছিল, বি-ছাগলে র পাশে ।
জিরাফরিং উড়ে চলে লম্বাগলা নিয়ে ,
হাতিমি, জঙ্গলে লুকায় হরিণ সিংহীর ভয়ে ।
কাঠ বুড়োর মনে দেখি অতিশয় কষ্ট,
জঙ্গল কেটে শহর বনছে, দুঃখটা স্পষ্ট ।
নেড়া দেখি কাতুকুতু
বুড়োর বাড়িতে ,
হেড অফিসের বড় বাবু
, কাবু গোঁফ চুরিতে
।
গঙ্গারাম গান শিখছে, ভীষ্ম লোচনের কাছে,
কুমড়োপটাশের জন্য জগাই হট্ট মুলার গাছে ।
বাবুরাম সাপুড়ে খোঁজে , ডাক্তার হাতুড়ে ?
কিম্ভুতজন্তুর ভয়ে ভুগছে
সে জ্বরে ,
প্য্যালারামের নিশ্বাসে , বদ্দি বুড়ো ভাবে ,
শ্যামা দাসকে নিয়ে বুড়ির
বাড়ি যাবে ।
বো ম্বা গড়েররাজার সাথে
বলতে হবে কথা ,
একুশে আইন আছে, কেউমানেনা তা ,
গোষ্ঠ মামার ফাঁদে,
রাম গরুরা সব কাঁদে
।
হ য ব র ল"য় দেখি, আলোচনা বসেছে,
তকাই, হিজবিজ বিজ, ব্যাকরণ শিং এসেছে ।
কাকেস্বরের ভাষণে, বেড়ালটা হাসছে ,
ঘন ঘন রুমালে, গেছো দাদা চোখ মুছছে ।
হেঁসো রামের রাজত্বে সবাই বিদ্য মান ,
গোমড়া থেরিয়াম থেকে
ল্যাংড়া থেরিয়াম।
পশু পাখির রাজত্বে সব বিলুপ্তদের বাস,
কীট পতঙ্গ থেকে আতিকায়,দেখে নাভিশ্ব।স।
হাজার রকম গাছপালা হাজার রকম প্রাণী ,
এর মধ্যে কেবল মাত্র গোটা কয়েক চিনি ।
লক্কড় সিং, হুক্কড় সিং ,সবাই সেথা আছে,
সবার সাথে পাগলা দাশু ঘুরছে পিছে পিছে ।
প্রফেসর হুসিয়ারি সব ঘুরিয়ে দেখালেন
আসার সময় অনেক শুভেচ্ছা জানালেন ।
অদ্ভুত কাঁকড়া, , ফড়িং থেকে বাঘ ,
এক সাথে সবাই, নেই কারো মনে রাগ
।
মানুষ চরিত্রের যারা, তাদের কথাও বলব,
হাঁফ ছেড়ে নিই কটা দিন, তার পরেতে ভাবব।

No comments:
Post a Comment