ডাক্তার উকিল ও বিশ্বের অমীমাংসিত
রহস্য (৪)
রহস্য ময় "অন্য গ্রহের প্রাণী এলিয়েন ও এরিয়া
৫১ "
>> তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়<<
আজ টানা এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হয়েই
চলেছে থামার কোনো লক্ষন দেখছিনা,বাইরে বেরুনো বন্ধ
ঘরে তাই একটু গোছগাছ নিয়ে ব্যস্ত,আমার ব্যাক্তিগত পাঠাগার,সংগ্রহশালায় রক্ষিত পুরানো দুঃস্প্রাপ্য পুঁথি পত্র,দরকারী
খবর, তথ্যের প্রকাশিত কাগজ পত্রাদি, সাজিয়েগুছিয়ে
চিহ্নিত করে রাখছি।এর
মধ্যে আমার সবথেকে মুল্যবান সংগৃহীত বস্তু, ঝাড়্গ্রামের
ডাক্তার উকিল জেঠুর কাছ থেকে পাওয়া তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরী গুলো,যার কোনো তুলনাই নেই।ডাক্তার
উকিল জেঠুর কাছ থেকে পাওয়া এই ৪০ বছরের ও আগে লেখা ডায়েরী গুলো । তখনকার
মুল্যবান তথ্য ঘটনা সমৃদ্ধ, আকর্ষনীয় আজও সমাদৃত অনেকের
কাছে, তাই এক এক করে তুলে ধরছি পাঠকের দরবারে । চিহ্নিত
করে লেখা আছে ,বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য । ওখান
থেকেই পর্যায়ক্রমে পরস্পর প্রকাশ করার ইচ্ছা।। ইতি
পুর্বে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্য
(১)তুষার মানব ইয়েতি রহস্য(২) রহস্য ময় ইষ্টার দ্বীপের কথা (৩)অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু
UFO
রহস্য।
আজ
বিশ্বের অমীমাংসিত ৪নং রহস্য "রহস্য ময় "অন্য গ্রহের প্রাণী এলিয়েন ও এরিয়া
৫১ " যা ডাক্তার উকিল জেঠুর ডায়েরী থেকে যেমন তথ্য আকারে পেয়েছি তাই তুলে ধরলাম
পাঠকের কাছে।
পশ্চিম জার্মাণীতে ১৯৬৮সালে সুইজারল্যাণ্ডের
এরিক আন্তনপল ফন দ্যানিকেন এর 'ERINNERVGEH ANDIE ZUNUNFT"গ্রন্থের ইংরাজী অনুবাদ "Chariots of the Gods"প্রকাশিত হয়েছে, সারা বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে এই বই এর
বক্তব্য।
সারা
পৃথিবী জুড়েই ছড়িয়ে আছে অদ্ভুত, অসম্ভব সব বিরল বস্তু,
ও তার ধ্বংসাবশেষ ,যাদের ব্যাখ্যা প্রত্নতত্ত্ব,ইতিহাস কিম্বা ধর্মের গতানুগতিক
ধারায় দেওয়া সম্ভব হয়নি।প্রাগৈতিহাসিক
মানব সংস্কৃতিতে বহির্জাগতিকদের প্রভাব দেখা যায়।পৃথিবীর প্রায় সব ধর্ম পুস্তকেই দেখাযায়
অগ্নিগর্ভ রথে দেবতাগন মর্তে আসেন, তাতে আছে তার নানা বিশদ বর্ণনা, বিবরণ এমন কি তাঁদের পুনরাগমনের প্রতিস্রুতির কথাও উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৫৩৮
সালে বেলজিয়ামের ব্রুসেস এলাকায় একটা ট্যাপেস্ট্রি যার নাম সামারস্ট্রায়াম্ফ,এই ট্যাপেস্ট্রিতে অঙ্কিত দেওয়াল চিত্রে দেখা যায় একটি শাসকের ক্ষমতা গ্রহণের
অনুষ্ঠানের যে ছবি আছে তাতে আকাশে কতকগুলি ভাসমান উড়ন্ত বস্তুর ছবি, যা UFO বলেই মনে হয়।বহু সংস্কৃত পুঁথিতে পাওয়া যায় মহাকাশ
যানে ভ্রমনের উল্লেখ,মধ্যাকর্ষণের কথা।মহাকাশে যাত্রাকালে যে জাগতিক ও মহাজাগতিক
সময়ের মধ্যে বিরাট তারতম্য ঘটে,বিজ্ঞাণী আইনস্টাইন
এর সুত্রে আছে, সেই Time dilation এর বিষয়
টি মহাভারতের রচয়িতার কি করে জানা সম্ভব হলো?কি করেই বা তেজষ্ক্রিয়তার
প্রভাব অ্যাটম বোমা আবিষ্কারের পুর্বেই তিনি জানলেন?এই রকম বহু
বিষ্ময়কর ঘটনা আর তার থেকে উদ্ভুত নানা প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্য সারা বিশ্বে গবেষণা
চলছে বহুকাল ধরে কিন্তু কোনো সঠিক তথ্য আজ ও পাওয়া যায়নি।নানা রকম ব্যাখ্যা যুক্তি খাড়া করা
হয়েছে কিন্তু কোনটাই প্রমানিত সত্য বলে গৃহীত হয়নি।আমার মনেও কতক গুলি বিষয় দারুন ভাবে
নাড়া দিয়েছে,বিস্তারিত তথ্য,প্রমানাদি জোগার করে রহস্যের সমাধান কোরতেই হবে। পাথরের
গায়ে স্পেস স্যুট পরাআঁকা মুর্তির ছবি আছে,যা আধুনিক
মহাকাশচারীদের ছবির মতন।না
চোখে দেখলে কি করে আঁকা হলো?
রজোয়েলের ঘটনাঃ-ঘটনাটি ঘটেছিলো আমেরিকার
নিউমেক্সিকোর রজওয়েল শহরে,৮ই জুলাই ১৯৪৭, খবরে প্রকাশ,মরুভূমিতে একটি অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর (UFO)
ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় কিন্তু আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী
এবং সরকার ব্যাপারটি সম্পুর্ণ অস্বীকার করে,সত্য গোপন এর জন্য
তাঁরা একটি তদন্ত প্রক্রিয়া প্রহসন "মুগুল" স্থাপন করেছিলো।সারা বিশ্বে যে বিস্ময়কর ক্রিয়া কাণ্ডের
নিদর্শন ছড়িয়ে আছে অমীমাংসিত রহস্য গুলো যার সমাধান আজ ও হয়নি সেগুলি সৃষ্টির মুলে
কি ঐ ভিন গ্রহের উন্নত প্রাণী?অন্য গ্রহে কি প্রাণের
অস্তিত্ব আছে এ নিয়ে প্রকৃত অনুসন্ধান হয়নি,আমেরিকা এই বিষয় টিকে
সর্বদাই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।অনেকের ই ধারনা আমেরিকার হাতে এই বিষয়ে
তথ্য প্রমান সব ই আছে তারা গোপন করছে যাতে বিশ্বের অন্য কোন দেশ জানতে না পারে হদিশ
না পায় এই উন্নত প্রাণীদের, এদের থেকে বহু কিছু পেয়েছে
যা অত্যন্ত গোপনীয়।
এরিয়া-৫১- হোলো ,এলিয়েন বা ভিন্ন গ্রহের প্রাণী,তাদের আকাশ যান,
তাদের আবিস্কৃত জিনিস পত্রের তথ্য ইত্যাদি সম্পর্কে পৃথিবীর সব থেকে
গোপনীয় স্থান বলে চিহ্নিত।
আমেরিকার
নেভাদা অঙ্গ রাজ্যের সামরিক ঘাঁটি 'এরিয়া-৫১'
লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিলোমিটার দুরে,গ্রুম লেকের পাশে
এর অবস্থান, এখানের আকাশে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকির মতন নানা
অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুকে ঊড়তে দেখাযায়।
অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রাভিযান বিষয়টি পুরোটাই
বিতর্কিত সাজানো নাটক বলে অনেকের ধারনা। এরিয়া-৫১ কর্মরত পদার্থ
বিজ্ঞাণী বব লেজার ,তিনি দাবী করেন এই এরিয়া
-৫১ এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয় যা এখন ও পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়নি বলেই
অঘোষিত , সুপার নোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকে সংগৃহীত এই
সব মৌল,এর মধ্যে এমন মৌল আছে যেটি ৪৭টি১০ মেগাটনের হাইড্রোজেন
বোমা বানানোর পক্ষে যথেষ্ট।বহু
মৌল যুগান্তকারী বিপ্লব সৃষ্টি কোরতে সক্ষম, এখন ও
ঘোষনার অপেক্ষায় আছে।
সময়
কে স্থির করে রাখা যায় এমনসব ও পদ্ধতি ও মৌল এন্টিম্যাটার তৈরী করে,তার বিপুল ক্ষমতা বা শক্তি সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত হয়, এই বিপুল শক্তি অ্যান্টিম্যাটার রিয়াক্টারে
শক্তি উৎপাদিত হয় তার ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তি তেই
তা বিদ্যুৎ বেগে ধাবিত হয়,এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করেই উচ্চ গতি
সম্পন্ন মহাকাশ যান, অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু, ফ্লাইং সসার তৈরী করা হয়। বিজ্ঞাণী বব লেজার আরো
জানান এখানে এলিয়ান সহ ধংস হয়ে যাওয়া অশনাক্ত ঊড়ন্ত যান ফ্লাইং সসার আছে,যা সম্ভবত ১৯৪৭ রজোয়েলথেকে সংগৃহীত,
ঐ মরুভূমি থেকে ধংস হয়ে যাওয়া
মহাকাশ যানের সাথে এলিয়েনের দেহ উদ্ধার করে
গোপনে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে গবেষণার জন্য।এ সব ই এখানে আছে,
এলিয়েনের দেহ ব্যবচ্ছেদ করে জানা গেছে সম্ভবত প্রাণীটি রেটিকুলাম-৪ নামক
জ্যোতিষ্ক থেকে এসেছে,প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিনফুট,শরীর লোম হীন , দুটি কালো বড় বড় চোখ, শরীর কৃষ্ণকায়।ফুস
ফুস বা হৃদপিণ্ড নেই সেই স্থানে বিশাল একটা পতঙ্গের মতন একটা কি আছে।
এরিয়া -৫১ একটি বিশাল (নেলিসের বিমান
বাহিনী) সামরিক বাহিনীর অপারেশন ঘাঁটি ,যার আয়তন
প্রায় ২৬০০০ বর্গ কিলো মিটার।এটি
পশ্চিম মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে এবং লাসভেগাস থেকে
প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম রেকেল গ্রামের কাছে গ্রুম হৃদের দক্ষিন তীরে অবস্থিত।মার্কিন সেনা বাহিনীর মতে পরীক্ষামুলক
উড়োজাহাজ তৈরি,অস্ত্রশস্ত্রের সিস্টেম পরীক্ষা করা
ও উন্নতি সাধন করাই এখানের মুল কাজ।কিন্তু এই স্থানের গোপনীয়তা ও তার ধরন টাই সন্দেহ জনক
। সারা
বিশ্বের মনুষ্য সৃষ্ট সর্বাপেক্ষা রহস্যাবৃত দুর্লভস্থান ,যেখানে দুর্ভেদ্য ঘেরা বেষ্টনী ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ অসাধ্য ,আকাশ পথে ও কড়া নিরাপত্তা, এখানে আসার অনুমতি আছে কেবল মাত্র সেই বিমান যান গুলি এই আকাশ পথের উপর দিয়ে
যেতে পারে, এমন কি কেহ যদি ভুল ক্রমেও এই এলাকায় প্রবেশ করে তার
প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে সতর্কতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে।
মহাকাশে উড়ন্ত অশনাক্ত বস্তু যাতে ভিন্ন গ্রহের থেকে
কোনো প্রাণী এই বিশ্বে এসে থাকতে পারে যাদের কে এলিয়েন আবার ধর্মীয় পুস্তকে দেবতা হিসাবে গন্য করা হয়েছে,
বিভিন্ন স্থানে এদের নিয়ে নানা চিত্র নানা কাহিনী বিবরণের ঊল্লেখ পাওয়া
গেছে বিশ্বের নানা বিস্ময়কর বস্তু ঘটনা প্রাপ্ত নানা সামগ্রী থেকে একটা জিনিস আমার
কাছে পরিষ্কার, পৃথিবীতে একটা অতি প্রাকৃতিক শক্তি বহু শতাব্দী
পুর্বকাল থেকে বিদ্যমান ছিলো, আছে, থাকবে
যার প্রকৃত স্বরুপ আজ ও অজানা।
আমার মনে কতক গুলো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যেমন (১) সব
ধর্মের পুস্তক বা বর্ণনায় শক্তিমান দেবতা/ইশ্বর/মহামানবদের দেহে আলোক বা তেজ রশ্মির
ছটা বিচ্ছুরিত হতে দেখা যায় কেন?পৃথিবীতে সাধারণ কোন
মনুষ্যাকৃতি প্রাণী দেহে বিশেষ করে এই ধরনের ছটা যেখানে দেখা যায় না?
(২) দেবতা গনের স্থান সর্বদাই একটি
উঁচু বেদীর ন্যায় স্থানে কেনো? (৩) অনেক দেবতাই বর্ম
ও অস্ত্র ধারী কেনো? (৪) পুরাণে বর্ণিত বাণ গুলি যেমন অগ্নি বাণ,বরুন বাণ, বজ্র,পাসপত, ব্রহ্মাস্ত্র ইত্যাদি ধারনা কিভাবে সম্ভব যদি বাস্তবে এমন কোনো অস্ত্র নাই
থাকে এগুলো আধুনিক দূর নিয়ন্ত্রিত সয়ংক্রিয়
ক্ষেপনাস্ত্র তুল্য। (৫) পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যে
প্রাচীন সভ্যতার জন্ম হয়েছিলো সেগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই আকস্মিক বিকাশ ঘটেছিলো আবার পৃথিবীর
বুকে মহা প্রলয়ের ও বিভিন্ন পুরাকাব্যে উল্লেখ আছে অথচ কারণ অজানা সব ক্ষেত্রেই।(৬) ডারউইনের মিসিং লিঙ্ক এর মত ই মানব জাতির দ্রুত মগজ ও শারিরিক বিকাশের
ধারাবাহিকতাটিও আশ্চর্যজনক ভাবে চরম বিকাশে পৌঁচেছে যা অন্য কোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে
ঘটেনি।
এক্ষেত্রেও
একটা অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়।
এছাড়াও আমেরিকার আকাশযান ও মহাকাশ
গবেষণার দ্রুত উন্নতি,অস্ত্র নির্মাণের দক্ষতা,
কারিগরি ও চিকিৎসা বিজ্ঞাণে অগ্রগতির মুলে এরিয়া -৫১ এর ভুমিকা আছে বলেই
আমার অনুমান।
এরপর বেশ কিছু পাতা ফাঁকা কিছুই লেখা
নেই,
হয়তো এখানে কিছু পরে লিখবেন ভেবে পাতা গুলি বাদ দিয়ে রেখেছিলেন তারপর
আবার লেখা ---------
আমি গতকাল সন্ধ্যায় এরিয়া -৫১ সীমানার
ঠিক কাছাকাছি একটি বিস্তৃর্ণ ফাঁকা জায়গায় আমার সৃষ্ট সর্বত্রগামী যান;ত্রিলোক বিহারী' করে এসেছি। আগেই
লিখেছি,
এটি পরিবেশের সাথে নিজেকে একদম মিশিয়ে ছদ্ম রুপ ধারন করে মিশে যায়।বাইরে থেকে কোন ভাবেই আলাদা করে চিহ্নিত
করা যায়না।কোন
নির্দেশক তরঙ্গ দ্বারাও সম্ভব নয়।সব
রকম তরঙ্গ শোষন করতে সক্ষম তাই রাডার জাতীয় যন্ত্রে এর অস্তিত্ব ধরা পড়েনা।দ্য ভিঞ্চির আবিস্কার নিয়ে গবেষণার
সময় এমন বেশ কিছু রহস্যজনক বিষয় জানতে পারি ,বিশ্বের
বেশ কিছু অমীমাংসিত রহস্য আমায় ভাবিত করে।'
তখন এই বিশেষ যান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। যান
টিকে কাছেই লুকিয়ে রেখে এসেছি এটা কারোর নজরেই আসবেনা চারপাশের পরিবেশের সাথে মিশে
এক হয়ে আছে।
আমি ঠিক করেই ছিলাম আমি এরিয়া-৫১ ভিতরে
ঢুকে দেখে আসবো যতটা পর্য্যবেক্ষণ করা সম্ভব,
আমার পরিহিতএই অদৃশ্য পোষাক 'অগোচর' আমার
এই প্রয়াসকে সফলতা এনে দিয়েছে, পুরোপুরি না হলেও শতকরা ৬০ ভাগ
তথ্য জোগার করতে সক্ষম হয়েছি।কোনো
অনুসন্ধান যন্ত্রের তরঙ্গে এই পোষাকটি ও ধরা পড়েনা,অদৃশ্য থেকে যায় ।এই
পোষাকে লাগানো যন্ত্রে র মাধ্যমেবেশ কিছুটা এলাকার মধ্যে ,
জল,স্থল, অন্তরীক্ষে ইচ্ছা
মতন বিচরণ করা যায় এছাড়া আমার সব প্রয়োজনীয় পরিবহন যোগ্য যন্ত্রপাতি সামগ্রী গুলি সাথে
আছে, যেমন খাওয়ার বিকল্প ইনস্টাফুড পিল 'পুষ্টি', এটি ভেষজ বটিকা , আছে
সর্বরোগ হর 'সঞ্জীবন' ট্যাব্লেট,পানীয় জলের চাহিদা মেটায় দু ফোঁটা 'জীবনামৃত'। আমার
আত্মরক্ষার অস্ত্র মাইক্রো ওয়েভ কম্পাউণ্ড লেসার ডিমিনিশিং গান 'দুর্বাশা' এটি হাতের রিস্টে লাগানো রিস্টোয়াচের মতন,
এটি আসলে টেলী ইলেকট্রোম্যাগ্নেটিকমাইক্রো ওয়েভ জেনারেটর উইথ ইন্টেন্সিভ
লেজার গান।
।এটি ও আমার সাথে থাকে।ইয়েতি অনুসন্ধানের সময় এটা খুউব কাজে
লাগে।
আমি এরিয়া-৫১ অনুসন্ধান করে যা দেখেছি
ও বুঝেছি তা সংক্ষেপে লিখে রাখছি,আবার আসতে হবে,
অনেক কিছু জানার আছে এবারে সুযোগ হোলোনা
গ্রুম লেকের ধারে সুপরিকল্পিত সুসামঞ্জস্য ও সন্নিবেশীত বিশাল কর্ম যজ্ঞ ক্ষেত্র। মৌমাছির
চাকের মতন অনেক প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট, ছাউনি, কর্মশালা ও পরীক্ষাগার একত্রে ঘেরা এক একটি ক্ষেত্র,এ
রকম ১০/১২ টা ক্ষেত্র এই এরিয়া ৫১ মধ্যেই কাছাকাছি সন্নীবেশীত স্থানে ছড়ানো রয়েছে। অনেককর্মী
এখানে কর্ম রত, প্রত্যেকের সুন্দর সুন্দর ইউনিফর্ম,
কর্মশালা ও গবেষণাগারের ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি কারন অনেকগুলো বন্ধদ্বার
ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে
হয় যার জন্য অনেক সময় ও সুযোগ থাকা দরকার,যত টুকু দূর থেকে দেখতে
পেয়েছি বুঝেছি এখানে মুলতঃ মহাকাশ ও মহাকাশ
যান নিয়ে ই গবেষণা করা হয়।
হাজারো
উন্নত যন্ত্রপাতি সাজ সরঞ্জাম দেখলে মাথা ঘুরে
যায়,
আমি আর কত টুকুই বা দেখতে পেয়েছি? হাজার ভাগের
এক ভাগ মাত্র।
অনেক
রোবট আছে তার মধ্যে প্রকৃত এলিয়েন থাকলেও এতো অল্প সময়ে দূর থেকে চিহ্নিত করা সম্ভব
হয়নি।
গবেষণাগারের
এই এলাকার মধ্যে এক বিশেষ ধরণের আলোক ব্যবস্থা করা আছে যাতে কোনো রকম আলোক রশ্মি দৃশ্যমান
বা অদৃশ্যরশ্মি দ্বারা ছবি তোলা যাবেনা,তাপ বিকিরণ
পদ্ধতি দ্বারাও সম্ভব নয়, প্রকোষ্ঠগুলি স্বচ্ছ কাঁচের মত,
কোনো বিশেষ কিছুদ্বারা ঘেরা ঢাকা যাতে বাইরে থেকে সব দেখাগেলেও প্রকোষ্ঠের
অভ্যন্তরের বাইরে কোনো শক্তি বিকিরিত হয়না অন্তরক বা আবরকে মোড়া থাকায়,বিশেষ ধরণের জ্যামার ব্যাবস্থা আছে যাতে কোনো,শব্দ বা
সংকেত বাইরে না আসে, সব তরঙ্গকেই প্রতিহত করে। এই
রকম ব্যবস্থা থাকতে পারে ভাবিনি,তাই কোনো রকর্ডিং এবার
সম্ভব হোলোনা।এখান
কার কিছু জায়গার প্রাকৃতিক ভুমি রুপ হুবহু চাঁদের ভুপৃষ্ঠের যে চিত্র,নমুনা যা অ্যাপোলো-১১ থেকে পাওয়া গেছে সেই রকম। এখানে
অবশ্য ই কৃত্রিম ভাবে ঐ চন্দ্রাভিযানের কাহিনী চিত্র বানানো সম্ভব। উন্নত
প্রযুক্তিতে আসল নকল বোঝা যাবেনা।বাইরে
কোনো অসনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর,উড়ন্ত চাকির দেখা পেলাম
না তবে গোপন কোন স্থানে ওগুলো থাকা সম্ভব কারণ বহু বড় বড় আস্তানা ছাঊনি মাটির উপরে,
হয়তো মাটির নীচে ও আছে যেখানে আমি যেতে পারিনি। এখানে
দূর থেকেই বেশ কিছু অতি উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ,যন্ত্রপাতি র ক্রিয়া কৌশল দেখেছি যা বিশ্বে অজানা অঘোষিত।দুর থেকে কতক টা সুকুমার রায়ের খিচুরি
কবিতার জিরাফ আর ফড়িং এর মিশ্রিত রুপের প্রাণী কে ঘেরা এলাকার মধ্যে জলাশয় থেকে গাছের
ডালে ঝোঁপের আড়ালে ঊড়ে যেতে দেখেছি, এই ঘেরা
জায়গায় নিশ্চয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করা আছে নইলে গ্রুম লেক সহ এখানে বাইরে সর্বত্র
জল জমে বরফ অথচ এই ঘেরা স্থানে জলাশয়ে জল রয়েছে জমেনি।
অনেকগুলি বিমান অবতরণের ক্ষেত্র রয়েছে।
হঠাৎ করে প্রবল তুষারপাত শুরু হওয়ায়
আমি এরিয়া ৫১ থেকে বেড়িয়ে দ্রুত আমার 'ত্রিলোক বিহারী ' যানে ফিরে এলাম ,এবারের মত তথ্যানুসন্ধান শেষ করে কিছু দিন বাদে আবার আসবো, তখন যেকোনো রকম ভাবেই হোক আমার তোলা
ছবি থেকে সব প্রাপ্ততথ্য রেকর্ডিং করে নিয়ে যাবো, যেটা
এবার সম্ভব হোল না।
No comments:
Post a Comment