পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
নীতি উপদেশের গল্প মানেই গল্পের কথার মাধমে
নীতি শিক্ষা প্রদান ।
এগুলি
কথায় আর ছড়ায় নিবেদন করার চেষ্টা করেছি যাতে শিশুদের ভালো লাগে এটা আমার নিছক একটা
খেয়াল,
ভালো লাগলে খুশী হব।ক্রমশঃ
প্রকাশিত হবে প্রচলিত কাহিনী গুলো।
১)বিশ্বস্ত বেজী

এক গ্রামে এক কৃষক তার স্ত্রী আর ছোট্ট শিশুকে নিয়ে এক কুঠিরে বাস করত।
একদিন সেই কৃষক মাঠে চাষ করতে যায়,
বিকালে ফেরার পথে এক বেজীর ছানা পায় ।
আদরকরে স্নেহ ভরে নিয়ে আসে তারে,
স্ত্রীকে বলে পুষবো এটা রাখবো যতন করে।
স্ত্রী দেখে খুশী হয় তার এক শিশু ছিলো ঘরে,
দোলনায় দোল খায় আর শুয়ে খেলা করে।
কৃষকেরস্ত্রী ভাবে ভালোই হোলো বেজীটা তার ছেলেকে দেখা শোনা করবে আগলাবে যাতে বাইরের কোনো পোকা মাকড় সাপ কোপ না আসে,এটা ঘরের বাড়তি জিনিস খেয়েই পালিত হবে।
একদিন কৃষকেরস্ত্রী তার স্বামীকে বলল ঘরে দোলনায়ছেলেটা ঘুমাচ্ছে বেজীটা ঘরে আছে আমি একটু দোকান বাজার নিয়ে এখুনী আসছি ।
খানিক বাদে কৃষকের বউ ঘরে ফিরে দেখে,
বেজীর ছানা দুয়ারে বসে তার রক্ত মাখা মুখে।
ভাবলো মনে হায় হায় ছেলেকে মেরেছে বেজী,
রক্তে তাই মুখে লেগেছে এটা হতচ্ছাড়া পাজী।
লাঠি দিয়ে সে তখন বেজি টাকে মারে,
উর্দ্ধশাসে গিয়ে ঢোকে ঘরের ভিতরে।
দেখে ঘরে আছে পড়ে বিষধরেরদেহ,
রাগে তারে ছিন্নভিন্ন করিয়াছে কেহ ।
শিশু তার আনন্দে খেলিছে দোলায়,
খণ্ড খণ্ড সাপের রক্তে ঘর ভেসে যায়।
চাষী বৌ তখন নিজের ভুল বুঝতে পারে,
বুঝিলো বেজী ই বাঁচিয়েছে তাহার শিশুরে।
রাগের মাথায় সে কাণ্ড জ্ঞান হারিয়ে কি ভুল করেছে বুঝে চাষী বৌ আফশোষ করে কাঁদতে লাগলো, কিন্তু কি আর হবে?বেজীটিকে সে নিজেই মেরে ফেলেছে।
নীতি ঃ ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নইলে পরে পস্তাতে হয়।
১)বিশ্বস্ত বেজী

এক গ্রামে এক কৃষক তার স্ত্রী আর ছোট্ট শিশুকে নিয়ে এক কুঠিরে বাস করত।
একদিন সেই কৃষক মাঠে চাষ করতে যায়,
বিকালে ফেরার পথে এক বেজীর ছানা পায় ।
আদরকরে স্নেহ ভরে নিয়ে আসে তারে,
স্ত্রীকে বলে পুষবো এটা রাখবো যতন করে।
স্ত্রী দেখে খুশী হয় তার এক শিশু ছিলো ঘরে,
দোলনায় দোল খায় আর শুয়ে খেলা করে।
কৃষকেরস্ত্রী ভাবে ভালোই হোলো বেজীটা তার ছেলেকে দেখা শোনা করবে আগলাবে যাতে বাইরের কোনো পোকা মাকড় সাপ কোপ না আসে,এটা ঘরের বাড়তি জিনিস খেয়েই পালিত হবে।
একদিন কৃষকেরস্ত্রী তার স্বামীকে বলল ঘরে দোলনায়ছেলেটা ঘুমাচ্ছে বেজীটা ঘরে আছে আমি একটু দোকান বাজার নিয়ে এখুনী আসছি ।
খানিক বাদে কৃষকের বউ ঘরে ফিরে দেখে,
বেজীর ছানা দুয়ারে বসে তার রক্ত মাখা মুখে।
ভাবলো মনে হায় হায় ছেলেকে মেরেছে বেজী,
রক্তে তাই মুখে লেগেছে এটা হতচ্ছাড়া পাজী।
লাঠি দিয়ে সে তখন বেজি টাকে মারে,
উর্দ্ধশাসে গিয়ে ঢোকে ঘরের ভিতরে।
দেখে ঘরে আছে পড়ে বিষধরেরদেহ,
রাগে তারে ছিন্নভিন্ন করিয়াছে কেহ ।
শিশু তার আনন্দে খেলিছে দোলায়,
খণ্ড খণ্ড সাপের রক্তে ঘর ভেসে যায়।
চাষী বৌ তখন নিজের ভুল বুঝতে পারে,
বুঝিলো বেজী ই বাঁচিয়েছে তাহার শিশুরে।
রাগের মাথায় সে কাণ্ড জ্ঞান হারিয়ে কি ভুল করেছে বুঝে চাষী বৌ আফশোষ করে কাঁদতে লাগলো, কিন্তু কি আর হবে?বেজীটিকে সে নিজেই মেরে ফেলেছে।
নীতি ঃ ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নইলে পরে পস্তাতে হয়।
পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
নীতি উপদেশের গল্প মানেই গল্পের কথার মাধমে
নীতি শিক্ষা প্রদান ।
এগুলি
কথায় আর ছড়ায় নিবেদন করার চেষ্টা করেছি যাতে শিশুদের ভালো লাগে এটা আমার নিছক একটা
খেয়াল,
ভালো লাগলে খুশী হব।ক্রমশঃ
প্রকাশিত হবে প্রচলিত কাহিনী গুলো।
২) বানর আর কুমীর
২) বানর আর কুমীর
এক দেশে নদীর পাড়ে একটা বড় জামরুল গাছ ছিলো, তাতে বাস করত এক বানর, আর ঐ নদীর জলে ছিলো এক কুমির যার সাথে বানরের ছিলো খুউব ভাব। বানর গাছের জামরুল আর নানা রকম ফল এনে দিত কুমির টাকে। কুমির তাই খেতো আর মাঝে মধ্যে তার বউএর জন্য নিয়ে যেতো।কুমিরের বউ ছিলো খুউব লোভী সে ভাবত যে প্রানী রোজ এত সুন্দর সুন্দর ফল খায়,তার কলিজা র স্বাদ নিশ্চয় আরো সুস্বাদু , সেটা খাওয়ার জন্য ভীষণ লোভ হয়।
সে কুমির কে অনুরোধ করে,
যাও বন্ধুকে হেথা আনো ধরে।
কুমির প্রথমে রাজী না হলেও বউ এর পীড়া পীড়ী তে রাজি হতে বাধ্য হয়।সে যায় নদী তীরে বানরকে ভুলিয়ে নিয়ে আসতে সে নদীর পাড়ে জামরুল গাছের নীচে যায় আর বানর কে বলে
হে বন্ধু মোর স্ত্রী রোজ তোমার কথা বলে,
সে ভীষন খুশী হয় তোমার দেওয়া ফলে ।
সে কৃতজ্ঞ তাই তোমাকে করেছে নিমন্ত্রণ,
তোমাকে খাওয়াবে করে তার স্বহস্তের রন্ধন।
বানর শুনে খুশী হয়, রাজী হয় যেতে,
উঠে বসে সাগ্রহে বানরের পীঠেতে।
কিছুটা গিয়ে পেটের কথা চাপতে না পেরে,
কুমির বানরকে দেয় বলে সব সবিস্তারে ।
শুনে বানর না ঘাবরে গিয়ে কুমির কে বুদ্ধি করে বলে।
হায় রে আমাকে একথা আগে বলতে হয়,
আমার কলিজা যে গাছে টাঙ্গানো রয়।
ওটা আনতে তো সে গাছে যেতে হবে।
গাছের বাইরে আমাকে বেরুতে হয় যখন,
কলিজা গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখি তখন।
বানর কুমিরকে বলে চলো বন্ধু তা হলে ওটা গাছ থেকে নিয়ে আসি, বন্ধুর স্ত্রী যখন ওটা খেয়ে দেখতে চেয়েছে তার এতো বাসনা সেটা রাখতেই হয়।কুমির বানরের কথা বিশ্বাস করে।
বানরের কথায় কুমির ফেরে নদীর পাড়ে,
লাফ মেরে বানর ওঠে গাছের ওপরে।
গাছের উপর উঠে বানর বলে কুমির ভাই,
স্ত্রীকে গিয়ে বোলো এত লোভ করতে নাই।
নীতি কথা ঃ লোভকে প্রশ্রয় দিতে নেই ।(লোভকে দিলে প্রশয়,শেষে ঠকতে হয় )
৩)নীল নেকড়ে
এক জঙ্গলে ছিলো এক ধুর্ত নেকড়ে,
সারাদিন শিকারের লাগি জঙ্গলে ঘোরে।
মন্দ ভাগ্য সারাদিনে খাদ্য নাহি পায়,
ক্ষুদার্থ নেকড়ে তখন লোকালয়ে যায়।
দেখিয়া নেকড়েকে কুকুরেরা করে তাড়া,
ভয়েতে দৌড়ায় নেকড়ে তখন দিশাহারা।
তাড়াহুড়ো করে ঢোকে এক রঞ্জকের ঘরে,
নীল গোলা গামলায় সে গিয়ে পড়ে,
নীল রং এ চুবে সে তায় নীলবর্ণ ধরে।
চেনার উপায় নেই সে ছিলো নেকড়ে,
জঙ্গলে ফিরে দেখে সবে পায় ভয়,
এমন বর্ণের জীব সেথা কভু নাহি রয়।
নেকড়ে ছিলো বুদ্ধিমান বিষয় টা বোঝে,
জঙ্গলের রাজা হওয়ার ফন্দি সে খোঁজে।
সব জন্তুকে ডেকে বলে শোন হে সকলে,
তোমাদের ত্রাণের লাগি এসেছি এই জঙ্গলে।
ইশ্বর প্রেরীত দুত আমি নির্দেশ তাহার,
এ জঙ্গলের রাজা আমি দায়িত্ব আমার।
আজি হতে তোমরা মোর খাদ্য দিয়ে যাবে,
তবেই এ জঙ্গলে তোমরা নিরাপদে রবে।
সব জন্তু ভয়ে ভয়ে প্রস্তাব নিলো মেনে,
জঙ্গলের রাজা হয়ে সে থাকিলো সেখানে।
একদিন জঙ্গলে নেকড়ে বসে রাজ সভায়,
সমবেত নেকড়ের ডাক তার কানে যায়।
এই ডাক শুনে তার হয় পুলকিত মন,
মনের সুখে সেও ডেকে ওঠে যে তখন ।
স্বর শুনে তখন সবে তাকে ফেলে ধরে,
নীল বেশে থাকলেও এ ব্যাটা নেকড়ে।
সব জন্তু একসাথে করে তাকে তাড়া,
নেকড়ে আতঙ্কে দ্রুত হয় স্থান ছাড়া
নীতিকথা ঃ যা নই আমরা তা দেখাতেনেই কখনো (আমরা নইকো যা কখনই দেখাবো না তা )
৩)নীল শেয়াল

এক জঙ্গলে এক ধুর্ত শেয়াল ছিলো
সারাদিনটা তার শিকারের খোঁজে গেলো।
মন্দ ভাগ্য সারাদিনে খাদ্য নাহি পায়,
ক্ষুদার্থ শেয়াল তখন লোকালয়ে যায়।
দেখিয়া শেয়ালকে কুকুরে করে তাড়া,
ভয়েতে দৌড়ায় শেয়াল তখন দিশাহারা।
তাড়াহুড়ো করে ঢোকে এক রঞ্জকের ঘরে,
নীল গোলা গামলায় সে গিয়ে পড়ে,
নীল রং এ চুবে সে তায় নীলবর্ণ ধরে।
চেনা যায়না সে শেয়াল ছিলো যেরে
জঙ্গলে ফিরে দেখে সবে পায় ভয়,
এমন বর্ণের জীব সেথা কভু নাহি রয়।
নেকড়ে ছিলো বুদ্ধিমান বিষয় টা বোঝে,
জঙ্গলের রাজা হওয়ার ফন্দি সে খোঁজে।
সব জন্তুকে ডেকে বলে শোন হে সকলে,
তোমাদের ত্রাণের লাগি এসেছি এই জঙ্গলে।
ইশ্বর প্রেরীত দুত আমি, নির্দেশ তাহার,
এ জঙ্গলের রাজা আমি দায়িত্ব আমার।
আজি হতে তোমরা মোর খাদ্য দিয়ে যাবে,
তবেই এ জঙ্গলে তোমরা নিরাপদে রবে।
সব জন্তু ভয়ে ভয়ে প্রস্তাব নিলো মেনে,
জঙ্গলের রাজা হয়ে সে থাকিলো সেখানে।
একদিন জঙ্গলে শেয়াল বসে রাজ সভায়,
সমবেত শেয়ালের ডাক তার কানে যায়।
এই ডাক শুনে তার হয় পুলকিত মন,
মনের সুখে সেও ডেকে ওঠে যে তখন ।
স্বর শুনে তখন সবে তাকে ধরে ফেলে ,
নীল বেশে থাকলেও এ শেয়াল আসলে।
সব জন্তু একসাথে করে তাকে তাড়া,
শেয়াল আতঙ্কে দ্রুত হয় স্থান ছাড়া
নীতিপোদেশঃ যা নই আমরা তা দেখাতে নেই কখনো (নইকো যা কখনই দেখাবো না তা )
৪)বুদ্ধিমান কাক
গ্রীষ্মের প্রখর তাপ শুষ্ক চারিপাশ,
জলের চিহ্ননেই কিভাবে মিটিবে তিয়াস?
তৃষ্ণার্ত কাক ফেরে জলের সন্ধানে,
কোথাও না পেয়ে ফেরে বিষন্ন মনে।
হঠাৎ নজরে আসে এক পরিতক্ত কলস,
জলের আশায় ত্বরা সেথা যায় বায়স ।
উঁকি মেরে দেখে কাক কলসির ভিতরে,
সামান্য তলানী জল আছে সেথা যেরে।
কলসের মধ্যে ঢোকা অসাধ্য তার কাছে,
কেমনে খাইবে জল ভাবে কি উপায় আছে?
ভেবে চিন্তে কাক করে এক উপায় করেবার,
ছোট ছোট ইঁট নুড়ির টুকরো করে সে জোগার।
ঠোঁটে নিয়ে এক এক করে কলসেতে ফেলে,
জমে জমে নুড়ি সেথায় জল উপরেতে ঠেলে।
কলস নুড়িতে ক্রমে হয়ে আসে ভর্তি,
জল ওঠে কানার কাছে কাকের দারুন ফুর্তি।
তখন কাক আশ মিটিয়ে সেইজল খায়,
এইভাবে তৃষ্ণার্ত কাক তার তৃষ্ণা মেটায়।
এই গল্পের নীতি কথা ‘বুদ্ধি ‘হোলো সার,
থাকিলে উপস্থিত বুদ্ধি ঠিক উপায় হবে বার।
সারাদিনটা তার শিকারের খোঁজে গেলো।
মন্দ ভাগ্য সারাদিনে খাদ্য নাহি পায়,
ক্ষুদার্থ শেয়াল তখন লোকালয়ে যায়।
দেখিয়া শেয়ালকে কুকুরে করে তাড়া,
ভয়েতে দৌড়ায় শেয়াল তখন দিশাহারা।
তাড়াহুড়ো করে ঢোকে এক রঞ্জকের ঘরে,
নীল গোলা গামলায় সে গিয়ে পড়ে,
নীল রং এ চুবে সে তায় নীলবর্ণ ধরে।
চেনা যায়না সে শেয়াল ছিলো যেরে
জঙ্গলে ফিরে দেখে সবে পায় ভয়,
এমন বর্ণের জীব সেথা কভু নাহি রয়।
নেকড়ে ছিলো বুদ্ধিমান বিষয় টা বোঝে,
জঙ্গলের রাজা হওয়ার ফন্দি সে খোঁজে।
সব জন্তুকে ডেকে বলে শোন হে সকলে,
তোমাদের ত্রাণের লাগি এসেছি এই জঙ্গলে।
ইশ্বর প্রেরীত দুত আমি, নির্দেশ তাহার,
এ জঙ্গলের রাজা আমি দায়িত্ব আমার।
আজি হতে তোমরা মোর খাদ্য দিয়ে যাবে,
তবেই এ জঙ্গলে তোমরা নিরাপদে রবে।
সব জন্তু ভয়ে ভয়ে প্রস্তাব নিলো মেনে,
জঙ্গলের রাজা হয়ে সে থাকিলো সেখানে।
একদিন জঙ্গলে শেয়াল বসে রাজ সভায়,
সমবেত শেয়ালের ডাক তার কানে যায়।
এই ডাক শুনে তার হয় পুলকিত মন,
মনের সুখে সেও ডেকে ওঠে যে তখন ।
স্বর শুনে তখন সবে তাকে ধরে ফেলে ,
নীল বেশে থাকলেও এ শেয়াল আসলে।
সব জন্তু একসাথে করে তাকে তাড়া,
শেয়াল আতঙ্কে দ্রুত হয় স্থান ছাড়া
নীতিপোদেশঃ যা নই আমরা তা দেখাতে নেই কখনো (নইকো যা কখনই দেখাবো না তা )
৪)বুদ্ধিমান কাক
গ্রীষ্মের প্রখর তাপ শুষ্ক চারিপাশ,
জলের চিহ্ননেই কিভাবে মিটিবে তিয়াস?
তৃষ্ণার্ত কাক ফেরে জলের সন্ধানে,
কোথাও না পেয়ে ফেরে বিষন্ন মনে।
হঠাৎ নজরে আসে এক পরিতক্ত কলস,
জলের আশায় ত্বরা সেথা যায় বায়স ।
উঁকি মেরে দেখে কাক কলসির ভিতরে,
সামান্য তলানী জল আছে সেথা যেরে।
কলসের মধ্যে ঢোকা অসাধ্য তার কাছে,
কেমনে খাইবে জল ভাবে কি উপায় আছে?
ভেবে চিন্তে কাক করে এক উপায় করেবার,
ছোট ছোট ইঁট নুড়ির টুকরো করে সে জোগার।
ঠোঁটে নিয়ে এক এক করে কলসেতে ফেলে,
জমে জমে নুড়ি সেথায় জল উপরেতে ঠেলে।
কলস নুড়িতে ক্রমে হয়ে আসে ভর্তি,
জল ওঠে কানার কাছে কাকের দারুন ফুর্তি।
তখন কাক আশ মিটিয়ে সেইজল খায়,
এইভাবে তৃষ্ণার্ত কাক তার তৃষ্ণা মেটায়।
এই গল্পের নীতি কথা ‘বুদ্ধি ‘হোলো সার,
থাকিলে উপস্থিত বুদ্ধি ঠিক উপায় হবে বার।
পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
শেয়ালের তোষামোদে কাক ভুলে যায়,খুশি মনে সে তখন গান শোনাতে চায়।
শোনাতে গান কাক যেই ঠোঁট ফাঁক করে,
টুপুস করে মাংস খণ্ড মুখ থেকে যায় পড়ে।
ধুর্ত শেয়াল ছিলো তলায় এই মাংসের আশায়,
পড়লে নীচে তক্ষুনী সে এটা নিয়ে পালায়।
আমরা জানি দম্ভ ই হ’ল সব পতনের মুলে,
কোন অবস্থাতেই যেন কখনো না যাই ভুলে।
৬)আঙুর ফল টক

শেয়াল দেখে থোকায় থোকায় আঙুর আছেঝুলে,
শেয়াল গেলো আঙুর ক্ষেতে আঙুর খাবে বলে।
পারতে আঙুর থোকার পানে মারলো লাফ শিয়াল,
নাগাল সে পেলোনা কিছুতে এমন পোড়া কপাল।
বার কয়েক চেষ্টা করে যখন বিফল হোলো,
শিয়ালবলে সব টোকো আঙুরকেঊ খায়না এইগুলো।
টোকো বলেইএমন আঙুর গাছে ঝুলে আছে,
ভুলেও কেঊ খেয়োনাকো এসোনা এর কাছে।
৭)লোভী কুকুর

মাংস খণ্ড মুখে নিয়ে লোভী এক কুকুর,
নদী পেরুনোর তরে ওঠে সেতুর উপুড়।
মাঝখানে গিয়ে দেখে সে নদী পানে চেয়ে,
হুবহু আর একটি কুকুর আছে মাংস মুখে নিয়ে।
আসলে নদীর জলে তার ই ছায়া পড়ে ছিলো,
সেটাকেই আসল কুকুর ভেবে করে ছিলো।
লোভী কুকুর ছায়ার মুখে মাংস খণ্ড দেখে,
কেড়ে নেবার তরে ঊঠলো সে রুখে।
ঘেঊ ঘেউ করে জলে সে ঝাঁপ দিতে যায়,
মুখ থেকে মাংস খণ্ড পড়ে নদীতে মিলায়।
এবার কুকুর তার ভুল বুঝতে পারে,
মনে মনে নির্বুদ্ধিতায় আফশোষ করে।
অতিলোভে সব পণ্ড হয়,
নিজের টুকু নিয়েই সুখে যেন রয়।
পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

মাংস খণ্ড মুখে নিয়ে লোভী এক কুকুর,
নদী পেরুনোর তরে ওঠে সেতুর উপুড়।
মাঝখানে গিয়ে দেখে সে নদী পানে চেয়ে,
হুবহু আর একটি কুকুর আছে মাংস মুখে নিয়ে।
আসলে নদীর জলে তার ই ছায়া পড়ে ছিলো,
সেটাকেই আসল কুকুর ভেবে করে ছিলো।
লোভী কুকুর ছায়ার মুখে মাংস খণ্ড দেখে,
কেড়ে নেবার তরে ঊঠলো সে রুখে।
ঘেঊ ঘেউ করে জলে সে ঝাঁপ দিতে যায়,
মুখ থেকে মাংস খণ্ড পড়ে নদীতে মিলায়।
এবার কুকুর তার ভুল বুঝতে পারে,
মনে মনে নির্বুদ্ধিতায় আফশোষ করে।
অতিলোভে সব পণ্ড হয়,
নিজের টুকু নিয়েই সুখে যেন রয়।
পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
নীতি উপদেশের গল্প মানেই গল্পের কথার মাধমে
নীতি শিক্ষা প্রদান ।
এগুলি
কথায় আর ছড়ায় নিবেদন করার চেষ্টা করেছি যাতে শিশুদের ভালো লাগে এটা আমার নিছক একটা
খেয়াল,
ভালো লাগলে খুশী হব।ক্রমশঃ
প্রকাশিত হবে প্রচলিত কাহিনী গুলো।
৮)খরগোশ আর কচ্ছপ

৮)খরগোশ আর কচ্ছপ

পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
নীতি উপদেশের গল্প মানেই গল্পের কথার মাধমে
নীতি শিক্ষা প্রদান ।
এগুলি
কথায় আর ছড়ায় নিবেদন করার চেষ্টা করেছি যাতে শিশুদের ভালো লাগে এটা আমার নিছক একটা
খেয়াল,
ভালো লাগলে খুশী হব।ক্রমশঃ
প্রকাশিত হবে প্রচলিত কাহিনী গুলো।
৮)খরগোশ আর কচ্ছপ
জঙ্গলে ছিলো কচ্ছপ আর খরগোশের বাস,
ধীর গতির কচ্ছপ তাই সবে করে উপহাস।
সবার মাঝে করতে হেয়ো খরগোশ ফন্দি করে,
কচ্ছপের সাথে একদিন সে দৌড়ের বাজী ধরে।
খরগোশ আর কচ্ছপের যে দৌড় প্রতিযোগীতা হবে,
ঠিক হোলো বানর দৌড় শুরুর বিচারক হবে।
দুরের এক তালগাছ কে করিয়া নিশানা,
দুজনে একসাথে করিল দৌড়ের সুচনা।
খরগোশ দ্রুত বেগে এগিয়ে যে চলে,
মুহুর্তে কচ্ছপেরে সে পিছে ফেলে।
বহুপিছে কচ্ছপ গুটি গুটি আসে,
ঐ দেখে খরগোশ মনে মনে হাসে।
ভাবে একটু বিশ্রাম নিই এই গাছ তলে,
আবার করিব শুরু কচ্ছপ এইখানে এলে।
এই ভেবে গাছ তলে খরগোশ জিরায়,
অচিরে ঢলিয়া পড়ে সে গভীর নিদ্রায়।
কচ্ছপ ধীরে ধীরে যখন পৌঁছায় নিশানায়,
তখন ঘুম ভাঙ্গিলে খরগোশ তাকে দেখতে পায় ।
তখন আর কি করার আছে বাজী কচ্ছপ জেতে,
খরগোশ হারিল বাজী অতি অহংকারেতে ।
স্থির একাগ্রতা লাগে সব সাফল্যের মুলে,
অধিক বিশ্বাসে খরগোশ এটাই ছিলো ভুলে।
৯) সিংহ ও ইঁদুর ছানা
৮)খরগোশ আর কচ্ছপ
জঙ্গলে ছিলো কচ্ছপ আর খরগোশের বাস,
ধীর গতির কচ্ছপ তাই সবে করে উপহাস।
সবার মাঝে করতে হেয়ো খরগোশ ফন্দি করে,
কচ্ছপের সাথে একদিন সে দৌড়ের বাজী ধরে।
খরগোশ আর কচ্ছপের যে দৌড় প্রতিযোগীতা হবে,
ঠিক হোলো বানর দৌড় শুরুর বিচারক হবে।
দুরের এক তালগাছ কে করিয়া নিশানা,
দুজনে একসাথে করিল দৌড়ের সুচনা।
খরগোশ দ্রুত বেগে এগিয়ে যে চলে,
মুহুর্তে কচ্ছপেরে সে পিছে ফেলে।
বহুপিছে কচ্ছপ গুটি গুটি আসে,
ঐ দেখে খরগোশ মনে মনে হাসে।
ভাবে একটু বিশ্রাম নিই এই গাছ তলে,
আবার করিব শুরু কচ্ছপ এইখানে এলে।
এই ভেবে গাছ তলে খরগোশ জিরায়,
অচিরে ঢলিয়া পড়ে সে গভীর নিদ্রায়।
কচ্ছপ ধীরে ধীরে যখন পৌঁছায় নিশানায়,
তখন ঘুম ভাঙ্গিলে খরগোশ তাকে দেখতে পায় ।
তখন আর কি করার আছে বাজী কচ্ছপ জেতে,
খরগোশ হারিল বাজী অতি অহংকারেতে ।
স্থির একাগ্রতা লাগে সব সাফল্যের মুলে,
অধিক বিশ্বাসে খরগোশ এটাই ছিলো ভুলে।
৯) সিংহ ও ইঁদুর ছানা
সিংহ গাছ তলায় শুয়ে সুখে দিবা নিদ্রা যায়,
খেলার ছলে এক ইঁদুর ছানা তার গায়েতে লাফায়।
ওঠে নামে বারে বারে ইঁদুর মজা পায়,
সিংহ বিরক্ত হয় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইঁদুর ছানাকে সে রেগে থাবার মুঠোয় ধরে,
ব লে তোকে এখনি আমি দেব শেষ করে।
কেঁদে কেটে বলে ইঁদুর মাফ করো মোরে,
অন্যায় করেছি আমি দাও মোরে ছেড়ে।
কৃতজ্ঞ থাকিব আমি জেনো চির তরে,
ভবিষতে আমাকে কাজে লাগতে পারে।
সিংহের দয়া হয় ইঁদুর কে দেয় ছেড়ে,
ইঁদুর ছানা তখন বলে করজোড়ে,
একদিন আমি তোমার করিব উপকার,
দেখিবে সেদিন আমাকে কত দর কার।
তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে সিংহ বলে তাকে,
পশুরাজের কিবা প্রয়োজন এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে?
ইঁদুর শোনে একদিন এই সিংহের গর্জ্জন,
শিকারীর জালে পড়েছে ধরা বৃথা আস্ফালন।
ইঁদুর ছানা ধীরে ধীরে তখন সিংহের কাছে গিয়ে,
জালের দড়ি সব কেটে দেয় ধারালো দাঁত দিয়ে।
জাল থেকে মুক্ত হয়ে সিংহ তখন ভাবে,
কখনো ভাবেনি ক্ষুদ্র প্রাণীর সাহার্য্য লবে।
ক্ষুদ্র প্রানীটি আজ প্রান বাঁচালো তার,
এ জগতে গুরুত্ব আছে যে সবার।
খেলার ছলে এক ইঁদুর ছানা তার গায়েতে লাফায়।
ওঠে নামে বারে বারে ইঁদুর মজা পায়,
সিংহ বিরক্ত হয় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইঁদুর ছানাকে সে রেগে থাবার মুঠোয় ধরে,
ব লে তোকে এখনি আমি দেব শেষ করে।
কেঁদে কেটে বলে ইঁদুর মাফ করো মোরে,
অন্যায় করেছি আমি দাও মোরে ছেড়ে।
কৃতজ্ঞ থাকিব আমি জেনো চির তরে,
ভবিষতে আমাকে কাজে লাগতে পারে।
সিংহের দয়া হয় ইঁদুর কে দেয় ছেড়ে,
ইঁদুর ছানা তখন বলে করজোড়ে,
একদিন আমি তোমার করিব উপকার,
দেখিবে সেদিন আমাকে কত দর কার।
তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে সিংহ বলে তাকে,
পশুরাজের কিবা প্রয়োজন এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে?
ইঁদুর শোনে একদিন এই সিংহের গর্জ্জন,
শিকারীর জালে পড়েছে ধরা বৃথা আস্ফালন।
ইঁদুর ছানা ধীরে ধীরে তখন সিংহের কাছে গিয়ে,
জালের দড়ি সব কেটে দেয় ধারালো দাঁত দিয়ে।
জাল থেকে মুক্ত হয়ে সিংহ তখন ভাবে,
কখনো ভাবেনি ক্ষুদ্র প্রাণীর সাহার্য্য লবে।
ক্ষুদ্র প্রানীটি আজ প্রান বাঁচালো তার,
এ জগতে গুরুত্ব আছে যে সবার।
পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১০)বানরের রুটি ভাগ

পঞ্চতন্ত্রের গল্প,হিতোপদেশ, ইশপের গল্প, কথায় আর ছড়ায়" তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১০)বানরের রুটি ভাগ
দুটি বিড়াল একদা এক পথের ধারে
একখণ্ড রুটির টুকরা নিয়ে ঝগড়া করে।
একের দাবী এ রুটিটি একান্ত ই তার,
অন্যে বলে না ওটি শুধু ই আমার।
চালাক বানর সেই ঝগড়া শুনতে পেয়ে,
বলে এ বিবাদ আমি দিতেছি মিটায়ে।
কি হবে বৃথা নিজেরা ঝগড়া করে?
দিচ্ছি আ্মি রুটিটিকে সম ভাগ করে।
সমান দু ভাগ করছি আমি এই কথা বলে ,
রুটির টুকরোটা বানর নিলো হাতে তুলে।
রুটির খণ্ডটি ছিঁড়ে সে দুভাগ করে,
মেলায় দুভাগ রুটি চোখের সামনে ধরে।
কম বেশী হয়েগেছে ভাগ সমান করা চাই,
বেশীর থেকে রুটি ছিঁড়ে বানর খায় তাই
তাতে ভাগ আবার সে একটু কম বেশী করে,
সমান করার আছিলায় রুটি ছিঁড়ে মুখে পোড়ে
এই ভাবে খেতে খেতে রুটি ফুরিয়ে গেলো,
দুটি বিড়াল তখন সেথা বোকা বনে গেলো ।
দুজনের করলে লড়াই তৃতীয় জনের লাভ হয়,
এ সত্য টা সদা সকলে জানিবে নিশ্চয়।
১১)দুই বন্ধু আর ভল্লুকের কথা

১১)দুই বন্ধু আর ভল্লুকের
কথা
একদিন দুই বন্ধু বনের পাশে পথ ধরে,
দিনান্তে শহর থেকে ফিরছিলো ঘরে।
হঠাৎ তারা দেখে এই পথের কিছু দুরে,
একটি ভালুক সে পথেতে আসিতেছে যেরে!
ভালুক দেখে দুই বন্ধু ভয় পেয়ে যায়,
কি করিবে তখন তারা ভেবে নাহি পায়।
এক বন্ধু দৌড়ে গিয়ে সামনে গাছে চড়ে,
অন্য জন চড়তে জানেনা তখন সে কি করে?
হঠাৎ মাথায় তার হয় এক বুদ্ধির উদয়,
শুনেছিলো ভালুক শব দেহ নাহি ছোঁয়।
গাছতলায় সে শুয়ে থাকে যেন মরার মতন।
দম বন্ধ করে রাখে ভালুক পরখকরে যখন।
ভালুক মৃত দেহ ভেবে তারে যায় ছেড়ে,
অপর বন্ধু গাছে থেকে সব ই লক্ষ্য করে।
ভালুক চলিয়া গেলে সে আসে গাছ হতে নেমে,
জিজ্ঞাসিল বন্ধু ভাই ভালুক কি কহিল তব কানে?
এই বন্ধু বলিল তাকে ভালুক আমাকে গিয়াছে বলে,
সে বন্ধুকে পরিহার কর যে একা বিপদে যায় ফেলে।
যে জন সর্বদা থাকে পাশে তোমার বিপদ কালে,
যেন তাহাকেই সবাই তোমার প্রকৃত বন্ধু বলে।
১২)নেকড়ে ও সারস

১২)নেকড়ে ও সারস
একদা এক নেকড়ের গলায় আটকে ছিলো হাড়,
অনেক চেষ্টা করে সে তবু পারেনা করতে বার।
কষ্টেতে সে খুব ছটফট করে,
কি করবে তাই ভেবেই মরে!
নেকড়ে যায় সারসের কাছে বলে তাকে গিয়ে,
গলায় মোর বিঁধেছে হাড় বার করো লম্বা ঠোঁট দিয়ে।
সারস বলে তোমার মুখের মধ্যে ঢোকাবো মোর মাথা?
পাগল নাকি? তুমি যে ধুর্ত বড় কে জানেনা এই কথা?
অভয় দিয়ে বলে নেকড়ে আমি কষ্ট পাচ্ছি বড়,
পুরস্কার দেব আমি যদি মোর এই ঊপকার কর।
যে মুহুর্তে গলার থেকে তুমি বার করবে হাড়,
সাথে সাথেই দেব আমি তোমায় পুরস্কার।
সারস তখন নেকড়ের কথায় বিশ্বাস করে ,
গলায় হাড় বার করে সে তার লম্বাঠোঁটে ধরে।
নেকড়ের কষ্ট কমে তখন সে স্বস্তি পায়,
এখন সারস নেকড়ের কাছে পুরস্কার চায়।
নেকড়ে বলে চোখ রাঙ্গিয়ে তোর কিসের পুরস্কার ?
মাথাটা যে চিবোইনি সেটা তোর ভগ্যের ব্যাপার।
নেকড়ে বলে সাহস বড় তুই চাইছিস পুরস্কার?
অনেক জন্মের ভাগ্যের জোর মুণ্ডু করেছিস বার।
বেঁচে গেছিস জানিস এটাই তোর সবচেয়ে বড় পাওনা,
দূর হয়ে যা এখান থেকে আর করিসনা বায়না।
নীতি ঃ এর থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই,
দুর্জন কে কভু বিশ্বাস করতে নাই।
একদিন দুই বন্ধু বনের পাশে পথ ধরে,
দিনান্তে শহর থেকে ফিরছিলো ঘরে।
হঠাৎ তারা দেখে এই পথের কিছু দুরে,
একটি ভালুক সে পথেতে আসিতেছে যেরে!
ভালুক দেখে দুই বন্ধু ভয় পেয়ে যায়,
কি করিবে তখন তারা ভেবে নাহি পায়।
এক বন্ধু দৌড়ে গিয়ে সামনে গাছে চড়ে,
অন্য জন চড়তে জানেনা তখন সে কি করে?
হঠাৎ মাথায় তার হয় এক বুদ্ধির উদয়,
শুনেছিলো ভালুক শব দেহ নাহি ছোঁয়।
গাছতলায় সে শুয়ে থাকে যেন মরার মতন।
দম বন্ধ করে রাখে ভালুক পরখকরে যখন।
ভালুক মৃত দেহ ভেবে তারে যায় ছেড়ে,
অপর বন্ধু গাছে থেকে সব ই লক্ষ্য করে।
ভালুক চলিয়া গেলে সে আসে গাছ হতে নেমে,
জিজ্ঞাসিল বন্ধু ভাই ভালুক কি কহিল তব কানে?
এই বন্ধু বলিল তাকে ভালুক আমাকে গিয়াছে বলে,
সে বন্ধুকে পরিহার কর যে একা বিপদে যায় ফেলে।
যে জন সর্বদা থাকে পাশে তোমার বিপদ কালে,
যেন তাহাকেই সবাই তোমার প্রকৃত বন্ধু বলে।
১২)নেকড়ে ও সারস

১২)নেকড়ে ও সারস
একদা এক নেকড়ের গলায় আটকে ছিলো হাড়,
অনেক চেষ্টা করে সে তবু পারেনা করতে বার।
কষ্টেতে সে খুব ছটফট করে,
কি করবে তাই ভেবেই মরে!
নেকড়ে যায় সারসের কাছে বলে তাকে গিয়ে,
গলায় মোর বিঁধেছে হাড় বার করো লম্বা ঠোঁট দিয়ে।
সারস বলে তোমার মুখের মধ্যে ঢোকাবো মোর মাথা?
পাগল নাকি? তুমি যে ধুর্ত বড় কে জানেনা এই কথা?
অভয় দিয়ে বলে নেকড়ে আমি কষ্ট পাচ্ছি বড়,
পুরস্কার দেব আমি যদি মোর এই ঊপকার কর।
যে মুহুর্তে গলার থেকে তুমি বার করবে হাড়,
সাথে সাথেই দেব আমি তোমায় পুরস্কার।
সারস তখন নেকড়ের কথায় বিশ্বাস করে ,
গলায় হাড় বার করে সে তার লম্বাঠোঁটে ধরে।
নেকড়ের কষ্ট কমে তখন সে স্বস্তি পায়,
এখন সারস নেকড়ের কাছে পুরস্কার চায়।
নেকড়ে বলে চোখ রাঙ্গিয়ে তোর কিসের পুরস্কার ?
মাথাটা যে চিবোইনি সেটা তোর ভগ্যের ব্যাপার।
নেকড়ে বলে সাহস বড় তুই চাইছিস পুরস্কার?
অনেক জন্মের ভাগ্যের জোর মুণ্ডু করেছিস বার।
বেঁচে গেছিস জানিস এটাই তোর সবচেয়ে বড় পাওনা,
দূর হয়ে যা এখান থেকে আর করিসনা বায়না।
নীতি ঃ এর থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই,
দুর্জন কে কভু বিশ্বাস করতে নাই।
১৩) সিংহ ও বুদ্ধিমান খরগোশ

১৩) সিংহ ও বুদ্ধিমান খরগোশ
এক জঙ্গলে এক প্রকাণ্ড সিংহের ছিলো বাস,
যথেচ্ছ রোজ করত শিকার ছিলো বনের ত্রাস।
বনের সব প্রাণীরা তাই সদাই ভয়ে মরে,
এভাবে চললে সবাই মরিবে অচিরে।
এর থেকে পরিত্রান পাইবার তরে,
জঙ্গলের প্রাণীরা সবে আলোচনা করে।
একটা উপায় তারা বার করে ভেবে ,
পর দিন সিংহ সাথে দেখা করল সবে।
পশুরাজের নিকটে একত্রে কর জোড়ে,
কাতর ভাবে সবাই এই মিনতি করে।
বন্ধ করুন আপনার নির্বিচারে শিকার,
প্রতিদিন পাঠাবো মোরা আপনার আহার।
সিংহ তায় রাজী হয় তাই শিকার বন্ধ করে,
প্রতি সকালে আহার পৌঁছায় তার দোরে।
একদিন ছ টি খরগোশের পালা পড়েছিলো,
তার মধ্যে অতিশয় একটি বুদ্ধিমান ছিলো,
অন্যদের আড়ালে রেখে সে একাহাজির হোলো,
তাহাকে দেখিয়া রাগে সিংহ হুঙ্কার ছাড়িল।
একা তোর আসিবার কি ছিলো দরকার ?
এক রত্তি তোকে দিয়ে কি মোর মিটিবে আহার?
কাতর স্বরে ক্ষুদ্র খরগোশ করিল নিবেদন,
এক সাথে আসিতেছিনু মোরা ছয় জন।
পথ মাঝে অন্য এক সিংহ অতিকায়,
জোর করে আমাদের প থ আটকায়।
সে নাকি এখন থেকে এই জঙ্গলের রাজা,
আর সব জীব জন্তু তাই সবাই তার প্রজা।
এই বলেই পাঁচ জনেরে করেছে সাবার,
কোনক্রমে পালিয়ে আমি আপনার আহার।
শুনে সিংহ রেগে বলে আমি সর্বময়,
আমি ছাড়া অন্য পশুরাজ আর কেহ নয়।
কোথা সে বেয়াদপ নিয়ে চলো মোরে,
এখনি মটকে ঘাঢ় শেষ করি তারে।
খরগোশ বুদ্ধিমান তাই সে ঠিক কায়দা করে,
সিংহ কে নিয়ে যায় এক পোড়ো কুয়ার ধারে।
জঙ্গলের মাঝে সেই পরিত্যক্ত কুয়ায়,
ভেতরে রয়েছে সিংহ খরগোশ জানায়।
পশুরাজ পাড়থেকে কুয়োয় ঊঁকি মারে,
কুয়োর ভিতর থাকা জলে তার ছায়া পড়ে।
তার ছায়া দেখে সিংহ বুঝতে না পারে,
অপর এক সিংহ ভেবে সে আক্রমন করে।
ঝপাং করে কুয়োর জলে সিংহ গেলো পড়ে,
ঊঠতে আর পারলো নাকো গেলো সেথায় মরে।
বুদ্ধির জোরে খরগোশ পরিত্রান পায়,
বুদ্ধি থাকলে বিপদে পাবে মুক্তির উপায়।
এক জঙ্গলে এক প্রকাণ্ড সিংহের ছিলো বাস,
যথেচ্ছ রোজ করত শিকার ছিলো বনের ত্রাস।
বনের সব প্রাণীরা তাই সদাই ভয়ে মরে,
এভাবে চললে সবাই মরিবে অচিরে।
এর থেকে পরিত্রান পাইবার তরে,
জঙ্গলের প্রাণীরা সবে আলোচনা করে।
একটা উপায় তারা বার করে ভেবে ,
পর দিন সিংহ সাথে দেখা করল সবে।
পশুরাজের নিকটে একত্রে কর জোড়ে,
কাতর ভাবে সবাই এই মিনতি করে।
বন্ধ করুন আপনার নির্বিচারে শিকার,
প্রতিদিন পাঠাবো মোরা আপনার আহার।
সিংহ তায় রাজী হয় তাই শিকার বন্ধ করে,
প্রতি সকালে আহার পৌঁছায় তার দোরে।
একদিন ছ টি খরগোশের পালা পড়েছিলো,
তার মধ্যে অতিশয় একটি বুদ্ধিমান ছিলো,
অন্যদের আড়ালে রেখে সে একাহাজির হোলো,
তাহাকে দেখিয়া রাগে সিংহ হুঙ্কার ছাড়িল।
একা তোর আসিবার কি ছিলো দরকার ?
এক রত্তি তোকে দিয়ে কি মোর মিটিবে আহার?
কাতর স্বরে ক্ষুদ্র খরগোশ করিল নিবেদন,
এক সাথে আসিতেছিনু মোরা ছয় জন।
পথ মাঝে অন্য এক সিংহ অতিকায়,
জোর করে আমাদের প থ আটকায়।
সে নাকি এখন থেকে এই জঙ্গলের রাজা,
আর সব জীব জন্তু তাই সবাই তার প্রজা।
এই বলেই পাঁচ জনেরে করেছে সাবার,
কোনক্রমে পালিয়ে আমি আপনার আহার।
শুনে সিংহ রেগে বলে আমি সর্বময়,
আমি ছাড়া অন্য পশুরাজ আর কেহ নয়।
কোথা সে বেয়াদপ নিয়ে চলো মোরে,
এখনি মটকে ঘাঢ় শেষ করি তারে।
খরগোশ বুদ্ধিমান তাই সে ঠিক কায়দা করে,
সিংহ কে নিয়ে যায় এক পোড়ো কুয়ার ধারে।
জঙ্গলের মাঝে সেই পরিত্যক্ত কুয়ায়,
ভেতরে রয়েছে সিংহ খরগোশ জানায়।
পশুরাজ পাড়থেকে কুয়োয় ঊঁকি মারে,
কুয়োর ভিতর থাকা জলে তার ছায়া পড়ে।
তার ছায়া দেখে সিংহ বুঝতে না পারে,
অপর এক সিংহ ভেবে সে আক্রমন করে।
ঝপাং করে কুয়োর জলে সিংহ গেলো পড়ে,
ঊঠতে আর পারলো নাকো গেলো সেথায় মরে।
বুদ্ধির জোরে খরগোশ পরিত্রান পায়,
বুদ্ধি থাকলে বিপদে পাবে মুক্তির উপায়।
১৪) ধূর্তশিয়াল
ঘন জঙ্গলে এক ধূর্ত শেয়াল থাকতো,
জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে খাবার সে খুঁজতো।
একদিন ক্ষুদার্ত শেয়ালের চোখে পড়ে,
বিশাল এক হাতির দেহ পড়ে আছে মরে।
চামড়া হাতির বেজায় শক্ত দাঁত বসানো দায়,
কি করে খাবে সে মাংস, ভাবে কি আছে উপায়?
হেন কালে কানে আসে সিংহের গর্জন,
বুঝিল হেথায় অচিরে হবে সিংহের আগমন।
সিংহ সেথায় এলে শেয়াল করে নিবেদন,
মহারাজের খাদ্য পাহারায় আছি বহুক্ষন।
এখন দয়া করে আপনি করুন আপনার আহার,
সিংহ বলে নিজ খাদ্য আমি করি নিজেই শিকার ।
মরা কোন জীবের মাংস কভু নাহি খাই,
এই আহারে নেই প্রয়োজন আমি এখন যাই।
এই বলে সিংহ তখন চলে গেলো,
শেয়াল ইহাতে ভীষন খুশী হোলো।
হঠাৎ শেয়াল শোনে সেথা বাঘের চিৎকার,
ভয় পায় শিয়াল কিন্তু সে উপায় করে বার।
বাঘকে দেখে ব লে শেয়াল দয়াকরে পালান,
সিংহের খাদ্য এটা তিনি করতে গেছেন স্নান।
বলে গেছেন যদি হেথায় কোন বাঘ এসে পড়ে,
আমি যেন কোন উপায়ে আটকে রাখি তারে।
সব বাঘ কে মেরে তিনি মাংস খেতে চান।
তাই বলি কি মশাই আপনি এখুনি পালান।
এই শুনে ভয় পেয়ে বাঘ তখুনি পালায়,
ইহাতে শেয়াল হইল খুশী মনে স্বস্তি পায়।
বাঘ চলে যেতেই সেথা একটি চিতা এলো,
চিতা দেখে শেয়াল তখন ভীষণ খুশী হলো।
শেয়াল জানে চিতার নখে আছে ভীষণ ধার,
হাতির চামড়া কেটে মাংস সেই করবে বার।
বুদ্ধি করে বলে শেয়াল তাকে আসুন আপনি আসুন,
হাতির মাংসের পাহারায় আছি একটু খেয়ে দেখুন।
পশুরাজের শিকার এটা তিনি স্নানে গেছেন,
এই ফাঁকে একটু মাংস আপনি চেখে দেখুন।
ভয়নেই আমি পাহারাদেব রাখছি তাঁকে নজরে,
দেখলেই সংকেত দেব যখন আসবেন স্নান সেরে,
মনে চিতা সাহস পেয়ে মাংসে থাবা বসায়,
তার ধারালো নখে হাতির চামড়া ছিড়ে যায়।
ধূর্ত শেয়াল তখনি চেঁচায় পালান চিতা পালান,
পশুরাজ ফিরছেন হেথা তাঁর হয়ে গিয়াছে সিনান।
ভয় পেয়ে চিতা তখন পালায় উর্দ্ধশ্বাসে,
মাংস পেয়ে শেয়াল এখন মনে মনে হাসে।
এবার গোটা হাতির মাংস তাহার খাবার,
এবার নিশ্চিন্ত মনে সে সারিল আহার।
বুদ্ধি থাকিলে ঠিক উপায় বাহির হয়,
দুনিয়ায় সর্বত্র তাই বুদ্ধিমানের জয়।
ঘন জঙ্গলে এক ধূর্ত শেয়াল থাকতো,
জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে খাবার সে খুঁজতো।
একদিন ক্ষুদার্ত শেয়ালের চোখে পড়ে,
বিশাল এক হাতির দেহ পড়ে আছে মরে।
চামড়া হাতির বেজায় শক্ত দাঁত বসানো দায়,
কি করে খাবে সে মাংস, ভাবে কি আছে উপায়?
হেন কালে কানে আসে সিংহের গর্জন,
বুঝিল হেথায় অচিরে হবে সিংহের আগমন।
সিংহ সেথায় এলে শেয়াল করে নিবেদন,
মহারাজের খাদ্য পাহারায় আছি বহুক্ষন।
এখন দয়া করে আপনি করুন আপনার আহার,
সিংহ বলে নিজ খাদ্য আমি করি নিজেই শিকার ।
মরা কোন জীবের মাংস কভু নাহি খাই,
এই আহারে নেই প্রয়োজন আমি এখন যাই।
এই বলে সিংহ তখন চলে গেলো,
শেয়াল ইহাতে ভীষন খুশী হোলো।
হঠাৎ শেয়াল শোনে সেথা বাঘের চিৎকার,
ভয় পায় শিয়াল কিন্তু সে উপায় করে বার।
বাঘকে দেখে ব লে শেয়াল দয়াকরে পালান,
সিংহের খাদ্য এটা তিনি করতে গেছেন স্নান।
বলে গেছেন যদি হেথায় কোন বাঘ এসে পড়ে,
আমি যেন কোন উপায়ে আটকে রাখি তারে।
সব বাঘ কে মেরে তিনি মাংস খেতে চান।
তাই বলি কি মশাই আপনি এখুনি পালান।
এই শুনে ভয় পেয়ে বাঘ তখুনি পালায়,
ইহাতে শেয়াল হইল খুশী মনে স্বস্তি পায়।
বাঘ চলে যেতেই সেথা একটি চিতা এলো,
চিতা দেখে শেয়াল তখন ভীষণ খুশী হলো।
শেয়াল জানে চিতার নখে আছে ভীষণ ধার,
হাতির চামড়া কেটে মাংস সেই করবে বার।
বুদ্ধি করে বলে শেয়াল তাকে আসুন আপনি আসুন,
হাতির মাংসের পাহারায় আছি একটু খেয়ে দেখুন।
পশুরাজের শিকার এটা তিনি স্নানে গেছেন,
এই ফাঁকে একটু মাংস আপনি চেখে দেখুন।
ভয়নেই আমি পাহারাদেব রাখছি তাঁকে নজরে,
দেখলেই সংকেত দেব যখন আসবেন স্নান সেরে,
মনে চিতা সাহস পেয়ে মাংসে থাবা বসায়,
তার ধারালো নখে হাতির চামড়া ছিড়ে যায়।
ধূর্ত শেয়াল তখনি চেঁচায় পালান চিতা পালান,
পশুরাজ ফিরছেন হেথা তাঁর হয়ে গিয়াছে সিনান।
ভয় পেয়ে চিতা তখন পালায় উর্দ্ধশ্বাসে,
মাংস পেয়ে শেয়াল এখন মনে মনে হাসে।
এবার গোটা হাতির মাংস তাহার খাবার,
এবার নিশ্চিন্ত মনে সে সারিল আহার।
বুদ্ধি থাকিলে ঠিক উপায় বাহির হয়,
দুনিয়ায় সর্বত্র তাই বুদ্ধিমানের জয়।
১৫)সারস
আর শিয়ালের গল্প
একদা শিয়াল আর সারসের মধ্যে খুউব বন্ধুত্ব ছিলো,
শিয়াল একদিন দুপুরের আহারে সারস কে নিমন্ত্রণ করিল,
সারস সরল মনে নিমন্ত্রণ খেতে যায় শেয়ালের বাড়ি,
শেয়াল মনে মনে এঁটে ছিলো দুরভিসন্ধি ভারি ।
সারস কে সে করিবে জব্দ এই ছিলো তার বাসনা,
মুখের সামনে থাকবে খাবার সারস খেতে পারবেনা।
মিষ্টি ফলের রস সারস কে দেয় সে এনে থালায় করে,
লম্বা ঠোঁটে থালার রস সারস খায় কেমন করে?
শেয়াল খায় চেটেপুটে সারস তাকিয়ে দেখে,
বেচারা সারস সেদিন না খেয়ে অভুক্ত ই থাকে।
কেমন খেলে বন্ধু সারস ? শেয়াল জিজ্ঞাসা করে?
দারুন খেলাম কাল দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ আমার ঘরে।
শেয়াল কে নিমন্ত্রণ করে সারস ফেরে ঘরে,
শেয়ালকে পায়েস দেয় সে খেতে লম্বা কুঁজোয় ভরে।
সরু লম্বা কুঁজোয় শেয়ালের মুখ নাহি ঢোকে,
গন্ধ শোঁকে লালা ঝড়ে তাকিয়ে সে থাকে।
সারস তার লম্বা ঠোঁট কুঁজোয় ঢুকায়,
শেয়ালের সামনে সে পেট পুরে খায়।
শেয়াল অভুক্ত থাকে বুঝতে পারে তখন,
গত কালের অপমানের শোধ নিয়েছে এমন।
তার দোষ স্বীকার করে শেয়াল ক্ষমা চায়,
বন্ধু সারস তখন তাকে থালায় খেতে দেয়।
ঢিলের পরিবর্তে পাটকেল ই মেলে
এই নীতি শিক্ষাই গল্পেতে পেলে ।
একদা শিয়াল আর সারসের মধ্যে খুউব বন্ধুত্ব ছিলো,
শিয়াল একদিন দুপুরের আহারে সারস কে নিমন্ত্রণ করিল,
সারস সরল মনে নিমন্ত্রণ খেতে যায় শেয়ালের বাড়ি,
শেয়াল মনে মনে এঁটে ছিলো দুরভিসন্ধি ভারি ।
সারস কে সে করিবে জব্দ এই ছিলো তার বাসনা,
মুখের সামনে থাকবে খাবার সারস খেতে পারবেনা।
মিষ্টি ফলের রস সারস কে দেয় সে এনে থালায় করে,
লম্বা ঠোঁটে থালার রস সারস খায় কেমন করে?
শেয়াল খায় চেটেপুটে সারস তাকিয়ে দেখে,
বেচারা সারস সেদিন না খেয়ে অভুক্ত ই থাকে।
কেমন খেলে বন্ধু সারস ? শেয়াল জিজ্ঞাসা করে?
দারুন খেলাম কাল দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ আমার ঘরে।
শেয়াল কে নিমন্ত্রণ করে সারস ফেরে ঘরে,
শেয়ালকে পায়েস দেয় সে খেতে লম্বা কুঁজোয় ভরে।
সরু লম্বা কুঁজোয় শেয়ালের মুখ নাহি ঢোকে,
গন্ধ শোঁকে লালা ঝড়ে তাকিয়ে সে থাকে।
সারস তার লম্বা ঠোঁট কুঁজোয় ঢুকায়,
শেয়ালের সামনে সে পেট পুরে খায়।
শেয়াল অভুক্ত থাকে বুঝতে পারে তখন,
গত কালের অপমানের শোধ নিয়েছে এমন।
তার দোষ স্বীকার করে শেয়াল ক্ষমা চায়,
বন্ধু সারস তখন তাকে থালায় খেতে দেয়।
ঢিলের পরিবর্তে পাটকেল ই মেলে
এই নীতি শিক্ষাই গল্পেতে পেলে ।
No comments:
Post a Comment