Friday, 30 March 2018


 'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি আমার নাতিকে ভোলানোর জন্য তাকে ঘুম পাড়ানোর সময় আমার শৈশবে শোনা ও শেখা ছেলে ভোলানো ছড়া ও কবিতা গুলোই বলতাম যা  চিরন্তন  আজও সমাদৃত
আমি ভাবতাম আমিও কিছু শিশুদের ভোলানোর ছড়া কবিতা লিখবো--কিন্তু কিছুতেই মনস্থির করে লিখতে পারছিনামনা নানা কারণে,আমি তাই এক রকম তাড়াহুড়ো করে এক দিনেই কয়েক টা ছড়া কবিতা লিখ লাম আর ছবিগুলো আঁকলাম জানিনা পাঠক দের কেমন লাগবে?  কয়েক টা কিস্তিতে এগুলি প্রকাশ করছিমতামত জানালে বাধিত হব
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়


১)খোকনের সাজ
খোকন চলে,
দুলকি চালে,
হাতে নিয়ে ছাতা
রোদে জলে,
নাকাল হলে,
বাঁচাতে তার মাথা
খোকনবাবু সেজেছে,
ফুলধুতিটি পড়েছে,
কোঁচাটি হাতে ধরা
নতুন জুতা দিয়ে পায়,
খোকন সোনা ঐ যে যায়
 লাগছে  তাকে বড়ই নজর কাড়া


'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

২) মেনীর বিয়ে
আজকে রাতে,
চিলের ছাদে
মেনী বিড়ালের বিয়ে,
হুলোটা তাই,
সেজেছে ভাই,
টোপর মাথায় দিয়ে
ডাকছে ব্যাঙ,
গ্যাঙর গ্যাঙ
হয়েছে বরের সাথী
সঙ্গে ঝিঁ ঝিঁ,
ডাকছে চিঁ চিঁ
মাতবে সারা রাতি
পিঁপড়ে আর বোলতাতে,
আসছে  আসর জমাতে
সবাই  মিলে করবে মাতামাতি
আজকে সবাই বন্ধু, তাই,
কারও সাথেই  বিভেদ নাই,
আরশুলা বা ফড়িং, প্রজাপতি



























শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৩) ব্যাঙের বিয়ে
সোনা ব্যাঙের বিয়ে আজ,
তাইতো সরোগোল,
ঝিঁ ঝিঁ পোকা বাজায় বাঁশী
ইঁদুর বাজায় ঢোল
প্রজাপতি আনছে মালা,
শামুক বাজায় শাঁখ
কাঠবিড়ালী দিচ্ছে বিয়ে,
তাই তো এতো জাঁক
কাগা আর বগার পরে
খাওয়া দাওয়ার দায়,
কাঁকড়া আর গুগলি মিলে
আসর যে সাজায়
জোনাই নিলো আলোর ভার,
নেইকো অবসর
গুবরে চালায় বরের গাড়ি
 আজ সে তালেবর


'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৪) ফড়িং
দুটা ফড়িং,
তিড়িং বিড়িং
ঘাসের মাথায়,
লাফায় ঝাঁপায়
ফুরুৎ করে,
যায়যে উড়ে
ডালে ডালে
 হাসে খেলে
শিশুর দল,
হল পাগল
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৫) প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি,
কেনো এতো মাতামাতি?
ফুল থেকে ফুলে যাও
তুমিও কি মধু খাও?
ফুলের মাঝে থাকো তাই,
ফুলের মত ই দেখতে পাই
কত যে রং  বাহার!
তুলনা কি আছে তার?
তোমার রুপের বাহার,
ভেলভেট মানে হার
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৬) কাঠবিড়ালী
কাঠবিড়ালী ও কাঠবিড়ালী,
যাও গো কোথায় লেজটি তুলি?
লাফিয়ে বেড়াও গাছের ডালে,
লুকিয়ে খাও সু্যোগ পেলে
পাও ওদি পাকা ফল ,
খুশীতে হও চপল
সারা গায় ডোরা ডোরা,
দাগ কাটা লোমে ভরা
পেয়ারা খেতে ভালোবাসো?
তাই পেয়ারার গাছে আসো ?
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি শ্রীমতী সোমা মুখার্জীর নিকট কৃতজ্ঞ তিনি আমার এই ছড়া কবিতা গুলি সম্পাদনা   প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজন করে বাধিত করেছেন


৭) খোকা খুকুর মান ভাঙাতে
খুকুমণি খুকুমণি,
আর কেঁদোনা সোনামণি ,
তোমার জন্য মেলা থেকে,
এনে দেবো পুতুলখানি
খোকনসোনা খোকনসোনা,
অভিমানে আর কেঁদোনা
আজকে কিনে দেবোই তোমায়
টাকডুমাডুম ঢোলকখানা
টাক ডুমাডুম ঢোলক বাজে
পুতুল নাচে রুমুক ঝুম
খোকা খুকু হাত তালি দেয়,
দাদুর মনে খুশীর ধুম
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৮)'শিশুদের খেলা'
হাতে নিয়ে ঝুমঝুমি,
সোনামণি খেলে
খাওয়া দাওয়া যায় ভুলে,
খেলনা হাতে পেলে
হাতের  যা কিছু পায়
 ছুঁড়ে  ফেলাই খেলা
তারস্বরে বায়না করে
সয়না অবহেলা
ফেলে  দিয়ে হেসে ওঠে
খিল খিল করে
দাদুমনি দাও তুমি
এনে বারে বারে
এখনো  ফোটেনি কথা,
বলে  আধো স্বরে
এরি মাঝে তাক লাগানো
কাণ্ড কিছু করে
ইশারায় বোঝে সব
ইশারায় বলে,
থপ থপ পায়ে হাঁটে
চলে হেলে দুলে
মাঝে মাঝে দেয় ছুট
টল মল করে,
পড়ে গেলে কাঁদে নাকো
হাসে হি হি করে
গান গায় সুর করে
তালে তালে নাচে
এই হাসিমুখ দেখে
দাদুভাই বাঁচে
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৯) বাজনার মজলিশে
টাকডুমাডুম বাজছে ঢোল,
টন টনা টন কাঁশী,
ঝাঁপর ঝাঁপর ঝাঁঝর বাজে
পিঁই পিঁই সুরে বাঁশি
সারেগামা হারমোনিয়াম,
 ত্রেকেটে তাক  তবলা,
টুং টুং করে বাজছে সেতার
খোকন পেটায় গামলা

'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়


'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

১০) খোকার মাছ ধরা

খোকন সোনা ধরবে যে মাছ
ব্যাঙ ধরে তাই ছাতা
ইঁদুর হল পাহারাদার
দিচ্ছে টহল সেথা
মাছরাঙ্গাটা  মাছের লোভে
আসলো উড়ে ঝোপে,
দেখছে সবই মেনী বিড়াল
তা দিয়ে তার গোঁফে
১১) মেলাতে

টক টকা টক ব্যাগাডেলী,
রাস্তায় ভিড় ঠেলা ঠেলি
ঠেলতে ঠেলতে হাজির মেলায়,
হরেক মাল বিকছে সেথায়
কাঠের পুতুল, মাটির পুতুল,
তাই কিনতে সবাই আকুল
মেলায় ঘুরে খেতে মজা-
জিলাপী,পাঁপড়,বাদাম ভাজা
"""""""""""""""""''""''''''''"""""""''''''''''''''""''''''''''''''''''''''''"""""
১২) ফলার
ইঁদুর,বাঁদর,মেনী, হুলো,
গরু, মোষ, আর ছাগল গুলো,
এই গুলো পেলে বরতে যায়,
যা সব মানুষ ফলারে খায়
আম জাম কি পাকা কলা,
বাদাম,শশা,ভেজানো ছোলা,
চিঁড়ে, মুড়ি, খৈ,দৈ,
বাতাসা,কদমা, সন্দেশ কৈ?

শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩) আম পাড়া
খোকা  গেছে  আম পাড়তে ,
 দেখতে জমে লোক,
 ইয়াব্বড় আঁকশি নেছে,
টুলুক মুলুক চোখ
পাড়বে সে আম কেমন করে? 
 দাঁড়াতে শেখে নাই  ,
কোলে নিতে কোমর বেঁধে
তৈরি দাদুভাই
খোকন সোনা, দেখিস কি রে
চারিদিকে চেয়ে? 
আগেও বুঝি আম পেড়েছিস,
এমনি আঁকশি দিয়ে?

১৪) মেয়ে ভোলানো ছড়া
সোনার রানী দিদিমণি,
মোদের সবার আদরিণী
দুধ খেয়ে নাও তুমি
দেখবে কেমন   গাড়ি চড়ে
 তোমায় নিয়ে অনেক দূরে
বেড়ু যাব আমি
দুধ খেয়েছো? এইতো সোনা
আর কেঁদোনা আর কেঁদোনা
খাও গো বাদামভাজা
চলো এবার বেড়াতে যাই,
তুমি আমি ও দিদিভাই
করব অনেক মজা

১৫) ময়না দিদির বিয়ে
কোকিল,শালিক,টিয়ে,
আজ ময়না দিদির বিয়ে

ঢোল এসেছে,সানাইবেজেছে,
সাজো সাজো রব ঊঠেছে

গাধা দাদা গায়েন,
ভালুক সামলায় ভিয়েন,
ইঁদুর সাগরেদকে  নিয়ে,
শিয়াল পণ্ডিত দেন বিয়ে
'শিশু ভোলানো ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও
১৬)   খুকুমণির নাচশিক্ষা
ঝুমুর ঝুমুর
বাজছে নুপুর

খুকু মণি নাচে

তবলার বোল,
সাথে বাজে খোল,
অন্য বাজনাও আছে

ভারত নাট্টম, কথাকলি,
ওডিসি কি সাঁওতালী?
সব  নাচ ই সে নাচে

রবীন্দ্র সঙ্গীত বাঊল গানে,
ছৌ থেকে বিহুর টানে,
ডাণ্ডিয়া, গরবা জানা আছে

ডিস্কো কি ব্রেক ডান্স?
সালসাতেও নিচ্ছে চান্স,
সব রকম  শিখতে  হবে

পুরানো সেই নাচের ধরন,
সে সব আর চলেনা এখন

যুগের চাহিদা মানলেই রবে

১৭) টুন টুনি লো টুন টুনি
টুন টুনি আর টুন টুনা,
আছে এরা দুই জনা

ফুরুত ফুরুত করে,
চার পাশে্তে ওড়ে

সাথে সে লেজটি নাড়ায়,
খুটে খুটে কি যে খায়?
ছোটো পোকা মাকড় হবে,
খোঁজে গাছে ফুলের টবে

টুনটুনি আর রাজা কাহিনী,
আমরা তা কেনা জানি?
রাজা খায় ব্যাঙ ভাজা,
গল্প শুনে  পাই মজা

এসব গল্প শুনলে এখন ,
শিশুদের আর ভরেনা মন

গল্পের মধ্যে শিহরণ চাই,
মারামারি থাকবে তাই

টুন টুনির গল্প চির নুতন,
মোদের কাছে অমুল্য ধন

১৮) চড়ুই এর চোর ধরা
গৃহস্থের  এক ঘরের পরে,
চড়ুই পাখী  বাসা করে

শস্য দানা যা কিছু পায়,
খুটে খুটে সব ই খায়

একদিন রাত দুপুরে,
চোর ঢোকে সেই ঘরে

 জিনিস পত্র সব গোছ করে,
চোর ব্যাটা এক বস্তায় ভরে

চড়ুই  কাণ্ড দেখার পরে,
মনে ভেবে সে স্থির করে

আটকাতেই হবে এই চুরি,
করবে সে কিছু তাড়াতাড়ি

চড়ুই যায় তাই রান্না ঘরে,
বাসন থাকে তাকের পরে

ডানার ঝাপ্টায় ফেললো থালা,
ঝন ঝনিয়ে কান ঝালা পালা

ধড় মড়িয়ে সবাই ওঠে,
চোরের চুরি ঊঠলো লাটে

সবাই উঠে দেখে তখন,
চোর দাঁড়িয়ে স্ট্যাচুর মতন

সবাই হকচকিয়ে যায়,
কি কাণ্ড ঘটছিলো হায়!
চোর দাঁড়িয়ে শোবার ঘরে,
রান্না শালে বাসন পড়ে?
কে ফেললো বাসন সেথা?
চোর ব্যাটাতো দাঁড়িয়ে হেথা

দেখে চড়ুই ওড়ে রান্না ঘরে,
ফেলছে বাসন ডানায়  করে

বুঝলো এটা চড়ুই করেছে,
ঘরের চুরি সেই আটকেছে

চোর ব্যাটা পড়লো ধরা,
বাড়ির সবাই আত্ম হারা

চড়ুই হোলো চোখের মণি,
আদর করেন গৃহস্বামী


""""""""""""""""""'"""""""""""""""""""""""""""""""'""""
'শিশুদের জন্য
কিছু বিশেষ ছড়া ' তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
**********************************
কিছু মজার ছড়া
***********************************
শিশুদের লাগে ভালো
 তাই ওদের মাঝে থাকি,
 এই ছড়া গল্প গুলো,
ওদের জন্য সব আঁকি


******************

*******************
কিছু মজার ছড়া
আয় রে ভুলো ,তুলো তুলো,
কান দুটি তার ,ঝুলো ঝুলো
মোদের খোকন, খেলবে এখন,
সেই তো সাথী  মনের মতন
বলটা যখন ছুঁড়ে ফেলে,
হেসে ওঠে তা এনে দিলে
তাই ছোঁড়ে সে বারে বারে ,
ভুলো এনে দেয় মুখে করে
********************
বাঘ মামা চালায় গাড়ি,
ভাগ্নে শেয়াল সওয়ারী,
ভালুক ভায়া খরিদ্দার,
ইঁদুর রাম যে ব্যাপারী
*******************
কাকাতুয়া যাচ্ছে কোথায়?
সাথে রয়েছে টিয়া !
ফিঙ্গে নিয়েছে খোল করতাল,
টুনটুনি দির বিয়া?
*****************
*******************
শিশুদের প্রশ্নোত্তরের নানা প্রতিযোগীতার খেলায়, (লেখায় আর ছবিতে দু দিকে মেলানোর জন্য)সাধারণ জ্ঞান নিয়ে যে ধরণের প্রশ্ন করা হয় তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে' এবার লিখলাম কিছু ছড়া,লাগলে ভালো আরো আমি লিখবো এমনধারা'
১) কার বাস কোথায়? (বাস স্থান চিহ্নিত করণ )
বাঘ থাকে জঙ্গলে,
কুমীর থাকে নদীতে
পেঁচার বাস কোটরেতে,
মানুষ  থাকে ঘরেতে
গর্তে সাপ ইঁদুরের বাস,
জলাশয়ে মাছের চাষ
বাদুর ঝোলে গাছের ডালে,
হাঙর থাকে গভীর জলে
পাখীরা অনেকে বানায় বাসা,
মৌমাছিদের চাক টি খাসা!

**************************
২) কার শক্তি কে যোগায়? (শক্তির উৎস নির্ধারণ )
জ্বালানী গ্যাস লাগে গ্যাস উনান কে জ্বালতে,
পেট্রোল, ডিজেল চাই মোটর গাড়ী  চালাতে
কেরোসিন তেলে স্টোভ, হ্যারিকেন জ্বলছে,
জ্বালানী হিসাবে কাঠ ,কয়লার ব্যবহার চলছে
টর্চ, মোবাইল, এ সবেতে লাগে নানান ব্যাটারী,
পাখা, টিভি,ফ্রিজ ,এসিতে বিদ্যুৎ অতি জরুরী
প্রচলিতশক্তির যোগান ভাণ্ডার দিন দিন কমছে,
বিকল্প শক্তির  উৎস সন্ধান তাই নিয়ত চলছে
সুর্য্যালোকের সৌরশক্তি ব্যবহার তাই বাড়ছে,
অচিরাচরিত শক্তি হিসাবে প্রাধান্য পেয়েছে
*******************************
৩) কোন খেলা কিসে হয়? (কোন খেলার সাথে কার যোগ/সমন্ধ আছে?)
ফুটবল খেলা হয়   চামড়ার বলেতে ,
 ফেদারকর্ক লাগে ব্যাডমিন্টন খেলাতে
কাঠের স্টিক আর ছোট বলে হয় হকি খেলা,
ক্যাম্বিসের বল প্রয়োজন  লন টেনীসের বেলা
টেবিলটেনীস খেলতে হলে টেবিলের প্রয়োজন,
হাল্কা ছোট প্লাস্টিকের বল  তাই লাগে যে তখন
ক্রিকেট খেলাটা হয় ডিউস বলে, আর কাঠের ব্যাটেতে,
ক্রিকেট,হকি, ফুটবল খেলা হয় খোলা বাইরের মাঠেতে
লুডো,তাস, দাবা, ক্যারাম যেমন ঘরের মধ্যে হয়,
টেনিস খেলা,সাঁতার, জিমনাস্টিক এর ব্যতিক্রম নয়
**************************************
৪) কার পথ কোন টা? (কোন যানবাহন কোথায় চলে?)
ট্রেণ ,ট্রাম লাইনে চলে,
  বাস ট্রাক রাস্তায়
 নৌকা,জাহাজ,চলে জলে,
বিমান আকাশেতে ধায়
মহাশূণ্যে  মহাকাশ যান,
দেয় অন্তঃরীক্ষে পাড়ি,
জলের নীচে ডুবো জাহাজ
একথা বলতে পারি
****************************************
*******************
সাধারণ জ্ঞান নিয়ে এবার লিখলাম কিছু ছড়া,
লাগলে ভালো তবেই আমি লিখবো এমনধারা

১)ঋতুর বৈচিত্র,
গ্রীষ্ম কালে প্রচণ্ড তাপ,
বর্ষায় বাদল ধারা ঝরে
শরতে রোদ বৃষ্টির খেলা,
হেমন্তে  শিশির পড়ে
শীতে কাঁপে বন বনান্ত
ধরণী হন রিক্তা
বসন্তে শিমুল পলাশ
আবীর ফাগে সিক্তা
গ্রীষ্মকালে হয় গঙ্গা পুজা ,
বর্ষায় রথ , অম্বুবাচী
শরতে মোদের দুর্গাপুজা
হেমন্তে দীপাবলির বাজি
শীতেতে পিঠা পার্বন,
গঙ্গাসাগরে হয় মেলা,
বসন্তে বাগদেবীর পুজা,
 আনন্দে হোলি খেলা
*********************

২) কার বাস কোথায়?
বাঘ থাকে জঙ্গলে,
কুমীর থাকে নদীতে

পেঁচার বাস কোটরেতে,
মানুষেরা  থাকে ঘরেতে

গর্তে সাপ ইঁদুরের বাস,
জলাশয়ে মাছের চাষ

বাদুর ঝোলে গাছের ডালে,
হাঙর থাকে গভীর জলে

 অনেক পাখী বানায় বাসা,
মৌমাছিদের চাকটি খাসা!
**************************
৩) কার শক্তি কে যোগায়?
জ্বালানী গ্যাস লাগে গ্যাস উনান কে জ্বালতে,
পেট্রোল, ডিজেল চাই মোটর সাইকেলেতে

কেরোসিন তেলে স্টোভ, লম্ফ, হ্যারিকেন জ্বলছে,
জ্বালানী হিসাবে কাঠ ,কয়লা  এখন ও চলছে

টর্চ, মোবাইল, এ সবেতে লাগে নানান ব্যাটারী,
পাখা, টিভি,ফ্রিজ ,এসিতে বিদ্যুৎটা  জরুরী

প্রচলিতশক্তির ভাণ্ডার দিন দিন কমছে,
বিকল্প শক্তির  সন্ধান তাই নিয়ত চলছে

সুর্য্যালোকের সৌরশক্তি ব্যবহার  বেড়েছে,
অচিরাচরিত শক্তি তাই প্রাধান্য পেয়েছে

*******************************
৪) কোন খেলা কিসে হয়?
ফুটবল খেলা হয়  সদাই চামড়ার বলেতে ,
পালকশোলার তৈরী কক ব্যাটমিন্টন খেলাতে

কাঠের স্টিক আর ছোট বলে  হকি খেলা,
ক্যাম্বিসের বল প্রয়োজন টেনীসের বেলা

টেবিলটেনীস খেলতে  টেবিলের প্রয়োজন,
হাল্কা ছোট প্লাস্টিকের বল ও লাগে  তখন

  ক্রিকেট খেলার বল ডিউস নামে পরিচিত
 আর কাঠের ব্যাট টাও উইলোকাঠে বিখ্যাত,
ক্রিকেট,হকি, ফুটবল খেলা হয় মাঠেতে

উপর দিক খোলা থাকে উন্মুক্ত আকাশেতে

লুডো,তাস, দাবা, ক্যারাম  ঘরের মধ্যে হয়,
টেনিস ,সাঁতার, জিমনাস্টিক এর ব্যতিক্রম নয়

**************************************
৫) কার পথ কোন টা?
ট্রেণ ,ট্রাম, লাইনেতে চলে,
 মোটর, বাস চলে রাস্তায়

জলে নৌকা,জাহাজ, চলে,
বিমান আকাশ পথে ধায়

মহাশূণ্যে মহাকাশ যান,
দেয় অন্তঃরীক্ষে পাড়ি,
জলের নীচে ডুবো জাহাজ
একথা বলতে পারি

****************************************

৬) কোন প্রাণী কি প্রকার?
বিড়াল,কুকুর,গরু,ছাগল,
গৃহ পালিত জন্তু

বাঘ,ভাল্লুক,সিংহ,শিয়াল,
বন্য প্রাণী কিন্তু!
বন্য প্রাণী যায়না পোষা,
বিধি নিষেধ আছে,
পশু পাখী মারাও অপরাধ,
দোষী আইনের কাছে

সকল পাখী যায়না পোষা,
তার নিয়ম কানুন আছে

প্রকৃতির জীব  প্রকৃতির  মাঝে
ভালো ভাবেই বাঁচে

বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীদেরকে
রক্ষা করতেহবে,
সবাই যদি সচেতন হয়,
তবেই রক্ষা পাবে

************************************************
পাখির বাসা গাছের ডালে,
মাছ থাকে খালে বিলে

মানুষ বানায় থাকার ঘর

হনুমান থাকে গাছের উপর

ইঁদুর,সাপ থাকে মাটির গর্তে,
পেঁচার বাস গাছের কোটরেতে

বন্য প্রাণীরা থাকে জঙ্গলে,
হাঙর, তিমি সাগর জলে

***********************************************
লাইন ধরে ট্রেণ ধায়,
রাস্তায় যানবাহন যায়

কিছু যান বাহন জলে চলে,
ডুবোজাহাজ জলের তলে

উড়োজাহাজ আকাশ পথে,
মহাকাশ যান যায় মহাকাশেতে

*****************

No comments:

Post a Comment