সুকুমার ল্যান্ড আজব সিটি
সেদিন আমি ঘুমের ঘোরে দেশ ভ্রমণে গেলাম,
হটাৎ জানি কোন দেশেতে আমি দেখতে পেলাম।
সুকুমার ল্যান্ড আজব সিটি" লেখা পাঁচিল ঘেরা স্থান,
ভিতরে ঢুকে আমি আবাক বনে গেলাম ।
ডিজনি্ ল্যান্ড   ,ফিল্ম সিটির মতন চার পাশ ঘেরা ,
এরই মাঝে সুকুমার সাহিতের সব চরিত্র করে ঘোরা ফেরা ।
আবোল তাবোল থেকে হ য ব র ল ' র  সবাইকে পেলাম ।
সব এলাকা দেখতে হলে হপ্তা খানেক লাগবে ,
সবার সাথেই  একে একে পরিচয়টা ঘটবে ।
হাঁস জারু,বকচ্চপ বসে ছিল ঘাসে ,
টিয়া মুখো গিরগিটি ছিল বি-ছাগয়ের পাশে ।
জিরাফরিং উড়ে চলে ভারিশরীর নিয়ে ,
হাতিমি জঙ্গলে লুকায় হরিণ সিংহীর ভয়ে ।
কাঠ বুড়োর মনে দেখি অতিশয় কষ্ট,
জঙ্গল কেটে শহর বনছে তার দুঃখটা স্পষ্ট ।
ন্যাড়া কে দেখলাম কাতুকুতু বুড়োর বারিতে
হেড অফিসের  বড় বাবু , কাবু তার গোঁফ চুরিতে ।
গঙ্গারাম গান শিখছে ভীষ্ম লোচনের কাছে,
কুমড়োপটাশের তাড়ায় জগাই  হট মুলার গাছে ।
বাবুরাম সাপুড়ে খোঁজে কোথায় ডাক্তার হাতুড়ে ?
কিম্ভুতজন্তুর ভয়ে  রোজ সে  ভোগে ভীষণ জ্বরে
প্য্যালারামের নিশ্বাসে  বদ্দি বুড়ো ভাবে ,
শ্যামা দাসকে সাথে নিয়ে বুড়ির বাড়ি যাবে ।সেছে
বম্বা তেআইন ব্লবৎ আছে, হুঁকো মুখো তা  মানেনা ,
গোষ্ঠ মামার ফাঁদে, রাম গরুরা সব কাঁদে ।
হ য ব র ল" তে গিয়ে  দেখি আলচনা  বসেছে,
তকাই, হিজবিজ বিজ, ব্যাকরণ শিং সবাই এসেছে ।
কাকেস্বরের ভাষণে বেড়ালটা হাসছে ,
ঘন ঘন রুমালে গেছো দাদা তার চোখ মুছছে ।স
হেঁসো রামের রাজত্বে সবাই বিদ্য মান ,
গোমড়া থেরিয়াম থেকে  ল্যাংড়া থেরিয়াম।
পশু পাখির রাজত্বে সব বিলুপ্তদের ও পেলাম,
কীট পতঙ্গ থেকে ডাইনোসর সব ই দেখে এলাম ।
হাজার রকম গাছপালা হাজার রকম প্রাণী ,
এর মধ্যে কেবল মাত্র গোটা কয়েক চিনি ।
লক্কড় সিং,   হুক্কড় সিং ,সবাই সেথা আছে,
সবার সাথে‌ পাগলা দাশু ঘুরছে পিছে পিছে ।
প্রফেসর হুসিয়ারি সব ঘুরিয়ে দেখালেন
আসার সময় অনেক ধন্যবাদ জানালেন ।
অদ্ভুত কাঁকড়া, মাছ, গ্রিলা, ফড়িং থেকে বাঘ ,
শামুক , ঝিনুক , গ্লাটন নেই কারো মনে রাগ ।
মানুষ চরিত্রের যাদের দেখেছি তাদের কথাও বলব,
হাঁফ ছেড়ে নিই দু দশটা দিন তার পরেতে ভাবব।